আড়াই মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় ৮৮ মামলা, গ্রেপ্তার ৭০
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, 11:20 PM
আড়াই মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় ৮৮ মামলা, গ্রেপ্তার ৭০
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আড়াই মাসে (৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর) দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় মোট ৮৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭০ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
প্রেস সচিব বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাইনোরিটি রিলেটেড (সংখ্যালঘু) সহিংসতায় ৭০ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনায় ৮৮ মামলা হয়েছে। যারা ন্যক্কারজনক এসব ঘটনায় জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কোনো ছাড় নয়। এ কাজে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ ও নরসিংদীর ঘটনায় আপডেট দেব।
তিনি বলেন, অনেকে সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, সদ্য পলায়ন করা দল আওয়ামী লীগের পদধারী ছিলেন। সেই কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে যে কোনো ক্রাইম হলেই আমরা এগুলো সিরিয়াসলি নিচ্ছি। এগুলোও ক্রাইম হিসেবে দেখে সিরিয়াসলি নেওয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওইসব জায়গায় নতুন কিছু ঘটনা ঘটলে গ্রেপ্তার ও মামলার সংখ্যা বাড়বে। এসব মামলার বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে পদোন্নতি বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটিকে ৯০ দিনের সময়সীমার সাথে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও তারা সময়সীমার আগেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন।
আজাদ বলেন, কমিটি সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১,৫৪০টি আবেদন গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো পরীক্ষা করার পরে এটি পূর্ববর্তী প্রভাবে ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে।
সরকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্নভাবে পদোন্নতি-বঞ্চিত বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করার জন্য সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, 11:20 PM
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আড়াই মাসে (৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর) দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় মোট ৮৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭০ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
প্রেস সচিব বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাইনোরিটি রিলেটেড (সংখ্যালঘু) সহিংসতায় ৭০ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনায় ৮৮ মামলা হয়েছে। যারা ন্যক্কারজনক এসব ঘটনায় জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কোনো ছাড় নয়। এ কাজে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ ও নরসিংদীর ঘটনায় আপডেট দেব।
তিনি বলেন, অনেকে সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, সদ্য পলায়ন করা দল আওয়ামী লীগের পদধারী ছিলেন। সেই কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে যে কোনো ক্রাইম হলেই আমরা এগুলো সিরিয়াসলি নিচ্ছি। এগুলোও ক্রাইম হিসেবে দেখে সিরিয়াসলি নেওয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওইসব জায়গায় নতুন কিছু ঘটনা ঘটলে গ্রেপ্তার ও মামলার সংখ্যা বাড়বে। এসব মামলার বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে পদোন্নতি বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটি আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটিকে ৯০ দিনের সময়সীমার সাথে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও তারা সময়সীমার আগেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন।
আজাদ বলেন, কমিটি সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১,৫৪০টি আবেদন গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো পরীক্ষা করার পরে এটি পূর্ববর্তী প্রভাবে ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে।
সরকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্নভাবে পদোন্নতি-বঞ্চিত বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করার জন্য সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।