রক্ত দিলে যেসব উপকার পাওয়া যায়

#
news image

রক্তের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় মানুষকেই। রক্তদান নিঃসন্দেহে মহৎ ও মানবিক। তবে এর সাথে নানান জটিল দুরারোগ্য ব্যাধী থেকে বাঁচার উপায়ও হলো নিয়মিত রক্তদান। যেমন, ক্যান্সার। হ্যাঁ, নিয়মিত রক্তদান যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় তা বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত।

বিজ্ঞানীরা বলেন, রক্ত দেয়ার সময় শরীরের অতিরিক্ত লৌহ উপাদান বেরিয়ে যাওয়ার ফলে রক্তদাতার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। বছরে দুইবার রক্তদানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে মিলার-কিস্টোন ব্লাড সেন্টার সাড়ে চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে বের করেন যে, রক্তদানের সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার সরাসরি সম্পর্ক আছে।

যারা বছরে অন্তত দুই বার রক্ত দান করেন, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। বিশেষ করে গলা, ফুসফুস, লিভার, কোলন ও পাকস্থলী ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় রক্ত দিলে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ৩৭%!

রক্তদানে দাতার উপকার-

১. রক্ত দিলে শারীরিকভাবে মেরুমজ্জার রিজুভিনেশান বা স্টিমুলেশান হয়।

২. হৃদরোগ/স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৩. ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমে।

৪. বার্ধক্যজনিত ঝুঁকিও কমে রক্তদান করলে।

৫. রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে ‘ভালো আছি’ তৃপ্তিবোধ করতে পারা এবং অপার আনন্দের অনুভূতি উপভোগ করা যায়।

৬. রোগভেদে একেক রোগীর জন্যে রক্তের একেক উপাদান প্রয়োজন হতে পারে। তাই রক্তদানের পরপরই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে রক্তের উপাদানগুলো যথাযথভাবে পৃথক করা গেলে এটি সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে রক্তদাতাকে সরাসরি ল্যাবে গিয়ে রক্ত দিতে হবে। উন্নত ল্যাবে নিরাপদ ও দ্রুত সেবাদানের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে একব্যাগ রক্তকে ৮টি উপাদানে আলাদা করার ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ১. প্লাটিলেট কনসেনট্রেট ২. ফ্রেশ প্লাজমা ৩. ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা ৪. প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা ৫. প্লাটিলেট পুওর প্লাজমা ৬. প্রোটিন সলিউশন ৭. রেড সেল কনসেনট্রেট এবং ৮. ক্রায়ো-প্রিসিপিটেট। তার মানে এক ব্যাগ রক্তকে একইসঙ্গে কাজে লাগানো যাচ্ছে কয়েকজনের প্রয়োজনে।

৭. সকল ধর্মেই মানবকল্যাণ একটি পূণ্যের কাজ। রক্তদান উত্তম এক মহৎকর্ম। স্রষ্টার সস্তুষ্টি অর্জনে এটি ভালো কাজের অন্যতম উদাহরণ।

যারা রক্ত দিতে পারবেন না

বেশিরভাগ মানুষই রক্ত দিতে পারলেও কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে রক্তদান করা যায়না। সাধারণত ৫ টিটিআই বাহক, থ্যালাসেমিয়ার রোগী, লিউকেমিয়ার রোগী, হাইপোপ্লাস্টিক এনিমিয়া, হিমোফিলিয়া, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক রোগ, থাইরোটকসিকোসিস, এমফাইসেমা, ইনসুলিন নির্ভর (টাইপ-১) ডায়াবেটিস রোগীরা রক্ত দিতে পারবেন না।

অনলাইন ডেস্ক

২০ জুন, ২০২৫,  3:24 PM

news image

রক্তের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় মানুষকেই। রক্তদান নিঃসন্দেহে মহৎ ও মানবিক। তবে এর সাথে নানান জটিল দুরারোগ্য ব্যাধী থেকে বাঁচার উপায়ও হলো নিয়মিত রক্তদান। যেমন, ক্যান্সার। হ্যাঁ, নিয়মিত রক্তদান যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় তা বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত।

বিজ্ঞানীরা বলেন, রক্ত দেয়ার সময় শরীরের অতিরিক্ত লৌহ উপাদান বেরিয়ে যাওয়ার ফলে রক্তদাতার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। বছরে দুইবার রক্তদানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে মিলার-কিস্টোন ব্লাড সেন্টার সাড়ে চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে বের করেন যে, রক্তদানের সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার সরাসরি সম্পর্ক আছে।

যারা বছরে অন্তত দুই বার রক্ত দান করেন, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। বিশেষ করে গলা, ফুসফুস, লিভার, কোলন ও পাকস্থলী ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় রক্ত দিলে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ৩৭%!

রক্তদানে দাতার উপকার-

১. রক্ত দিলে শারীরিকভাবে মেরুমজ্জার রিজুভিনেশান বা স্টিমুলেশান হয়।

২. হৃদরোগ/স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৩. ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমে।

৪. বার্ধক্যজনিত ঝুঁকিও কমে রক্তদান করলে।

৫. রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে ‘ভালো আছি’ তৃপ্তিবোধ করতে পারা এবং অপার আনন্দের অনুভূতি উপভোগ করা যায়।

৬. রোগভেদে একেক রোগীর জন্যে রক্তের একেক উপাদান প্রয়োজন হতে পারে। তাই রক্তদানের পরপরই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে রক্তের উপাদানগুলো যথাযথভাবে পৃথক করা গেলে এটি সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে রক্তদাতাকে সরাসরি ল্যাবে গিয়ে রক্ত দিতে হবে। উন্নত ল্যাবে নিরাপদ ও দ্রুত সেবাদানের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে একব্যাগ রক্তকে ৮টি উপাদানে আলাদা করার ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ১. প্লাটিলেট কনসেনট্রেট ২. ফ্রেশ প্লাজমা ৩. ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা ৪. প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা ৫. প্লাটিলেট পুওর প্লাজমা ৬. প্রোটিন সলিউশন ৭. রেড সেল কনসেনট্রেট এবং ৮. ক্রায়ো-প্রিসিপিটেট। তার মানে এক ব্যাগ রক্তকে একইসঙ্গে কাজে লাগানো যাচ্ছে কয়েকজনের প্রয়োজনে।

৭. সকল ধর্মেই মানবকল্যাণ একটি পূণ্যের কাজ। রক্তদান উত্তম এক মহৎকর্ম। স্রষ্টার সস্তুষ্টি অর্জনে এটি ভালো কাজের অন্যতম উদাহরণ।

যারা রক্ত দিতে পারবেন না

বেশিরভাগ মানুষই রক্ত দিতে পারলেও কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে রক্তদান করা যায়না। সাধারণত ৫ টিটিআই বাহক, থ্যালাসেমিয়ার রোগী, লিউকেমিয়ার রোগী, হাইপোপ্লাস্টিক এনিমিয়া, হিমোফিলিয়া, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক রোগ, থাইরোটকসিকোসিস, এমফাইসেমা, ইনসুলিন নির্ভর (টাইপ-১) ডায়াবেটিস রোগীরা রক্ত দিতে পারবেন না।