সাড়ে ৩ বছর ধরে সিনেমা নিষিদ্ধ, যা বললেন ফারুকী

#
news image

গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা এখনো সবার মনে আছে। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ঘটনাটি। ওই ঘটনার ছায়া অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নাম ‘শনিবার বিকেল’।

বছর চারেক আগেই সিনেমাটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল। মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ডে জমাও দিয়েছিলেন নির্মাতা। কিন্তু মুক্তির অনুমতি মেলেনি। বরং সেন্সর বোর্ড সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করে দেয়।

পরে অবশ্য আপিল করেছিলেন ফারুকী। সেই আপিলের বয়স পেরিয়েছে সাড়ে তিন বছর। কিন্তু কোনো উত্তর পাননি নির্মাতা। তাই মাঝেমধ্যেই নিজের সিনেমাটি নিয়ে মন খারাপ হয় তার। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি প্রদর্শিত হয়েছে এবং ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। অথচ নিজ দেশেই মুক্তি দিতে পারছেন না।

বিষয়টি নিয়ে রোববার (৭ আগস্ট) একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারুকী। সেখানে লিখেছেন, “আজকে সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল! এরকম কত সকাল যে আমার গেছে। আমি একটা ছবি বানিয়েছি ‘শনিবার বিকেল’ নামে। যেটা সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে বিভিন্ন পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়ে বললেন, ‘আমরা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি’। তারপর এক অদৃশ্য ইশারায় ছবিটার দ্বিতীয় শো করে তারা। এবং তারপর বলে দিল, ছবি ব্যান। আমরা আপিল করলাম। আজকে সাড়ে তিন বছর হলো আপিলের। কোনো উত্তর নাই। এবং আমাদেরও বুঝি কিছু বলার নাই। কারণ তারাপদ রায়ের কবিতার মতো আমাদের কখন সর্বনাশ হয়ে গেছে আমরা টেরও পাইনি।”

বছর দুয়েক আগে একটি আন্তর্জাতিক পোর্টালে প্রকাশিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার রিভিউ শেয়ার দিয়েছেন ফারুকী। সে প্রসঙ্গে বললেন, “আজ ‘শনিবার বিকেল’-এর উপর ইস্টার্নকিকের রিভিউটা হঠাৎ সাজেস্ট করল আমাকে অ্যালগোরিদম। এটা আমি আগে পড়ি নাই। পড়ে মনে হইলো আমরা ফুল, পাখি, লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ‘ঠিক আছে’! এমন কিছু বানানো যাবে না, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। কিন্তু আমি তো চিরকাল সেইসব গল্পই বলে আসছি যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক আর রাজনীতির গল্পই হোক। আমি তো অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটা কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে?”

উল্লেখ্য, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

০৭ আগস্ট, ২০২২,  9:03 PM

news image

গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা এখনো সবার মনে আছে। গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ঘটনাটি। ওই ঘটনার ছায়া অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নাম ‘শনিবার বিকেল’।

বছর চারেক আগেই সিনেমাটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল। মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ডে জমাও দিয়েছিলেন নির্মাতা। কিন্তু মুক্তির অনুমতি মেলেনি। বরং সেন্সর বোর্ড সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করে দেয়।

পরে অবশ্য আপিল করেছিলেন ফারুকী। সেই আপিলের বয়স পেরিয়েছে সাড়ে তিন বছর। কিন্তু কোনো উত্তর পাননি নির্মাতা। তাই মাঝেমধ্যেই নিজের সিনেমাটি নিয়ে মন খারাপ হয় তার। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি প্রদর্শিত হয়েছে এবং ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। অথচ নিজ দেশেই মুক্তি দিতে পারছেন না।

বিষয়টি নিয়ে রোববার (৭ আগস্ট) একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারুকী। সেখানে লিখেছেন, “আজকে সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল! এরকম কত সকাল যে আমার গেছে। আমি একটা ছবি বানিয়েছি ‘শনিবার বিকেল’ নামে। যেটা সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে বিভিন্ন পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়ে বললেন, ‘আমরা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি’। তারপর এক অদৃশ্য ইশারায় ছবিটার দ্বিতীয় শো করে তারা। এবং তারপর বলে দিল, ছবি ব্যান। আমরা আপিল করলাম। আজকে সাড়ে তিন বছর হলো আপিলের। কোনো উত্তর নাই। এবং আমাদেরও বুঝি কিছু বলার নাই। কারণ তারাপদ রায়ের কবিতার মতো আমাদের কখন সর্বনাশ হয়ে গেছে আমরা টেরও পাইনি।”

বছর দুয়েক আগে একটি আন্তর্জাতিক পোর্টালে প্রকাশিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার রিভিউ শেয়ার দিয়েছেন ফারুকী। সে প্রসঙ্গে বললেন, “আজ ‘শনিবার বিকেল’-এর উপর ইস্টার্নকিকের রিভিউটা হঠাৎ সাজেস্ট করল আমাকে অ্যালগোরিদম। এটা আমি আগে পড়ি নাই। পড়ে মনে হইলো আমরা ফুল, পাখি, লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ‘ঠিক আছে’! এমন কিছু বানানো যাবে না, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। কিন্তু আমি তো চিরকাল সেইসব গল্পই বলে আসছি যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক আর রাজনীতির গল্পই হোক। আমি তো অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটা কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে?”

উল্লেখ্য, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে।