তুরস্কে জরুরি অবতরণ ইসরায়েলি উড়োজাহাজের

নাগরিক ডেস্ক
০৩ জুলাই, ২০২৪, 4:46 PM

তুরস্কে জরুরি অবতরণ ইসরায়েলি উড়োজাহাজের
আঙ্কারা : তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরে ইসরায়েলি একটি উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করার পর সেটি জ্বালানি না নিয়েই ফিরে গেছে। ইসরায়েলিদের অভিযোগ, উড়োজাহাজটিকে জ্বালানি দেননি বিমানবন্দরের কর্মীরা। তবে তুরস্কের ভাষ্য, উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন জ্বালানি না নিয়েই ফিরে যান। রবিবার (১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, আন্তালিয়ায় জরুরি অবতরণ করা উড়োজাহাজটি ইসরায়েলের জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা এল আল এয়ারলাইনসের। পরে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের একটি ফ্লাইট আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি মেডিকেল ইস্যু থাকলেও জ্বালানি দিতে অস্বীকার করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
তুরস্কের এমন আচরণে পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে উড়োজাহাজটি গ্রিসের রোডসের উদ্দেশে যাত্রা করে। সেখান থেকেই জ্বালানি নিয়ে ইসরায়েলে ফেরে বিমানটি। উল্লেখ্য, এই ফ্লাইট পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উদ্দেশে রওনা করেছিল। এদিকে, টিআরটি ওয়ার্ল্ড তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার জন্য জরুরি অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মানবিক দিক বিবেচনায় উড়োজাহাজটিতে জ্বালানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সব ধরনের প্রাসঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপ্টেন অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের ওই সূত্র জানিয়েছে, ‘যাত্রীর অসুস্থতার কারণে জরুরি অবতরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মানবিক কারণে জ্বালানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপ্টেন স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সরব তুরস্ক। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসের কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে চলতি মাসের শুরুর দিকে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেন তিনি। আঙ্কারার এই সিদ্ধান্তে বেশ ভালো বিপাকে পড়েছে তেল আবিব
নাগরিক ডেস্ক
০৩ জুলাই, ২০২৪, 4:46 PM

আঙ্কারা : তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরে ইসরায়েলি একটি উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করার পর সেটি জ্বালানি না নিয়েই ফিরে গেছে। ইসরায়েলিদের অভিযোগ, উড়োজাহাজটিকে জ্বালানি দেননি বিমানবন্দরের কর্মীরা। তবে তুরস্কের ভাষ্য, উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন জ্বালানি না নিয়েই ফিরে যান। রবিবার (১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, আন্তালিয়ায় জরুরি অবতরণ করা উড়োজাহাজটি ইসরায়েলের জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থা এল আল এয়ারলাইনসের। পরে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের একটি ফ্লাইট আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি মেডিকেল ইস্যু থাকলেও জ্বালানি দিতে অস্বীকার করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
তুরস্কের এমন আচরণে পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে উড়োজাহাজটি গ্রিসের রোডসের উদ্দেশে যাত্রা করে। সেখান থেকেই জ্বালানি নিয়ে ইসরায়েলে ফেরে বিমানটি। উল্লেখ্য, এই ফ্লাইট পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উদ্দেশে রওনা করেছিল। এদিকে, টিআরটি ওয়ার্ল্ড তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার জন্য জরুরি অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মানবিক দিক বিবেচনায় উড়োজাহাজটিতে জ্বালানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সব ধরনের প্রাসঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপ্টেন অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের ওই সূত্র জানিয়েছে, ‘যাত্রীর অসুস্থতার কারণে জরুরি অবতরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মানবিক কারণে জ্বালানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপ্টেন স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সরব তুরস্ক। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসের কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে চলতি মাসের শুরুর দিকে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেন তিনি। আঙ্কারার এই সিদ্ধান্তে বেশ ভালো বিপাকে পড়েছে তেল আবিব