শিরোনামঃ
খ্যাতিমান আইনজীবী এড. তোফাজ্জল হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত চিঠির খামে জমে থাকা অশ্রু যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব চীনের, ১০৪ শতাংশের জবাবে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১৬ কোটি টাকা জব্দের নির্দেশ এবার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকাকে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে যা বললেন রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা থার্ড টেম্পল কী? ইহুদিরা কেন আল আকসার জায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে চায়? যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত মিশরের সশস্ত্র বাহিনী! বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: প্রচলিত আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

উদ্বৃত্ত ধানের দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণহীন

#
news image

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষত রংপুরসহ ১৬টি জেলায়, প্রতি বছর আমন, আউশ ও বোরো মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও এ অঞ্চলে বছরে ৫৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তু এত উৎপাদনের পরও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সাধারণত আমন মৌসুমে চালের দাম নিম্নমুখী হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় সরু চালের দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে এবং প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তা ২১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কয়েকদিন আগেও এটি ১৯৫০-২০০০ টাকায় পাওয়া যেত। নাজিরশাইল চালের দামও ৪-৫ টাকা বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা কেজি হয়েছে। মোটা চাল, যেমন স্বর্ণা ও ব্রিধান-২৯, পাইকারি বাজারে ৫০-৫২ টাকায় এবং খুচরা বাজারে ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ অবস্থায় সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়া হচ্ছে না, বরং বেশি মুনাফার আশায় গুদামজাত করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও রাইস মিল মালিক সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চালের আড়তদারদের মতে, বড় কৃষক ও রাইস মিল মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধান মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন, যা মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

এছাড়া, সম্প্রতি পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াও চালের দামে প্রভাব ফেলছে। ক্রেতারা বলছেন, চালের বাজারের এই অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা ভোক্তাদের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে হাওর অঞ্চলে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে দাম কমতে পারে। তবে এটি কেবল সম্ভাবনা মাত্র।

সরকারের উচিত বাজার তদারকি বাড়ানো, গুদামে মজুত রাখা চালের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করা এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অন্যথায়, উদ্বৃত্ত ধানের দেশেও চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে থাকবে।

অনলাইন ডেস্ক

২৩ মার্চ, ২০২৫,  10:41 PM

news image

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষত রংপুরসহ ১৬টি জেলায়, প্রতি বছর আমন, আউশ ও বোরো মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও এ অঞ্চলে বছরে ৫৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তু এত উৎপাদনের পরও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সাধারণত আমন মৌসুমে চালের দাম নিম্নমুখী হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় সরু চালের দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে এবং প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তা ২১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কয়েকদিন আগেও এটি ১৯৫০-২০০০ টাকায় পাওয়া যেত। নাজিরশাইল চালের দামও ৪-৫ টাকা বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা কেজি হয়েছে। মোটা চাল, যেমন স্বর্ণা ও ব্রিধান-২৯, পাইকারি বাজারে ৫০-৫২ টাকায় এবং খুচরা বাজারে ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ অবস্থায় সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়া হচ্ছে না, বরং বেশি মুনাফার আশায় গুদামজাত করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও রাইস মিল মালিক সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। চালের আড়তদারদের মতে, বড় কৃষক ও রাইস মিল মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধান মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন, যা মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

এছাড়া, সম্প্রতি পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াও চালের দামে প্রভাব ফেলছে। ক্রেতারা বলছেন, চালের বাজারের এই অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা ভোক্তাদের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে হাওর অঞ্চলে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হলে দাম কমতে পারে। তবে এটি কেবল সম্ভাবনা মাত্র।

সরকারের উচিত বাজার তদারকি বাড়ানো, গুদামে মজুত রাখা চালের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করা এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অন্যথায়, উদ্বৃত্ত ধানের দেশেও চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে থাকবে।