শিরোনামঃ
১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২১.৮ শতাংশ কাঙ্ক্ষিত গতি নেই সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজেই ব্রাইডাল লুকে ধরা দিলেন অপু বিশ্বাস ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৫৬ কেন্দ্রে, একযোগে অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতি: শিকড়কে ভুলা যাবেনা গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু, নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চলছে সাগর-রুনি হত্যা তদন্তে ১২ বছরেও অগ্রগতি নেই, আদালতের অসন্তোষ  বিশ্ববাসীর প্রতি ইসরাইলকে শাস্তি দিতে আহ্বান কাতারের প্রধানমন্ত্রীর দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে আমদানি বিদ্যুৎ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সমঝোতা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা

কাঙ্ক্ষিত গতি নেই সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজেই

#
news image

সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজেই কাঙ্ক্ষিত গতি নেই। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের হার গত ৪৮ বছর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে তলানিতে নেমে গেছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাজেট বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে গতি বাড়াতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশন এডিপি বাস্তবায়নের হার না বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় প্রক্রিয়া সহজ করা হলেও মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারছে না। যদিও দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাদ দেয়া হয়েছে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো। আর স্থগিত করা হয়েছে কিছু প্রকল্পের কাজ। তবে বাদ দেয়া হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরোনো প্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্পই। অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন আনলেও গত এক বছরে বাজেট বাস্তবায়নে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও জেঁকে বসা অনিয়ম-দুর্নীতির চক্র পুরোপুরি ভাঙতে পারছে না। আর সেজন্যই দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানো সম্ভব হয়নি। বরং উল্টো কমেছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার।

এমন পরিস্থিতিতে সমপ্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নের আনুপাতিক হার বাড়াতে না পারলে দায়ী কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানকে ভর্ৎসনা করা হবে। এমনকি কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। একই সঙ্গে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে বেশি পিছিয়ে রয়েছে অর্থ বিভাগ সেসব বিভাগে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে। 

সূত্র জানায়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই বাজেট সংশোধন করা হবে। রীতি অনুযায়ী যা প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে করা হয়। তবে নির্বাচনের কারণে এবার তা আগাম করা হবে। গত অর্থবছরে এডিপি যা বাস্তবায়ন হয়েছে তা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৬৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস হিসেবে জুলাইয়ে এডিপির ১ শতাংশের কম বাস্তবায়িত হয়েছে।

তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের রেকর্ড ছিল। ওই অর্থবছর এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এমনকি মহামারি করোনাকাল লম্বা সময় লকডাউনে থাকার বছরও তার চেয়ে বেশি হারে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাস্তবায়ন ছিল ৮২ দশমিক ১১ শতাংশ। 

এদিকে এ প্রসঙ্গে সমপ্রতি সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, ১ শতাংশের কম এডিপি বাস্তবায়নের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর আগামী নির্বাচনের আগেই বাজেট সংশোধন করা হবে।

নাগরিক সংবাদ অনলাইন

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  9:51 PM

news image

সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজেই কাঙ্ক্ষিত গতি নেই। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের হার গত ৪৮ বছর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে তলানিতে নেমে গেছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা বাজেট বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে গতি বাড়াতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশন এডিপি বাস্তবায়নের হার না বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় প্রক্রিয়া সহজ করা হলেও মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারছে না। যদিও দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাদ দেয়া হয়েছে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো। আর স্থগিত করা হয়েছে কিছু প্রকল্পের কাজ। তবে বাদ দেয়া হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরোনো প্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্পই। অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন আনলেও গত এক বছরে বাজেট বাস্তবায়নে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও জেঁকে বসা অনিয়ম-দুর্নীতির চক্র পুরোপুরি ভাঙতে পারছে না। আর সেজন্যই দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানো সম্ভব হয়নি। বরং উল্টো কমেছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার।

এমন পরিস্থিতিতে সমপ্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নের আনুপাতিক হার বাড়াতে না পারলে দায়ী কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানকে ভর্ৎসনা করা হবে। এমনকি কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। একই সঙ্গে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে বেশি পিছিয়ে রয়েছে অর্থ বিভাগ সেসব বিভাগে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে। 

সূত্র জানায়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই বাজেট সংশোধন করা হবে। রীতি অনুযায়ী যা প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে করা হয়। তবে নির্বাচনের কারণে এবার তা আগাম করা হবে। গত অর্থবছরে এডিপি যা বাস্তবায়ন হয়েছে তা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৬৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস হিসেবে জুলাইয়ে এডিপির ১ শতাংশের কম বাস্তবায়িত হয়েছে।

তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের রেকর্ড ছিল। ওই অর্থবছর এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এমনকি মহামারি করোনাকাল লম্বা সময় লকডাউনে থাকার বছরও তার চেয়ে বেশি হারে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাস্তবায়ন ছিল ৮২ দশমিক ১১ শতাংশ। 

এদিকে এ প্রসঙ্গে সমপ্রতি সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, ১ শতাংশের কম এডিপি বাস্তবায়নের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর আগামী নির্বাচনের আগেই বাজেট সংশোধন করা হবে।