বাংলায় আগুন লাগালে মোদির চেয়ার টলমল করে দেব, হুঁশিয়ারি মমতার
নাগরিক প্রতিবেদন
২৮ আগস্ট, ২০২৪, 6:53 PM
বাংলায় আগুন লাগালে মোদির চেয়ার টলমল করে দেব, হুঁশিয়ারি মমতার
আরজি কর হাসপাতালের নারী শিক্ষানবীশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে আজ ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বনধ’ কর্মসূচি চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। এদিন কর্মসূচি পালন করতে আসা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ আজও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন মোদি নিজে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তার রাজ্যকে অস্থিতিশীল করা হয় তাহলে মোদিকে গদি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
মমতা বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ ! আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংষ্কৃতি আর আমাদের সংষ্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদি বাবু আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন। মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান, আসামও থেমে থাকবে না। নর্থইস্টও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহার-ঝাড়খণ্ড-দিল্লি ও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা টলমল করে দেব।”
মমতা আরও বলেন, “বিজেপির মতো অত্যাচারী, অহংকারী, চক্রান্তকারী, আমি দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শুধু এজেন্সি লাগিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে ঘটনায় তো পদত্যাগ করেননি।” গতকাল পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল ছাত্রসমাজ। এ নিয়েও কথা বলেছেন মমতা। তার দাবি নবান্ন ঘেরাওয়ের মাধ্যমে লাশ ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। যেন আন্দোলন উস্কে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এমনটি হতে দেয়নি। তিনি বলেছেন, “গতকাল ওরা লাশ চেয়েছিল, পুলিশ সংযত ছিল, রক্ত দিয়েছে, ধৈর্য দেখিয়েছে, পুলিশকে স্যালুট।”
অপরদিকে আরজি করের ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দেওয়া নিয়ে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, চেয়েছিলাম ফাস্ট ট্র্যাক নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দিতে। ধর্ষণ করলে একমাত্র শাস্তি ফাঁসি, রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে ৭ দিনে ফাঁসি দিতাম। আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে ধর্ষণবিরোধী বিল পাস করাব।”
সূত্র: এবিপি
নাগরিক প্রতিবেদন
২৮ আগস্ট, ২০২৪, 6:53 PM
আরজি কর হাসপাতালের নারী শিক্ষানবীশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে আজ ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বনধ’ কর্মসূচি চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। এদিন কর্মসূচি পালন করতে আসা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ আজও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন মোদি নিজে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তার রাজ্যকে অস্থিতিশীল করা হয় তাহলে মোদিকে গদি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
মমতা বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ ! আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংষ্কৃতি আর আমাদের সংষ্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদি বাবু আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন। মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান, আসামও থেমে থাকবে না। নর্থইস্টও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহার-ঝাড়খণ্ড-দিল্লি ও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা টলমল করে দেব।”
মমতা আরও বলেন, “বিজেপির মতো অত্যাচারী, অহংকারী, চক্রান্তকারী, আমি দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শুধু এজেন্সি লাগিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে ঘটনায় তো পদত্যাগ করেননি।” গতকাল পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল ছাত্রসমাজ। এ নিয়েও কথা বলেছেন মমতা। তার দাবি নবান্ন ঘেরাওয়ের মাধ্যমে লাশ ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। যেন আন্দোলন উস্কে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এমনটি হতে দেয়নি। তিনি বলেছেন, “গতকাল ওরা লাশ চেয়েছিল, পুলিশ সংযত ছিল, রক্ত দিয়েছে, ধৈর্য দেখিয়েছে, পুলিশকে স্যালুট।”
অপরদিকে আরজি করের ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দেওয়া নিয়ে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, চেয়েছিলাম ফাস্ট ট্র্যাক নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দিতে। ধর্ষণ করলে একমাত্র শাস্তি ফাঁসি, রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে ৭ দিনে ফাঁসি দিতাম। আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে ধর্ষণবিরোধী বিল পাস করাব।”
সূত্র: এবিপি