রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার

নাগরিক প্রতিবেদন
০২ জুলাই, ২০২৪, 1:53 PM

রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৭ মেয়াদের রফতানি নীতি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। যে রফতানি নীতিতে মেয়াদের শেষ বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উদ্ভূত সুবিধা সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য চুক্তির আওতায় দেওয়া সুবিধা আদায়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি থেকে শুরু করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে সমন্বিত কার্যক্রম বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে রফতানি নীতিতে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা নতুন এই রফতানি নীতি অনুমোদন করে।
জানা গেছে, নতুন রফতানি নীতি তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত রূপকল্প, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের সহায়তা, রফতানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও বৃত্তাকার অর্থনীতি।
নতুন রফতানি নীতি তৈরি করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার ও উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিকল্প সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বজায় রাখা হবে। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা হবে। পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণসহ গ্লোবাল ভ্যালু চেইন দৃঢ় অবস্থান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সহায়তা চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি ও প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাণিজ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও উদার করা, বৃহৎ অর্থনীতির দেশ থেকে শুরু করে বহুপক্ষীয়, দ্বিপক্ষীয় ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা হবে।
নতুন রফতানি নীতিতে অর্থাৎ ২০২৪-২৭ মেয়াদে বাংলাদেশের রফতানির আয় ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। একই সঙ্গে সহজ করা হবে। নতুন রফতানি নীতি তৈরি করার ব্যাপারে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। পাশাপাশি কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে মানোন্নয়ন করা হবে। রফতানিতে আইসিটিসহ সেবা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া ই-কমার্স, ই-গভর্নেন্স ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৌশল গ্রহণ করে রফতানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করা হবে। পাশাপাশি গতিশীলতা আনা হবে। রফতানিমুখী শিল্পে ও বাণিজ্যে নারী থেকে শুরু করে অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে। মোট কথা রফতানিমুখী শিল্পে টেকসই বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
রফতানি নীতি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পরিবীক্ষণের জন্য জাতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ৪৪ সদস্যের রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি থাকবে। যে কমিটি বছরে এক বা দুবার সভা করবে। এই কমিটির কাজ হবে ৬টি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশের সার্বিক রফতানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা। রফতানি ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তা পর্যালোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। রফতানি নীতি বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ নামে আরও একটি কমিটি থাকবে। যে কমিটির সভাপতি হবেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ২৭ সদস্যের এই কমিটির কাজ হবে ৬টি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির পর্যালোচনা।
রফতানি নীতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হচ্ছে মোট ১৫টি। এর মধ্যে রয়েছে- অধিক মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, ডেনিম, কৃত্রিম ফাইবার, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার নির্মাণ, ফার্নিচার, হোম টেক্সটাইল, হোম ডেকর, টেরিটাওয়েল, লাগেজ, হস্তশিল্প, কারুপণ্য, ল্যাবরেটরি বিকারক। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে ১৯টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য, সিরামিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, কার্টিং ও পোলিশকৃত মসৃণ হীরা ও জুয়েলারি, পেপার ও পেপার প্রোডাক্ট, রাবার ও রাবারজাত পণ্য, লুঙ্গিসহ তাঁত শিল্প, কাজুবাদাম, জীবন্ত ও প্রক্রিয়াজাত কাঁকড়া, খেলনা, আগর, হালাল ফ্যাশন, মেডিকেল ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী।
নতুন রফতানি নীতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতগুলোকে ১২টি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কম সুদে প্রকল্পে ঋণ, আয়কর রেয়াত, বিমানে পরিবহনের সুযোগ দেওয়া, বন্ড সুবিধা দেওয়া, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সেবা খাতের মধ্যে রয়েছে- কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট সেবা, শিক্ষা সেবা, পর্যটন ও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সার্ভিসেস।
নতুন রফতানি নীতিতে বলা হয়েছে, রফতানিকারক রফতানি আয়ের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তাদের রিটেনশন কোটায় বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারেন। যার পরিমাণ সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেবে। ইপিবিতে ইপিএফ নামে একটি তহবিল থাকবে। যে তহবিল থেকে রফতানিকারকদের বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ইটিপি, পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে সরকার থেকে ভর্তুকি ও কম সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। রফতানি নীতিতে অর্থ সংস্থান। রফতানি ঋণ, রেয়াতি বীমা প্রিমিয়াম, নতুন শিল্পজাত পণ্য রফতানিতে উৎসাহব্যাঞ্জক সুবিধা দেওয়া হবে। রফতানি শিল্পের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া রফতানিমুখী শিল্পের জন্য সাধারণ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। আকাশপথে যারা শাকসবজি প্লান্ট ফলমূল রফতানি করবেন তারা কম হারে বিমান ভাড়া সুবিধা পাবেন।
রফতানিমুখী ছোট ও মাঝারি কৃষি খামারকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া হবে। গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এদিকে নতুন রফতানি নীতিতে মোট ১২টি পণ্য নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর শর্তসাপেক্ষে ১৭টি পণ্য রফতানি করা যাবে।
নাগরিক প্রতিবেদন
০২ জুলাই, ২০২৪, 1:53 PM

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৭ মেয়াদের রফতানি নীতি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। যে রফতানি নীতিতে মেয়াদের শেষ বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উদ্ভূত সুবিধা সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য চুক্তির আওতায় দেওয়া সুবিধা আদায়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি থেকে শুরু করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে সমন্বিত কার্যক্রম বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে রফতানি নীতিতে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা নতুন এই রফতানি নীতি অনুমোদন করে।
জানা গেছে, নতুন রফতানি নীতি তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত রূপকল্প, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের সহায়তা, রফতানি খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও বৃত্তাকার অর্থনীতি।
নতুন রফতানি নীতি তৈরি করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার ও উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিকল্প সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বজায় রাখা হবে। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা হবে। পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণসহ গ্লোবাল ভ্যালু চেইন দৃঢ় অবস্থান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সহায়তা চিহ্নিত করা হবে। এ ছাড়াও সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতি ও প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাণিজ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও উদার করা, বৃহৎ অর্থনীতির দেশ থেকে শুরু করে বহুপক্ষীয়, দ্বিপক্ষীয় ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা হবে।
নতুন রফতানি নীতিতে অর্থাৎ ২০২৪-২৭ মেয়াদে বাংলাদেশের রফতানির আয় ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। একই সঙ্গে সহজ করা হবে। নতুন রফতানি নীতি তৈরি করার ব্যাপারে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। পাশাপাশি কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে মানোন্নয়ন করা হবে। রফতানিতে আইসিটিসহ সেবা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া ই-কমার্স, ই-গভর্নেন্স ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৌশল গ্রহণ করে রফতানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করা হবে। পাশাপাশি গতিশীলতা আনা হবে। রফতানিমুখী শিল্পে ও বাণিজ্যে নারী থেকে শুরু করে অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে। মোট কথা রফতানিমুখী শিল্পে টেকসই বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
রফতানি নীতি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পরিবীক্ষণের জন্য জাতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে সভাপতি করে ৪৪ সদস্যের রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি থাকবে। যে কমিটি বছরে এক বা দুবার সভা করবে। এই কমিটির কাজ হবে ৬টি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশের সার্বিক রফতানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা। রফতানি ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তা পর্যালোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। রফতানি নীতি বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ নামে আরও একটি কমিটি থাকবে। যে কমিটির সভাপতি হবেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ২৭ সদস্যের এই কমিটির কাজ হবে ৬টি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির পর্যালোচনা।
রফতানি নীতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হচ্ছে মোট ১৫টি। এর মধ্যে রয়েছে- অধিক মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, ডেনিম, কৃত্রিম ফাইবার, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার নির্মাণ, ফার্নিচার, হোম টেক্সটাইল, হোম ডেকর, টেরিটাওয়েল, লাগেজ, হস্তশিল্প, কারুপণ্য, ল্যাবরেটরি বিকারক। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে ১৯টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য, সিরামিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, কার্টিং ও পোলিশকৃত মসৃণ হীরা ও জুয়েলারি, পেপার ও পেপার প্রোডাক্ট, রাবার ও রাবারজাত পণ্য, লুঙ্গিসহ তাঁত শিল্প, কাজুবাদাম, জীবন্ত ও প্রক্রিয়াজাত কাঁকড়া, খেলনা, আগর, হালাল ফ্যাশন, মেডিকেল ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী।
নতুন রফতানি নীতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতগুলোকে ১২টি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কম সুদে প্রকল্পে ঋণ, আয়কর রেয়াত, বিমানে পরিবহনের সুযোগ দেওয়া, বন্ড সুবিধা দেওয়া, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সেবা খাতের মধ্যে রয়েছে- কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট সেবা, শিক্ষা সেবা, পর্যটন ও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সার্ভিসেস।
নতুন রফতানি নীতিতে বলা হয়েছে, রফতানিকারক রফতানি আয়ের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তাদের রিটেনশন কোটায় বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে পারেন। যার পরিমাণ সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেবে। ইপিবিতে ইপিএফ নামে একটি তহবিল থাকবে। যে তহবিল থেকে রফতানিকারকদের বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ইটিপি, পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে সরকার থেকে ভর্তুকি ও কম সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। রফতানি নীতিতে অর্থ সংস্থান। রফতানি ঋণ, রেয়াতি বীমা প্রিমিয়াম, নতুন শিল্পজাত পণ্য রফতানিতে উৎসাহব্যাঞ্জক সুবিধা দেওয়া হবে। রফতানি শিল্পের ক্ষেত্রে বন্ড সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া রফতানিমুখী শিল্পের জন্য সাধারণ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। আকাশপথে যারা শাকসবজি প্লান্ট ফলমূল রফতানি করবেন তারা কম হারে বিমান ভাড়া সুবিধা পাবেন।
রফতানিমুখী ছোট ও মাঝারি কৃষি খামারকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া হবে। গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এদিকে নতুন রফতানি নীতিতে মোট ১২টি পণ্য নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর শর্তসাপেক্ষে ১৭টি পণ্য রফতানি করা যাবে।