বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছে ত্রিপুরা: বললেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 12:27 AM
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছে ত্রিপুরা: বললেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা। শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে ত্রিপুরা।’’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুভেন্দুর মতো মানিক সাহাও একই দাবি তুলে বলেছেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও যেকোনও কিছুই ঘটতে পারে।’’
ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের নিশানা করে হামলা শেষের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বাঁচার লড়াই করছেন।’’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার দিনই আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিএসএফ এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’’
ভারতের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম আসাম ট্রিবিউন বলেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে কয়লা, মাছ এবং অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমে গেছে। উভয় দেশের মাঝে কেবল প্ল্যাস্টিক পণ্যের বাণিজ্য চলমান আছে।
বাংলাদেশ থেকে কেবল গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে আসাম ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছে ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগ। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতের কর্মকর্তারা উভয় দেশের মাঝে স্বাভাবিক বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী।
ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যব্ষিয়ক একটি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মাঝে বাণিজ্য ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০১৩-১৪ সালে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৩০ দশমিক ২৪ কোটি রুপি। ২০২৩-২৪ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে ৭১৫ দশমিক ৯৮ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে মাত্র ১২ দশমিক ৩১ কোটি রুপির পণ্য-সামগ্রীর রপ্তানি হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরার আমদানির পরিমাণ ছিল ৭০৩ দশমিক ৬৭ কোটি রুপির।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকে ভাঙা পাথর, ভুট্টা, আগরবাতি, আদা, শুকনো মরিচ, সবজির বীজ এবং কাঠ আপেল আমদানি করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় মাছ, সিমেন্ট, খাদ্যপণ্য, স্টিল, পিভিসি পাইপ, কোমল পানীয় এবং তুলার বর্জ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা হয়। ঢাকা পোষ্ট।
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 12:27 AM
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা। শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে ত্রিপুরা।’’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুভেন্দুর মতো মানিক সাহাও একই দাবি তুলে বলেছেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও যেকোনও কিছুই ঘটতে পারে।’’
ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের নিশানা করে হামলা শেষের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বাঁচার লড়াই করছেন।’’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছাড়ার দিনই আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিএসএফ এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। সীমান্ত সুরক্ষিত রাখাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’’
ভারতের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম আসাম ট্রিবিউন বলেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে কয়লা, মাছ এবং অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমে গেছে। উভয় দেশের মাঝে কেবল প্ল্যাস্টিক পণ্যের বাণিজ্য চলমান আছে।
বাংলাদেশ থেকে কেবল গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে আসাম ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছে ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগ। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতের কর্মকর্তারা উভয় দেশের মাঝে স্বাভাবিক বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী।
ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যব্ষিয়ক একটি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মাঝে বাণিজ্য ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০১৩-১৪ সালে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৩০ দশমিক ২৪ কোটি রুপি। ২০২৩-২৪ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে ৭১৫ দশমিক ৯৮ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে মাত্র ১২ দশমিক ৩১ কোটি রুপির পণ্য-সামগ্রীর রপ্তানি হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরার আমদানির পরিমাণ ছিল ৭০৩ দশমিক ৬৭ কোটি রুপির।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকে ভাঙা পাথর, ভুট্টা, আগরবাতি, আদা, শুকনো মরিচ, সবজির বীজ এবং কাঠ আপেল আমদানি করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় মাছ, সিমেন্ট, খাদ্যপণ্য, স্টিল, পিভিসি পাইপ, কোমল পানীয় এবং তুলার বর্জ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা হয়। ঢাকা পোষ্ট।