ফেরিতে সমুদ্রযাত্রা, সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না বিসিবি

#
news image

সেন্ট লুসিয়াতেই বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। সাগর উত্তাল থাকায় সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকার যাত্রাও তাই এক দিন পেছানো হয়েছিল। তারপরও গত ৩০ জুন আটলান্টিক ও ক্যারিবিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে ডমিনিকা যাওয়ার পথে ভয়ংকর পরিস্হিতিতে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। ফেরিতে পাঁচ ঘণ্টার সমুদ্রযাত্রায় অসুস্হ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের কয়েক জন ক্রিকেটার।
এ ঘটনায় চরম সমালোচিত হয়েছিল বিসিবি। যদিও ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লিউআই) ওপর দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল বিসিবি। মঙ্গলবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ফেরিতে সমুদ্রযাত্রা নিয়ে স্বাগতিকদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন আয়োজনে সায় দেবে না বিসিবি। তবে সামগ্রিকভাবে ক্যারিবিয়ান বোর্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
সিডব্লিউআইকে কড়া বার্তা দেওয়ার পক্ষে নন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব এবং আমাদের উদ্বেগ জানাব, যেন ভবিষ্যতে এমন না হয়। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে — ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমাদের ফিউচার ট্যুর প্ল্যান বা ‘এ’ দলের প্ল্যান করে থাকি। এক্ষেত্রে বোর্ড টু বোর্ড সুসম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটা বিষয় হলো আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম, এ বিষয়টা ঠিক হবে না বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’ চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে।
তবে এমন ক্ষেত্রে অবশ্য বিসিবি সফরকারী দলের সুরক্ষাই আগে নিশ্চিত করত। ঝুঁকিপূর্ণ ফেরিতে সমুদ্রযাত্রার ব্যবস্থা করত না। নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের দেশ হলে ভিন্ন ব্যাপার হতো। আমরা সফরকারী দলকে আগে প্রাধান্য দিতাম। ওদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ভেন্যুগুলো এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে। ওদেরও কিছু লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ থাকে। করোনা পরিস্থিতির পর এই পরিস্থিতি ওদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হয়েছে। এসব কারণেই হয়তো এমন হচ্ছে।’
এদিকে, গায়ানায় পৌঁছে গতকাল অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। শিবনারায়ণ চন্দরপলের দেশ গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০’র প্রস্ত্ততিতে ঘাম ঝরিয়েছেন ক্রিকেটাররা। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। উইন্ডিজ সফরে এখনো জয়শূন্য টাইগাররা এ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে। কারণ, দুই ম্যাচ শেষে ১-০ তে পিছিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ডমিনিকায় প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই সিরিজ হার এড়াতে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সফরকারীদের সামনে।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

০৭ জুলাই, ২০২২,  1:07 AM

news image

সেন্ট লুসিয়াতেই বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। সাগর উত্তাল থাকায় সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকার যাত্রাও তাই এক দিন পেছানো হয়েছিল। তারপরও গত ৩০ জুন আটলান্টিক ও ক্যারিবিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে ডমিনিকা যাওয়ার পথে ভয়ংকর পরিস্হিতিতে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। ফেরিতে পাঁচ ঘণ্টার সমুদ্রযাত্রায় অসুস্হ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের কয়েক জন ক্রিকেটার।
এ ঘটনায় চরম সমালোচিত হয়েছিল বিসিবি। যদিও ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লিউআই) ওপর দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল বিসিবি। মঙ্গলবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ফেরিতে সমুদ্রযাত্রা নিয়ে স্বাগতিকদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন আয়োজনে সায় দেবে না বিসিবি। তবে সামগ্রিকভাবে ক্যারিবিয়ান বোর্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
সিডব্লিউআইকে কড়া বার্তা দেওয়ার পক্ষে নন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব এবং আমাদের উদ্বেগ জানাব, যেন ভবিষ্যতে এমন না হয়। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে — ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমাদের ফিউচার ট্যুর প্ল্যান বা ‘এ’ দলের প্ল্যান করে থাকি। এক্ষেত্রে বোর্ড টু বোর্ড সুসম্পর্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটা বিষয় হলো আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম, এ বিষয়টা ঠিক হবে না বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’ চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে।
তবে এমন ক্ষেত্রে অবশ্য বিসিবি সফরকারী দলের সুরক্ষাই আগে নিশ্চিত করত। ঝুঁকিপূর্ণ ফেরিতে সমুদ্রযাত্রার ব্যবস্থা করত না। নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের দেশ হলে ভিন্ন ব্যাপার হতো। আমরা সফরকারী দলকে আগে প্রাধান্য দিতাম। ওদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ভেন্যুগুলো এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে। ওদেরও কিছু লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ থাকে। করোনা পরিস্থিতির পর এই পরিস্থিতি ওদের জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হয়েছে। এসব কারণেই হয়তো এমন হচ্ছে।’
এদিকে, গায়ানায় পৌঁছে গতকাল অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। শিবনারায়ণ চন্দরপলের দেশ গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০’র প্রস্ত্ততিতে ঘাম ঝরিয়েছেন ক্রিকেটাররা। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। উইন্ডিজ সফরে এখনো জয়শূন্য টাইগাররা এ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে। কারণ, দুই ম্যাচ শেষে ১-০ তে পিছিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ডমিনিকায় প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই সিরিজ হার এড়াতে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সফরকারীদের সামনে।