ইউনূস-মোদীর বৈঠক চেয়ে চিঠি, এখনও দিল্লির উত্তর পায়নি ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মার্চ, ২০২৫, 9:48 PM

ইউনূস-মোদীর বৈঠক চেয়ে চিঠি, এখনও দিল্লির উত্তর পায়নি ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাত দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের উদ্যোগ নেয় ঢাকা। তবে এখনও পর্যন্ত দিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর আসেনি।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখনও কোনো উত্তর আসেনি। আমরা কেবলমাত্র তাদের অবহিত করেছি।”
বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এই মুহূর্তে এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।”
এর আগে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের জন্য কূটনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এর তিন দিন পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রী ইউনূস ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে দুই দফা বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার বিমসটেক সম্মেলনের মাধ্যমে সেই সুযোগ আবারও এসেছে।
উল্লেখ্য, বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা পিছিয়ে নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। সেই সময়ও ইউনূস-মোদীর বৈঠকের আলোচনা ওঠে, তবে তা সফল হয়নি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ও তা সম্ভব হয়নি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তখন জানান, ইউনূসের নিউ ইয়র্ক পৌঁছানোর আগেই মোদী সেখান থেকে চলে যাবেন বলে জানা গেছে, তাই বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।
একইভাবে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে সামোয়া কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনেও দুই নেতার সাক্ষাৎ হতে পারত। কিন্তু তারা কেউই সে সম্মেলনে যোগ দেননি।
বৈঠক না হওয়ার পেছনে কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারকে দায়ী করেছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনূসের ওই মন্তব্য দিল্লি ইতিবাচকভাবে নেয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংকক সফরে যাবেন এবং ৪ এপ্রিল সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে আসবেন। এখন দেখার বিষয়, তার সফরের আগে বা সম্মেলনের সময় ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসে কি না।
অনলাইন ডেস্ক
২৩ মার্চ, ২০২৫, 9:48 PM

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাত দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের উদ্যোগ নেয় ঢাকা। তবে এখনও পর্যন্ত দিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর আসেনি।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখনও কোনো উত্তর আসেনি। আমরা কেবলমাত্র তাদের অবহিত করেছি।”
বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এই মুহূর্তে এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।”
এর আগে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের জন্য কূটনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এর তিন দিন পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রী ইউনূস ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে দুই দফা বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার বিমসটেক সম্মেলনের মাধ্যমে সেই সুযোগ আবারও এসেছে।
উল্লেখ্য, বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা পিছিয়ে নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। সেই সময়ও ইউনূস-মোদীর বৈঠকের আলোচনা ওঠে, তবে তা সফল হয়নি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ও তা সম্ভব হয়নি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তখন জানান, ইউনূসের নিউ ইয়র্ক পৌঁছানোর আগেই মোদী সেখান থেকে চলে যাবেন বলে জানা গেছে, তাই বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।
একইভাবে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে সামোয়া কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনেও দুই নেতার সাক্ষাৎ হতে পারত। কিন্তু তারা কেউই সে সম্মেলনে যোগ দেননি।
বৈঠক না হওয়ার পেছনে কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারকে দায়ী করেছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনূসের ওই মন্তব্য দিল্লি ইতিবাচকভাবে নেয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংকক সফরে যাবেন এবং ৪ এপ্রিল সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে আসবেন। এখন দেখার বিষয়, তার সফরের আগে বা সম্মেলনের সময় ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসে কি না।