রামপালে ভুল চিকিৎসায় জীবন সংকটাপন্ন
মল্লিক মোঃ জামান, রামপাল, বাগেরহাট
২২ মে, ২০২৪, 9:33 PM
রামপালে ভুল চিকিৎসায় জীবন সংকটাপন্ন
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে একটি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক দরিদ্র প্রসুতি নারী এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী দরিদ্র ভ্যান চালক প্রতিকার চেয়ে রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এরপরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলেছেন। জানা গেছে যে, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সানবান্ধা এলাকার দরিদ্র ভ্যান চালক কিংকর মন্ডলের সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী চুমকি মন্ডল (২৬) গত ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ তারিখ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ওই দিন ফয়লা বাজারের বেসরকারি ল্যাবওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আনলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর তাকে সিজারিয়ান করা হয়। সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কয়েকদিন পর তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে যাওয়ার পর সিজারিয়ান করা সেলাইয়ের স্থানে পচন ধরে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ল্যাব ওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। ভুক্তভোগী ও তার স্বামী কিংকর মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান অনভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সিজারিয়ান করায় তার স্ত্রীর জীবন এখন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। তিনি আরো বলেন, আমি পেশায় একজন ভ্যান চালক। আমি একদিনে যা আয় করি তাই দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ আর সংসারের খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। এই মুহুর্তে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।
তিনি গত তিন মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করেছেন বলে জানান। বিষয়টি ক্লিনিকের মালিক সেকেন্দার আলীকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আমি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্বেও একাধিকবার এ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে এসে ভুল চিকিৎসায় শিকার হয়ে কয়েকজন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পড়েছে।তারা অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক সেকেন্দার আলী বলেন, ১০ টা রোগী আসলে ২/১টা রোগী অসুস্থ হতেই পারে। যে রোগীর বিষয় নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসতে বলেছি। তারা ক্লিনিকে না এসে বাড়িতে বসে হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর ফলে এমন দশা হয়েছে। তারা অহেতুক হয়রানীর জন্য অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ফয়লা বাজারে ল্যাব ওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আমি অবগত। এটা ডাক্তারদের ফ্যাংশন তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখেছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মল্লিক মোঃ জামান, রামপাল, বাগেরহাট
২২ মে, ২০২৪, 9:33 PM
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে একটি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক দরিদ্র প্রসুতি নারী এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী দরিদ্র ভ্যান চালক প্রতিকার চেয়ে রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এরপরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলেছেন। জানা গেছে যে, উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সানবান্ধা এলাকার দরিদ্র ভ্যান চালক কিংকর মন্ডলের সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী চুমকি মন্ডল (২৬) গত ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ তারিখ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ওই দিন ফয়লা বাজারের বেসরকারি ল্যাবওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আনলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর তাকে সিজারিয়ান করা হয়। সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কয়েকদিন পর তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে যাওয়ার পর সিজারিয়ান করা সেলাইয়ের স্থানে পচন ধরে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ল্যাব ওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। ভুক্তভোগী ও তার স্বামী কিংকর মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান অনভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সিজারিয়ান করায় তার স্ত্রীর জীবন এখন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। তিনি আরো বলেন, আমি পেশায় একজন ভ্যান চালক। আমি একদিনে যা আয় করি তাই দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ আর সংসারের খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। এই মুহুর্তে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।
তিনি গত তিন মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করেছেন বলে জানান। বিষয়টি ক্লিনিকের মালিক সেকেন্দার আলীকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আমি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্বেও একাধিকবার এ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে এসে ভুল চিকিৎসায় শিকার হয়ে কয়েকজন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পড়েছে।তারা অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক সেকেন্দার আলী বলেন, ১০ টা রোগী আসলে ২/১টা রোগী অসুস্থ হতেই পারে। যে রোগীর বিষয় নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসতে বলেছি। তারা ক্লিনিকে না এসে বাড়িতে বসে হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানোর ফলে এমন দশা হয়েছে। তারা অহেতুক হয়রানীর জন্য অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ফয়লা বাজারে ল্যাব ওয়ান ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আমি অবগত। এটা ডাক্তারদের ফ্যাংশন তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখেছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।