ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা

নাগরিক জাবি প্রতিনিধি
১০ জুলাই, ২০২৪, 5:14 PM

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে (১ - ২০) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ( প্রতিবন্ধী ও উপজাতি) কোটাকে নূন্যতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করার দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০জুলাই) সকাল সোয়া দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা সাড়ে দশটা থেকে সড়ক অবরোধ করা শুরু করেন।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' প্লাটফর্মের পূর্বঘোষিত ‘সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, আমরা আমাদের এক দফা দাবির জন্য আন্দোলন করছি, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হচ্ছে, সারা বাংলাদেশ ব্লক হয়ে যাচ্ছে। আমরা হাইকোর্টকে অনুরোধ করবো আজকের রায় যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে না যায়, গণ মানুষের বিরুদ্ধে না যায়। আজকে রায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গেলে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকার সাথে প্রতিটি জেলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে, আর এর ফলে যে ক্ষতি হবে সেই দায় রাষ্ট্রপক্ষকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, আমাদের ছাত্র সমাজের আন্দোলন চলছে,আজকে আপিল বিভাগের শুনানি আছে, একটা কুচক্রী মহল আমাদেরকে কোটা বিরোধী হিসেবে প্রকাশ করতে চাইছে কিন্তু আমরা কখনোই কোটার বিরোধী না, আমরা কোটার বাতিল চাই না আমরা কোটার একটা যৌক্তিক সংস্কার চাই। আমাদের এক দফা দাবির দিকে লক্ষ করলে আপনারা দেখবেন সেখানে উল্লেখ আছে চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। অতএব আমরা বলতে চাই, আজকে আদালতের রায় যেমনই আসুক না কেনো সেখানে যদি কোটা সংস্কর নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না আসে তাহলে ছাত্রসমাজের এই আন্দোলন চলবে।
নাগরিক জাবি প্রতিনিধি
১০ জুলাই, ২০২৪, 5:14 PM

সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে (১ - ২০) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ( প্রতিবন্ধী ও উপজাতি) কোটাকে নূন্যতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করার দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০জুলাই) সকাল সোয়া দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা সাড়ে দশটা থেকে সড়ক অবরোধ করা শুরু করেন।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' প্লাটফর্মের পূর্বঘোষিত ‘সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, আমরা আমাদের এক দফা দাবির জন্য আন্দোলন করছি, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হচ্ছে, সারা বাংলাদেশ ব্লক হয়ে যাচ্ছে। আমরা হাইকোর্টকে অনুরোধ করবো আজকের রায় যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে না যায়, গণ মানুষের বিরুদ্ধে না যায়। আজকে রায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গেলে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকার সাথে প্রতিটি জেলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে, আর এর ফলে যে ক্ষতি হবে সেই দায় রাষ্ট্রপক্ষকে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, আমাদের ছাত্র সমাজের আন্দোলন চলছে,আজকে আপিল বিভাগের শুনানি আছে, একটা কুচক্রী মহল আমাদেরকে কোটা বিরোধী হিসেবে প্রকাশ করতে চাইছে কিন্তু আমরা কখনোই কোটার বিরোধী না, আমরা কোটার বাতিল চাই না আমরা কোটার একটা যৌক্তিক সংস্কার চাই। আমাদের এক দফা দাবির দিকে লক্ষ করলে আপনারা দেখবেন সেখানে উল্লেখ আছে চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। অতএব আমরা বলতে চাই, আজকে আদালতের রায় যেমনই আসুক না কেনো সেখানে যদি কোটা সংস্কর নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না আসে তাহলে ছাত্রসমাজের এই আন্দোলন চলবে।