বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: প্রচলিত আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

অনলাইন ডেস্ক
০৮ এপ্রিল, ২০২৫, 12:38 AM

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: প্রচলিত আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
বিয়ের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রচলিত আইনকে অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার, ৭ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন তিনটি বিভাগের সচিব—আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের পারস্পরিক সম্মতিতে গঠিত যৌন সম্পর্ক যদি কেবল ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করা’র কারণে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাহলে তা ব্যক্তি স্বাধীনতা, নারী অধিকার এবং সংবিধান স্বীকৃত ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকারকে লঙ্ঘন করে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “এ ধরনের মামলা শুধু পুরুষদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে দায়ের হয়, যা সংবিধানবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট। এতে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা ও স্বতন্ত্রতা অস্বীকার করা হয় এবং সমাজে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।”
রিটকারীরা আরও উল্লেখ করেন, এই আইনের মাধ্যমে নারীদের ‘নির্বোধ’ বা ‘লোভী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা তাদের সম্মানহানিকর এবং বৈষম্যমূলক।
এই রিটের মাধ্যমে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার বিধান বাতিল চেয়ে আদালতের কাছে রুল চাওয়া হয়েছে—এই বিধান কেন অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং বাতিলযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা তলব করার আবেদন জানানো হয়।
রিটটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালেদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক
০৮ এপ্রিল, ২০২৫, 12:38 AM

বিয়ের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রচলিত আইনকে অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার, ৭ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন তিনটি বিভাগের সচিব—আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের পারস্পরিক সম্মতিতে গঠিত যৌন সম্পর্ক যদি কেবল ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করা’র কারণে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাহলে তা ব্যক্তি স্বাধীনতা, নারী অধিকার এবং সংবিধান স্বীকৃত ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকারকে লঙ্ঘন করে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “এ ধরনের মামলা শুধু পুরুষদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে দায়ের হয়, যা সংবিধানবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট। এতে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা ও স্বতন্ত্রতা অস্বীকার করা হয় এবং সমাজে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।”
রিটকারীরা আরও উল্লেখ করেন, এই আইনের মাধ্যমে নারীদের ‘নির্বোধ’ বা ‘লোভী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা তাদের সম্মানহানিকর এবং বৈষম্যমূলক।
এই রিটের মাধ্যমে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার বিধান বাতিল চেয়ে আদালতের কাছে রুল চাওয়া হয়েছে—এই বিধান কেন অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং বাতিলযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা তলব করার আবেদন জানানো হয়।
রিটটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালেদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।