শিরোনামঃ
ইহুদি জাতির চরিত্র নিয়ে যা লেখে আছে কোরআনে সুদের টাকা মসজিদে দান করা নিয়ে ইসলামে যা বলে ‘ব্ল্যাক উইডো’ চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন জোহানসন বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর : তারেক রহমান গল টে‌স্টে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশকে জবাব দি‌চ্ছে শ্রীলঙ্কা সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪৮ জন, সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে ১ জুলাই থেকে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে সুইস ব্যাংকে ৩৩ গুণ বেড়েছে বাংলাদেশি আমানত, অর্থ পাচারের নতুন সংকেত? সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী খ্যাতিমান আইনজীবী এড. তোফাজ্জল হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর : তারেক রহমান

#
news image

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, 'বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। '

তিনি বলেছেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।'

বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস, প্রতি বছর ২০ জুন জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। এটি বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের উদযাপন, সম্মান এবং অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আগামীকাল (শুক্রবার) এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে। পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক।

জাতিগত সহিংসতা ও রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই দিবসটির প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন এবং বিশ্বব্যাপী নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের মর্যাদা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে।

দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো- সেইসব শরণার্থীদের শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া, যারা দেশের সংঘাত ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আশ্রয় খুঁজে পেতে এবং উন্নত জীবন যাপনের আশায় অন্য দেশে গিয়ে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের সেই করুণ অভিজ্ঞতা আজও আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে স্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির, যেখানে ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিজ দেশের আবাস ছেড়ে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। এই সমস্যাকে এখন সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে এখন তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে, মানবিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি বর্তমান সরকারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।

রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে আমি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শরণার্থীদের নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনসহ তাদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।

অনলাইন ডেস্ক

২০ জুন, ২০২৫,  5:30 AM

news image

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, 'বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। '

তিনি বলেছেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।'

বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস, প্রতি বছর ২০ জুন জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। এটি বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের উদযাপন, সম্মান এবং অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আগামীকাল (শুক্রবার) এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে। পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক।

জাতিগত সহিংসতা ও রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই দিবসটির প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন এবং বিশ্বব্যাপী নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের মর্যাদা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে।

দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো- সেইসব শরণার্থীদের শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া, যারা দেশের সংঘাত ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আশ্রয় খুঁজে পেতে এবং উন্নত জীবন যাপনের আশায় অন্য দেশে গিয়ে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের সেই করুণ অভিজ্ঞতা আজও আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে স্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির, যেখানে ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিজ দেশের আবাস ছেড়ে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। এই সমস্যাকে এখন সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে এখন তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে, মানবিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে যে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি বর্তমান সরকারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।

রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে আমি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শরণার্থীদের নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনসহ তাদের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।