পদ্মার পেটে হাজার বিঘা ফসলি জমি

নাগরিক প্রতিবেদক, পাবনা
০২ জুলাই, ২০২৪, 1:51 PM

পদ্মার পেটে হাজার বিঘা ফসলি জমি
পাবনার সুজানগর উপজেলায় আগ্রাসী পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের কবলে পড়েছে হাজার বিঘা কৃষিজমিসহ বহু বসতবাড়ি। এখন পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে দিশাহারা স্থানীয় কৃষক ও নদীর পারের সাধারণ মানুষ। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন তারা। ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার বিঘার কৃষি ফসল। নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একদিকে ভাঙন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য কৃষিজমি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। ওপরের নির্দেশ পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদীভাঙনের বিষয়ে পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, নদীভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টি আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। কৃষি জমির কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কতটা ফসল নষ্ট হয়েছে তা নিরূপণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি আমি। পুরো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এই উপজেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়ে থাকে। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে থাকা বাদাম ও তিল ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি, থাকব।
স্থানীয়রা জানান, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার এলাকায় হঠাৎ করেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে সর্বনাশা পদ্মা। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীর স্রোত ও গতিপথ বদলাতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত হয়ে কৃষিজমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকদের দ্রুত ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। কৃষি ফসল ও জমি গিলেই ক্ষান্ত হয়নি প্রমত্তা পদ্মা, নদী পারের উঁচু ফসলি চর ভেঙে ক্রমেই লোকালয়ের দিকে এগিয়ে আসছে। আর এ কারণেই চরম দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক ভর করেছে স্থানীয় কৃষক ও নদী পারের বসবাসরত মানুষের ওপর।
কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে পাবনা জেলার সুনাম রয়েছে দেশব্যাপী। এই অঞ্চলের প্রায় সব ধরনের কৃষি ফসলই সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। পাবনার সুজানগর উপজেলার এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। সুজানগরের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা পদ্মা নদীর তীরবর্তী। বর্তমানে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম। পূর্ব দিকে নাজিরগঞ্জ অংশ থেকে শুরু করে পশ্চিম দিকের শেষ প্রান্ত তাঁরাবাড়িয়া পর্যন্ত এই নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গ্রামগুলোর মধ্যে সাতবাড়িয়া অংশ বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব গ্রাম নদীভাঙনের কবলে পড়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চর সুজানগর, মালিফা, নাজিরগঞ্জ, মাছপাড়া, মোহনপুর, শ্যামনগর ও রায়পুর। এর বাইরেও আরও বেশ কিছু চর এই নদীভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। নদীভাঙনের কারণে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিনাবাদাম ও তিলের। পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া থেকে শুরু করে নদীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বেশ কয়েকটি গ্রাম তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। অনেক ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে ফসল তুলে নৌকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে দ্রুত নদী পারের সব বসতবাড়ি গিলে খাবে সর্বনাশা পদ্মা।
সরেজমিন দেখা যায়, সাতবাড়িয়া এলাকায় মূল সড়ক থেকে নদীর পানি অল্প কিছুটা দূরে রয়েছে। মূল নদী থেকে শাখা নদী বের হয়ে বসতির দিকে এগিয়ে আসছে। মাঝের ফসলি চর রয়েছে কৃষকদের। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই নদীভাঙন দেখছেন এই অঞ্চলের সাধারণ কৃষক ও মানুষজন। নদীর ওপারে ফরিদপুরের পাংশা উপজেলা। এই দুই জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বিশাল পদ্মা নদী। মূল সড়ক ও বসতি থেকে নদী প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই নদী তার রূপ পালটে ধেয়ে এসেছে উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে। শুষ্ক মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা এই বিশাল পদ্মার চরে পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কৃষকরা বাদাম ও তিলের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া চরে ভাঙনের কারণে উঁচু জমিতে লাগানো তিল ফসলের ক্ষেত ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর বুকে।
কথা হয় বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষকের সঙ্গে। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, এই নদীভাঙন প্রতিরোধে বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। কিন্তু কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। অস্থায়ীভাবে কিছু বালির বস্তা ফেলে কোনো রকমে টিকে আছি আমরা। এই এলাকার অনেক মানুষকে দুই থেকে তিনবার তাদের বসতি সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদী রক্ষায় যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে সেই বাঁধের ভেতরের অংশে যাদের বসতি বিশেষ করে নদীর তীরে যারা বসবাস করছেন তারা সবসময় চিন্তার মধ্যে আছেন। কখন আবার তাদের সবকিছু হারাতে হয়! সময় থাকতে এই নদীভাঙন ঠেকাতে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে হারিয়ে যাবে তাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা।
নাগরিক প্রতিবেদক, পাবনা
০২ জুলাই, ২০২৪, 1:51 PM

পাবনার সুজানগর উপজেলায় আগ্রাসী পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের কবলে পড়েছে হাজার বিঘা কৃষিজমিসহ বহু বসতবাড়ি। এখন পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে দিশাহারা স্থানীয় কৃষক ও নদীর পারের সাধারণ মানুষ। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন তারা। ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার বিঘার কৃষি ফসল। নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একদিকে ভাঙন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য কৃষিজমি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। ওপরের নির্দেশ পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদীভাঙনের বিষয়ে পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, নদীভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টি আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি। কৃষি জমির কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কতটা ফসল নষ্ট হয়েছে তা নিরূপণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি আমি। পুরো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এই উপজেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়ে থাকে। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে থাকা বাদাম ও তিল ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি, থাকব।
স্থানীয়রা জানান, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার এলাকায় হঠাৎ করেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে সর্বনাশা পদ্মা। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীর স্রোত ও গতিপথ বদলাতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত হয়ে কৃষিজমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকদের দ্রুত ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। কৃষি ফসল ও জমি গিলেই ক্ষান্ত হয়নি প্রমত্তা পদ্মা, নদী পারের উঁচু ফসলি চর ভেঙে ক্রমেই লোকালয়ের দিকে এগিয়ে আসছে। আর এ কারণেই চরম দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক ভর করেছে স্থানীয় কৃষক ও নদী পারের বসবাসরত মানুষের ওপর।
কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে পাবনা জেলার সুনাম রয়েছে দেশব্যাপী। এই অঞ্চলের প্রায় সব ধরনের কৃষি ফসলই সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। পাবনার সুজানগর উপজেলার এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। সুজানগরের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা পদ্মা নদীর তীরবর্তী। বর্তমানে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম। পূর্ব দিকে নাজিরগঞ্জ অংশ থেকে শুরু করে পশ্চিম দিকের শেষ প্রান্ত তাঁরাবাড়িয়া পর্যন্ত এই নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গ্রামগুলোর মধ্যে সাতবাড়িয়া অংশ বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব গ্রাম নদীভাঙনের কবলে পড়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চর সুজানগর, মালিফা, নাজিরগঞ্জ, মাছপাড়া, মোহনপুর, শ্যামনগর ও রায়পুর। এর বাইরেও আরও বেশ কিছু চর এই নদীভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। নদীভাঙনের কারণে স্থানীয় কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিনাবাদাম ও তিলের। পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া থেকে শুরু করে নদীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বেশ কয়েকটি গ্রাম তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। অনেক ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে ফসল তুলে নৌকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে দ্রুত নদী পারের সব বসতবাড়ি গিলে খাবে সর্বনাশা পদ্মা।
সরেজমিন দেখা যায়, সাতবাড়িয়া এলাকায় মূল সড়ক থেকে নদীর পানি অল্প কিছুটা দূরে রয়েছে। মূল নদী থেকে শাখা নদী বের হয়ে বসতির দিকে এগিয়ে আসছে। মাঝের ফসলি চর রয়েছে কৃষকদের। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই নদীভাঙন দেখছেন এই অঞ্চলের সাধারণ কৃষক ও মানুষজন। নদীর ওপারে ফরিদপুরের পাংশা উপজেলা। এই দুই জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বিশাল পদ্মা নদী। মূল সড়ক ও বসতি থেকে নদী প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই নদী তার রূপ পালটে ধেয়ে এসেছে উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে। শুষ্ক মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা এই বিশাল পদ্মার চরে পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কৃষকরা বাদাম ও তিলের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া চরে ভাঙনের কারণে উঁচু জমিতে লাগানো তিল ফসলের ক্ষেত ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর বুকে।
কথা হয় বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষকের সঙ্গে। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, এই নদীভাঙন প্রতিরোধে বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। কিন্তু কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। অস্থায়ীভাবে কিছু বালির বস্তা ফেলে কোনো রকমে টিকে আছি আমরা। এই এলাকার অনেক মানুষকে দুই থেকে তিনবার তাদের বসতি সরিয়ে নিতে হয়েছে। নদী রক্ষায় যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে সেই বাঁধের ভেতরের অংশে যাদের বসতি বিশেষ করে নদীর তীরে যারা বসবাস করছেন তারা সবসময় চিন্তার মধ্যে আছেন। কখন আবার তাদের সবকিছু হারাতে হয়! সময় থাকতে এই নদীভাঙন ঠেকাতে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে হারিয়ে যাবে তাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা।