জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন, দ্রুত ব্যবস্থা নিন
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, 11:07 PM
জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন, দ্রুত ব্যবস্থা নিন
সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান করছে শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েই ঝুঁকিতে থাকেন সবসময়। জানা গেছে পিরোজপুরে ইন্দুরকানী সরকারি সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালে স্থাপিত ভবনটি সিডরে বিধ্বস্ত হলে ২০ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ভবনটি একেবারে ধ্বংস হতে চলছে।
বর্তমান মূল অ্যাকাডেমিক ভবনের নীচ তলায় প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, শিক্ষকদের লাইব্রেরি বাকি শ্রেণিকক্ষে ভাগ করে অনেক কষ্ট করে ছাত্রীরা ক্লাস করছে। অনেক বছর আগে বিদ্যালয়টি সংস্কার করার বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার কাজ করেনি। এছাড়া ইন্দুরকানী সরকারি ডিগ্রি কলেজের সংস্কারের অভাবে ভবনটি একেবারে ধ্বংস হতে চলছে বর্তমান মূল অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলায় কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষার কার্যক্রম চলছে।
ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা, তাদের পাঠদান চরম ব্যাহত হচ্ছে এবং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এদিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বেশ কটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা। উপজেলার হাঁসখালী, গাইয়াখালী, নাটানা, পুইজালা, দিঘলারআইট, কমলাপুর, লক্ষ্মীখালী, পশ্চিম ফটিকখালী, বৈকরঝুটি ও খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। এসব বিদ্যালয়ে কবে নতুন ভবন হবে, তা বলতে পারেন না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
ফলে স্কুলভবনগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কোনো কোনো বিদ্যালয়ের ভবন এক যুগ ধরে বেহাল। কোনো ভবনের ছাদ নষ্ট হয়ে গেছে, এমনকি ছাদের বড় বড় অংশ মাঝেমধ্যে খসে পড়ে। এতে আহত হয় শিক্ষার্থীরা। ছাদ ধসে পড়ায় এক শিক্ষক গুরুতর আহতও হন। বেশির ভাগ ভবনের দেয়াল ও পিলার ফাঁক হয়ে রড বের হয়ে গেছে।
দরজা-জানালার অবস্থাও নাজুক। দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে জানালাগুলো। বর্ষাকালে বা বৃষ্টির মৌসুমে এমন স্কুলভবনে পাঠদান কার্যক্রম কেমন চলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিনের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী স্কুলঘর বানিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন শ্রেণিকক্ষে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান না।
একটি স্কুলে একসময় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল, এখন তা কমে হয়েছে অর্ধশতাধিক। কয়েকটি স্কুলে শৌচাগারও ভেঙে পড়েছে। তাহলে কেন শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসবে? এছাড়াও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে একটি শ্রেণি কক্ষে চলছে ৬ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ লাইব্রেরিতে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এমন সমস্যা একটি উদ্বেগের সৃষ্টি করি। স্কুলগুলোর নতুন ভবন নির্মাণে বরাদ্দের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আমরা আশা করি। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান একান্ত জরুরি।
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, 11:07 PM
সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান করছে শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েই ঝুঁকিতে থাকেন সবসময়। জানা গেছে পিরোজপুরে ইন্দুরকানী সরকারি সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালে স্থাপিত ভবনটি সিডরে বিধ্বস্ত হলে ২০ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ভবনটি একেবারে ধ্বংস হতে চলছে।
বর্তমান মূল অ্যাকাডেমিক ভবনের নীচ তলায় প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, শিক্ষকদের লাইব্রেরি বাকি শ্রেণিকক্ষে ভাগ করে অনেক কষ্ট করে ছাত্রীরা ক্লাস করছে। অনেক বছর আগে বিদ্যালয়টি সংস্কার করার বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার কাজ করেনি। এছাড়া ইন্দুরকানী সরকারি ডিগ্রি কলেজের সংস্কারের অভাবে ভবনটি একেবারে ধ্বংস হতে চলছে বর্তমান মূল অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলায় কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষার কার্যক্রম চলছে।
ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা, তাদের পাঠদান চরম ব্যাহত হচ্ছে এবং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এদিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বেশ কটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা। উপজেলার হাঁসখালী, গাইয়াখালী, নাটানা, পুইজালা, দিঘলারআইট, কমলাপুর, লক্ষ্মীখালী, পশ্চিম ফটিকখালী, বৈকরঝুটি ও খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। এসব বিদ্যালয়ে কবে নতুন ভবন হবে, তা বলতে পারেন না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
ফলে স্কুলভবনগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কোনো কোনো বিদ্যালয়ের ভবন এক যুগ ধরে বেহাল। কোনো ভবনের ছাদ নষ্ট হয়ে গেছে, এমনকি ছাদের বড় বড় অংশ মাঝেমধ্যে খসে পড়ে। এতে আহত হয় শিক্ষার্থীরা। ছাদ ধসে পড়ায় এক শিক্ষক গুরুতর আহতও হন। বেশির ভাগ ভবনের দেয়াল ও পিলার ফাঁক হয়ে রড বের হয়ে গেছে।
দরজা-জানালার অবস্থাও নাজুক। দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে জানালাগুলো। বর্ষাকালে বা বৃষ্টির মৌসুমে এমন স্কুলভবনে পাঠদান কার্যক্রম কেমন চলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিনের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী স্কুলঘর বানিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন শ্রেণিকক্ষে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান না।
একটি স্কুলে একসময় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল, এখন তা কমে হয়েছে অর্ধশতাধিক। কয়েকটি স্কুলে শৌচাগারও ভেঙে পড়েছে। তাহলে কেন শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসবে? এছাড়াও বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে একটি শ্রেণি কক্ষে চলছে ৬ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ লাইব্রেরিতে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এমন সমস্যা একটি উদ্বেগের সৃষ্টি করি। স্কুলগুলোর নতুন ভবন নির্মাণে বরাদ্দের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আমরা আশা করি। খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান একান্ত জরুরি।