সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার

#
news image

সিঙ্গাপুরের গানভোর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৮৭ টাকা। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রত্যাশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভোর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো (২০২৪ সালের ২১তম) এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৮৭ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি দাম পড়বে ১২ দশমিক ৯৬৯৭ ডলার, যা আগে ছিল ১০ দশমিক ৩০০০ ডলার। এর আগে গত ৮ মে সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে তিন কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেয় সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকা। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভোর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এবং কাতারের কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনা হবে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিটিশ বহুজাতিক জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেল এনার্জি এক প্রতিবেদনে জানায়, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বৈশ্বিক চাহিদা ২০২৪ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে রসদ জোগাচ্ছে চীন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে জ্বালানিটির ব্যবহার বাড়াচ্ছে এসব দেশ। এশিয়ার দেশগুলোয় ৫-১০ বছরের মধ্যে এলএনজির চাহিদা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দশকের শেষদিকে বেশকিছু নতুন সরবরাহ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। এগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে অঞ্চলটি বাড়তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।

নাগরিক প্রতিবেদন

০৫ জুন, ২০২৪,  5:07 PM

news image

সিঙ্গাপুরের গানভোর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৮৭ টাকা। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির প্রত্যাশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভোর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো (২০২৪ সালের ২১তম) এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ১৮৭ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি দাম পড়বে ১২ দশমিক ৯৬৯৭ ডলার, যা আগে ছিল ১০ দশমিক ৩০০০ ডলার। এর আগে গত ৮ মে সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে তিন কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেয় সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকা। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভোর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এবং কাতারের কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনা হবে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিটিশ বহুজাতিক জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেল এনার্জি এক প্রতিবেদনে জানায়, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বৈশ্বিক চাহিদা ২০২৪ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে রসদ জোগাচ্ছে চীন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে জ্বালানিটির ব্যবহার বাড়াচ্ছে এসব দেশ। এশিয়ার দেশগুলোয় ৫-১০ বছরের মধ্যে এলএনজির চাহিদা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দশকের শেষদিকে বেশকিছু নতুন সরবরাহ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। এগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে অঞ্চলটি বাড়তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।