সিন্ধু পানি চুক্তি আর নয়: পাক জলসীমা বন্ধের ঘোষণা দিলেন অমিত শাহ

অনলাইন ডেস্ক
২১ জুন, ২০২৫, 7:58 PM

সিন্ধু পানি চুক্তি আর নয়: পাক জলসীমা বন্ধের ঘোষণা দিলেন অমিত শাহ
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি আর কখনোই পুনর্বহাল করা হবে না। বরং পাকিস্তানের দিকে যাওয়া পানির প্রবাহকে ভারত অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য রাজস্থানে সরিয়ে নেবে। শনিবার (২১ জুন) ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারতের অভিযোগ, ওই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে। এই অভিযোগের পরই নয়াদিল্লি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি ‘স্থগিত’ করার ঘোষণা দেয়।
এই চুক্তির আওতায় ভারতের শাখা নদীগুলো থেকে পাকিস্তানের কৃষিজমিতে সেচের জন্য প্রায় ৮০ শতাংশ পানি সরবরাহ হতো। পাকিস্তান শুরু থেকেই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
অমিত শাহ বলেন, “না, এটি আর কখনোই পুনর্বহাল হবে না। আমরা একটি খাল নির্মাণ করে পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি রাজস্থানে নিয়ে যাব। পাকিস্তান যে পানি অন্যায্যভাবে পাচ্ছিল, তা বন্ধ করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার, ভারতের অবস্থান আগের চেয়েও কঠোর হয়েছে এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে পানিবণ্টন নিয়ে ভবিষ্যৎ আলোচনার আশাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি আন্তঃসীমান্ত পানিবণ্টন ব্যবস্থার একটি নজির হিসেবে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরনের চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পাকিস্তান আগেই জানিয়েছে, এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার যেকোনো একতরফা পদক্ষেপকে তারা ‘যুদ্ধের উস্কানি’ হিসেবে বিবেচনা করবে। ইসলামাবাদ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ভারতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একদিকে ভারত যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, অন্যদিকে পানি নিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইতোমধ্যে রয়টার্স জানায়, ভারত একাধিক নদীর পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিয়েছে যা প্রতিশোধমূলক সিদ্ধান্তের অংশ।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে অতীতে তারা বলেছিল, আন্তর্জাতিক পানিসম্পদ চুক্তি লঙ্ঘনের পদক্ষেপের পরিণাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
অনলাইন ডেস্ক
২১ জুন, ২০২৫, 7:58 PM

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি আর কখনোই পুনর্বহাল করা হবে না। বরং পাকিস্তানের দিকে যাওয়া পানির প্রবাহকে ভারত অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য রাজস্থানে সরিয়ে নেবে। শনিবার (২১ জুন) ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারতের অভিযোগ, ওই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে। এই অভিযোগের পরই নয়াদিল্লি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি ‘স্থগিত’ করার ঘোষণা দেয়।
এই চুক্তির আওতায় ভারতের শাখা নদীগুলো থেকে পাকিস্তানের কৃষিজমিতে সেচের জন্য প্রায় ৮০ শতাংশ পানি সরবরাহ হতো। পাকিস্তান শুরু থেকেই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
অমিত শাহ বলেন, “না, এটি আর কখনোই পুনর্বহাল হবে না। আমরা একটি খাল নির্মাণ করে পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি রাজস্থানে নিয়ে যাব। পাকিস্তান যে পানি অন্যায্যভাবে পাচ্ছিল, তা বন্ধ করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার, ভারতের অবস্থান আগের চেয়েও কঠোর হয়েছে এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে পানিবণ্টন নিয়ে ভবিষ্যৎ আলোচনার আশাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি আন্তঃসীমান্ত পানিবণ্টন ব্যবস্থার একটি নজির হিসেবে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরনের চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পাকিস্তান আগেই জানিয়েছে, এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার যেকোনো একতরফা পদক্ষেপকে তারা ‘যুদ্ধের উস্কানি’ হিসেবে বিবেচনা করবে। ইসলামাবাদ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ভারতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একদিকে ভারত যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, অন্যদিকে পানি নিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে। ইতোমধ্যে রয়টার্স জানায়, ভারত একাধিক নদীর পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিয়েছে যা প্রতিশোধমূলক সিদ্ধান্তের অংশ।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে অতীতে তারা বলেছিল, আন্তর্জাতিক পানিসম্পদ চুক্তি লঙ্ঘনের পদক্ষেপের পরিণাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।