কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আয়তন বাড়লো 

#
news image

৫০ একরের তুলনামূলক ছোট ক্যাম্পাস নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন আক্ষেপ ছিল। তবে ১৫ বছরের এ আক্ষেপ এবার ঘুচলো।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণসহ অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অধিগ্রহণ করা ১৯৪ দশমিক ১৯ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন জমিসহ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ২৪৪ দশমিক ১৯ একর। এদিকে জমি হস্তান্তরের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মীরা। তারা বলছেন, নতুন জমি যুক্ত হওয়ায় তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনির হোসেন রনি বলেন, আমরা এতদিন ছোট একটা ক্যাম্পাসে ছিলাম। এখন ক্যাম্পাসের আয়তন বাড়লো। এতে আমরা সবাই খুব খুশি। আশাকরি নতুন যোগ হওয়া জমি উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে, খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহীন ইয়াসার বলেন, ভর্তি হওয়ার পর ঘুরতে বেরিয়ে দেখি এক হাঁটায় ক্যাম্পাস এলাকা শেষ। টিএসসি, অডিটোরিয়াম অনেক কিছুই নেই, আবাসিক হলও কম। এসব দেখে কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন নতুন জমি নেওয়ার খবর শুনে অনেক খুশি লাগছে।

আমরা আরও অনেক অবকাঠামো পাবো। যা আমাদের উন্নয়নে কাজে আসবে। ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর ১১তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণসহ অধিকতর উন্নয়নে এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ভূমি অধিগ্রহণ বাদে 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প' বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ব্যাটালিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিজ হেডকোয়ার্টার।

প্রকল্পের অধীনে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াও ১০০ একর ভূমি উন্নয়ন, চারটি ১০ তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন, চারটি ১০ তলা আবাসিক হল, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, ১০ তলা ডরমেটরি, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, স্কুল বিল্ডিং, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, অডিটোরিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল কমপ্লেক্স, মেডিকেল ও ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রীয় মসজিদ, স্মৃতিস্তম্ভ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, পারিবারিক বিনোদন এলাকা উন্নয়ন, ৫০ হাজার বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, লেক খনন ও ব্রিজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও বেশকিছু যানবাহন ক্রয়ের কথা রয়েছে। এরইমধ্যে প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক নির্মাণ করা হয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ১৯৪.১৯ একর ভূমি জেলা প্রশাসক আমাদেরকে হস্তান্তর করেছেন। আমরা জমি হাতে পেয়েছি। এটা এখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা। আমরা এখানে উন্নয়ন প্রকল্প পুরোদমে চালাতে পারবো। হয়তো কাল থেকেই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দেবে।

প্রখ/ সাদ্দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ এপ্রিল, ২০২২,  8:29 AM

news image
ফাইল ছবি

৫০ একরের তুলনামূলক ছোট ক্যাম্পাস নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন আক্ষেপ ছিল। তবে ১৫ বছরের এ আক্ষেপ এবার ঘুচলো।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণসহ অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অধিগ্রহণ করা ১৯৪ দশমিক ১৯ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন জমিসহ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ২৪৪ দশমিক ১৯ একর। এদিকে জমি হস্তান্তরের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মীরা। তারা বলছেন, নতুন জমি যুক্ত হওয়ায় তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনির হোসেন রনি বলেন, আমরা এতদিন ছোট একটা ক্যাম্পাসে ছিলাম। এখন ক্যাম্পাসের আয়তন বাড়লো। এতে আমরা সবাই খুব খুশি। আশাকরি নতুন যোগ হওয়া জমি উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে, খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহীন ইয়াসার বলেন, ভর্তি হওয়ার পর ঘুরতে বেরিয়ে দেখি এক হাঁটায় ক্যাম্পাস এলাকা শেষ। টিএসসি, অডিটোরিয়াম অনেক কিছুই নেই, আবাসিক হলও কম। এসব দেখে কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন নতুন জমি নেওয়ার খবর শুনে অনেক খুশি লাগছে।

আমরা আরও অনেক অবকাঠামো পাবো। যা আমাদের উন্নয়নে কাজে আসবে। ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর ১১তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণসহ অধিকতর উন্নয়নে এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ভূমি অধিগ্রহণ বাদে 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প' বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ব্যাটালিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিজ হেডকোয়ার্টার।

প্রকল্পের অধীনে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াও ১০০ একর ভূমি উন্নয়ন, চারটি ১০ তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন, চারটি ১০ তলা আবাসিক হল, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, ১০ তলা ডরমেটরি, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, স্কুল বিল্ডিং, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, অডিটোরিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল কমপ্লেক্স, মেডিকেল ও ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রীয় মসজিদ, স্মৃতিস্তম্ভ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, পারিবারিক বিনোদন এলাকা উন্নয়ন, ৫০ হাজার বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, লেক খনন ও ব্রিজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও বেশকিছু যানবাহন ক্রয়ের কথা রয়েছে। এরইমধ্যে প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক নির্মাণ করা হয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ১৯৪.১৯ একর ভূমি জেলা প্রশাসক আমাদেরকে হস্তান্তর করেছেন। আমরা জমি হাতে পেয়েছি। এটা এখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা। আমরা এখানে উন্নয়ন প্রকল্প পুরোদমে চালাতে পারবো। হয়তো কাল থেকেই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দেবে।

প্রখ/ সাদ্দাম