শিরোনামঃ
খ্যাতিমান আইনজীবী এড. তোফাজ্জল হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত চিঠির খামে জমে থাকা অশ্রু যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব চীনের, ১০৪ শতাংশের জবাবে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১৬ কোটি টাকা জব্দের নির্দেশ এবার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকাকে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে যা বললেন রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা থার্ড টেম্পল কী? ইহুদিরা কেন আল আকসার জায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে চায়? যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত মিশরের সশস্ত্র বাহিনী! বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক: প্রচলিত আইন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

#
news image

রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই ভোঁ দৌড়। ডাগআউট থেকে ফুটবলারদের সঙ্গে যোগ দিলেন সাপোর্ট স্টাফরাও। শিরোপার উল্লাস বাংলাদেশের। পিনপতন নীরবতা নেমে এলো আনফা কমপ্লেক্সের গ্যালারিতে। অবশ্য ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে রেখেছিল লাল-সবুজের দল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৪-১ গোলে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের এই ফরম্যাটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মিরাজুলের গোলে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে মিরাজুল ও রাহুলের গোলে ৭০ মিনিটে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকে। ৮০ মিনিটে নেপাল এক গোল পরিশোধ করে।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে রেফারি ১০ মিনিট ইনজুরি সময় দেয়। নেপাল গোলের চেষ্টা করে উল্টো আরও এক গোল হজম করে। বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে প্রথমার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষে রেফারি ২ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। সেই ইনজুরি সময় বাংলাদেশ লিড নেয়। বক্সের বাইরে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলামকে ফাউল করে। রেফারি ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নেন মিরাজুল। বাঁকানো শটে নেপালী গোলরক্ষক সম্পূর্ণ পরাস্ত হন। সাইড পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়। বাংলাদেশের গোলের সঙ্গে সঙ্গে আনফা কমপ্লেক্সের গ্যালারি নীরব হয়ে যায়।

পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে ছিল নেপালের সমর্থন। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য নেপালই বেশি প্রাধান্য বিস্তার করেছে। বল পজেশন ও আক্রমণে স্বাগতিকরাই এগিয়ে ছিল। গোলের সুযোগও মিস করেছে কয়েকটি। বাংলাদেশ কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও সেই রকম সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধের ৭ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে। বাঁ প্রান্ত থেকে আক্রমণে ওঠে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নেপালের বক্সে ফেলা ক্রস বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড সতীর্থ মিরাজুলের উদ্দেশে পাঠান। পোস্টের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো মিরাজুল হেডে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।  দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর নেপাল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি। বাংলাদেশ আরও আধিপত্য নিয়ে খেলেছে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যবধান আরও বাড়ায়। রাব্বি হোসেন রাহুল জালের দেখা পেলেন এবার। এই গোলের যোগানদাতা জোড়া গোল স্কোরার মিরাজুল। মিরাজুলের বাড়ানো বলে বক্সে আড়াআড়ি শটে গোল করেন রাহুল। সুন্দর ফিনিশিং করেন সিনিয়র দলে ডাক পাওয়া এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে অধিক সংখ্যক আক্রমণ করলেও নেপাল গোল পায় ৮০ তম মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে বাংলাদেশ বক্সে পড়ে। গোলরক্ষক আসিফ ও ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। বক্সে ফাকায় দাঁড়ানো নেপালী ফরোয়ার্ড হেডে জালে পাঠান। ম্যাচের বাকি সময় নেপাল খেলায় ফেরার চেষ্টা করে সর্বাত্মক। উল্টো গোল ব্যবধান বাড়ে। অ-২০ খেলা হলেও উত্তেজনা ছিল অনেক। ৭০ মিনিটের পর নেপালী দর্শকরা বাংলাদেশি বক্সে বোতল ছুড়েছে। দুই দলের ফুটবলাররাও উত্তপ্ত ছিলেন।

নাগরিক প্রতিবেদন

২৮ আগস্ট, ২০২৪,  5:37 PM

news image

রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই ভোঁ দৌড়। ডাগআউট থেকে ফুটবলারদের সঙ্গে যোগ দিলেন সাপোর্ট স্টাফরাও। শিরোপার উল্লাস বাংলাদেশের। পিনপতন নীরবতা নেমে এলো আনফা কমপ্লেক্সের গ্যালারিতে। অবশ্য ম্যাচের প্রথমার্ধ থেকেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে রেখেছিল লাল-সবুজের দল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৪-১ গোলে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের এই ফরম্যাটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মিরাজুলের গোলে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে মিরাজুল ও রাহুলের গোলে ৭০ মিনিটে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকে। ৮০ মিনিটে নেপাল এক গোল পরিশোধ করে।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে রেফারি ১০ মিনিট ইনজুরি সময় দেয়। নেপাল গোলের চেষ্টা করে উল্টো আরও এক গোল হজম করে। বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে প্রথমার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষে রেফারি ২ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। সেই ইনজুরি সময় বাংলাদেশ লিড নেয়। বক্সের বাইরে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলামকে ফাউল করে। রেফারি ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নেন মিরাজুল। বাঁকানো শটে নেপালী গোলরক্ষক সম্পূর্ণ পরাস্ত হন। সাইড পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়। বাংলাদেশের গোলের সঙ্গে সঙ্গে আনফা কমপ্লেক্সের গ্যালারি নীরব হয়ে যায়।

পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে ছিল নেপালের সমর্থন। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য নেপালই বেশি প্রাধান্য বিস্তার করেছে। বল পজেশন ও আক্রমণে স্বাগতিকরাই এগিয়ে ছিল। গোলের সুযোগও মিস করেছে কয়েকটি। বাংলাদেশ কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও সেই রকম সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধের ৭ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে। বাঁ প্রান্ত থেকে আক্রমণে ওঠে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নেপালের বক্সে ফেলা ক্রস বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড সতীর্থ মিরাজুলের উদ্দেশে পাঠান। পোস্টের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো মিরাজুল হেডে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।  দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর নেপাল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি। বাংলাদেশ আরও আধিপত্য নিয়ে খেলেছে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যবধান আরও বাড়ায়। রাব্বি হোসেন রাহুল জালের দেখা পেলেন এবার। এই গোলের যোগানদাতা জোড়া গোল স্কোরার মিরাজুল। মিরাজুলের বাড়ানো বলে বক্সে আড়াআড়ি শটে গোল করেন রাহুল। সুন্দর ফিনিশিং করেন সিনিয়র দলে ডাক পাওয়া এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে অধিক সংখ্যক আক্রমণ করলেও নেপাল গোল পায় ৮০ তম মিনিটে। মাঝ মাঠ থেকে বাংলাদেশ বক্সে পড়ে। গোলরক্ষক আসিফ ও ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। বক্সে ফাকায় দাঁড়ানো নেপালী ফরোয়ার্ড হেডে জালে পাঠান। ম্যাচের বাকি সময় নেপাল খেলায় ফেরার চেষ্টা করে সর্বাত্মক। উল্টো গোল ব্যবধান বাড়ে। অ-২০ খেলা হলেও উত্তেজনা ছিল অনেক। ৭০ মিনিটের পর নেপালী দর্শকরা বাংলাদেশি বক্সে বোতল ছুড়েছে। দুই দলের ফুটবলাররাও উত্তপ্ত ছিলেন।