‘ব্ল্যাক উইডো’ চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন জোহানসন

বিনোদন ডেস্ক
২০ জুন, ২০২৫, 5:36 AM

‘ব্ল্যাক উইডো’ চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন জোহানসন
একটি চরিত্রে দীর্ঘদিন অভিনয় করা একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে যেমন এনে দিতে পারে জনপ্রিয়তা, খ্যাতি ও আর্থিক সাফল্য, ঠিক তেমনই কেড়ে নিতে পারে সৃজনশীলতা ও নিজের মতো করে বেড়ে ওঠার স্বাধীনতা। সম্প্রতি মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের জনপ্রিয় চরিত্র ‘ব্ল্যাক উইডো’ রূপে অভিনয় করা অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
মার্কিন এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোহানসন বলেন, ‘কিছু সিনেমায় আমার চরিত্রের প্রতি যত্ন ছিল। যেমন, ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য উইনটার সোলজারে। তবে এমন অনেক ছবিতে আমার চরিত্র ছিল এত বড়, আর কাহিনি এত বিস্তৃত যে, মনে হতো আমি কেবল প্লট এগিয়ে নেওয়ার একটি যন্ত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি পাঁচ-ছয় মাস একটি চরিত্রে আবদ্ধ থাকেন, তখন ব্যক্তিগত অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়।
নখ রাঙানো, চুল কাটা, এমনকি নিজস্ব পরিচয়ও। আর সেই কাজ একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য যদি খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং না হয়, তখন একধরনের মানসিক ক্লান্তি ভর করে।’ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নেটফ্লিক্সের স্ট্রেঞ্জার থিংসের কথা। সিরিজটির পঞ্চম ও শেষ সিজন আসছে ২০২৫ সালের নভেম্বরে। কিন্তু এরই মধ্যে দর্শকমহলে আলোচনা চলছে যে, সিরিজে চরিত্রগুলো একই বয়সে আটকে রয়েছে, সেখানে বাস্তবে অভিনেতারা অনেকটাই পরিণত হয়ে উঠেছেন।
দীর্ঘ শুটিং বিরতি ও কাস্টদের বয়স বেড়ে যাওয়া এই সিরিজের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ফলে সিজনের কনটিনিউটি ধরে রাখার চেষ্টায় নির্মাতারা যেমন চাপে পড়েছেন, তেমনই অভিনেতারাও একঘেয়ে চরিত্রে আটকে থাকার ক্লান্তি প্রকাশ করছেন।
‘এমসিইউ’ হোক বা স্ট্রেঞ্জার থিংস, এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করা তারকারা অন্য প্রজেক্টে অভিনয় করলেও, অধিকাংশ দর্শক তাদের মনে রাখে কেবল একটি নির্দিষ্ট রূপেই।
স্কারলেট জোহানসনের বক্তব্য তাই শুধু একজন অভিনেত্রীর আত্মকথন নয়, বরং এটি হলো আধুনিক শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির এক বড় সত্য।
বিনোদন ডেস্ক
২০ জুন, ২০২৫, 5:36 AM

একটি চরিত্রে দীর্ঘদিন অভিনয় করা একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে যেমন এনে দিতে পারে জনপ্রিয়তা, খ্যাতি ও আর্থিক সাফল্য, ঠিক তেমনই কেড়ে নিতে পারে সৃজনশীলতা ও নিজের মতো করে বেড়ে ওঠার স্বাধীনতা। সম্প্রতি মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের জনপ্রিয় চরিত্র ‘ব্ল্যাক উইডো’ রূপে অভিনয় করা অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
মার্কিন এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোহানসন বলেন, ‘কিছু সিনেমায় আমার চরিত্রের প্রতি যত্ন ছিল। যেমন, ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য উইনটার সোলজারে। তবে এমন অনেক ছবিতে আমার চরিত্র ছিল এত বড়, আর কাহিনি এত বিস্তৃত যে, মনে হতো আমি কেবল প্লট এগিয়ে নেওয়ার একটি যন্ত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি পাঁচ-ছয় মাস একটি চরিত্রে আবদ্ধ থাকেন, তখন ব্যক্তিগত অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়।
নখ রাঙানো, চুল কাটা, এমনকি নিজস্ব পরিচয়ও। আর সেই কাজ একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য যদি খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং না হয়, তখন একধরনের মানসিক ক্লান্তি ভর করে।’ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নেটফ্লিক্সের স্ট্রেঞ্জার থিংসের কথা। সিরিজটির পঞ্চম ও শেষ সিজন আসছে ২০২৫ সালের নভেম্বরে। কিন্তু এরই মধ্যে দর্শকমহলে আলোচনা চলছে যে, সিরিজে চরিত্রগুলো একই বয়সে আটকে রয়েছে, সেখানে বাস্তবে অভিনেতারা অনেকটাই পরিণত হয়ে উঠেছেন।
দীর্ঘ শুটিং বিরতি ও কাস্টদের বয়স বেড়ে যাওয়া এই সিরিজের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ফলে সিজনের কনটিনিউটি ধরে রাখার চেষ্টায় নির্মাতারা যেমন চাপে পড়েছেন, তেমনই অভিনেতারাও একঘেয়ে চরিত্রে আটকে থাকার ক্লান্তি প্রকাশ করছেন।
‘এমসিইউ’ হোক বা স্ট্রেঞ্জার থিংস, এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করা তারকারা অন্য প্রজেক্টে অভিনয় করলেও, অধিকাংশ দর্শক তাদের মনে রাখে কেবল একটি নির্দিষ্ট রূপেই।
স্কারলেট জোহানসনের বক্তব্য তাই শুধু একজন অভিনেত্রীর আত্মকথন নয়, বরং এটি হলো আধুনিক শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির এক বড় সত্য।