সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

#
news image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন। আদেশে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। সেখানে গোপালগঞ্জে তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি রয়েছে এবং বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলো রয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক জব্দের আদেশ চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আবেদন করে। আদালত দুদকের এ আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে সংস্থাটির প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেম জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি। গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এর আগে, ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক যেন অনুসন্ধান করে, এমন নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এরপর গত ২৩ এপ্রিল রিটের প্রাথমিক শুনানির পর দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিনই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার বিষয়টি জানান। অনুসন্ধানকালে বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করে দুদক। গতকাল এ আবেদনের শুনানি নিয়ে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ মঞ্জুর করলেন আদালত।

নাগরিক প্রতিবেদক

২৪ মে, ২০২৪,  6:06 PM

news image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন। আদেশে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। সেখানে গোপালগঞ্জে তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি রয়েছে এবং বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলো রয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক জব্দের আদেশ চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আবেদন করে। আদালত দুদকের এ আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে সংস্থাটির প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেম জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি। গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এর আগে, ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক যেন অনুসন্ধান করে, এমন নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এরপর গত ২৩ এপ্রিল রিটের প্রাথমিক শুনানির পর দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিনই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার বিষয়টি জানান। অনুসন্ধানকালে বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করে দুদক। গতকাল এ আবেদনের শুনানি নিয়ে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ মঞ্জুর করলেন আদালত।