বিলীনের পথে জলকদর খাল

#
news image

১৫০ বর্গমাইলের চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত জলকদর খাল। এর একপাশে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে পশ্চিম বাঁশখালী। আরেকপাশে পাহাড় ও সমতল নিয়ে পূর্ব বাঁশখালী। ৩২ কি.মি দীর্ঘ খালটির উৎপত্তি শঙ্খ নদীতে, শেষ হয়েছে উজানঠিয়া খালে। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম উৎস এই খাল। বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করে জেলেরা এই খালের পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ঘাটে খালাস করে। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। এ অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এর রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

অথচ আজ দখলে, দূষণে নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এই খাল। পূর্ব বাঁশখালীর আটটি পাহাড়ি ছড়ার পানি নামে এই খাল দিয়ে। তা দ্রুত না সরলে অল্প বৃষ্টিতেই দেখা দেয় বন্যা। এছাড়া স্লুইসগেটগুলো বন্ধ করে মাছ শিকারে জাল বসানোসহ নানারকম জবরদখলের কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের দু’পাশের বেড়িবাঁধও ভেঙে গেছে। জলের স্বাভাবিক সীমা গিয়ে ঠেকেছে বাঁধের নিম্ন সীমানায়। খালের পুরোটা জুড়ে উভয় পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।

জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সাগর ও নদীর সঙ্গে যুক্ত এই খালের এই দশার কারণে জেলেরাও পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। স্থানীয়রা জানান, এই খালের অধিকাংশ এলাকা অবৈধ দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রামের সঙ্গে নৌপরিবহনও ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে, এ অঞ্চলের লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতি জেলায় একটি করে ঐতিহ্যবাহী খাল সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে বাঁশখালীর জলকদরও রয়েছে। এর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য তালিকা করা হয়েছে।

এছাড়া খালের দু’পাড়ের ভাঙন রোধ ও নদী রক্ষার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নাগরিক প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

১৭ মে, ২০২৪,  2:17 PM

news image

১৫০ বর্গমাইলের চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত জলকদর খাল। এর একপাশে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে পশ্চিম বাঁশখালী। আরেকপাশে পাহাড় ও সমতল নিয়ে পূর্ব বাঁশখালী। ৩২ কি.মি দীর্ঘ খালটির উৎপত্তি শঙ্খ নদীতে, শেষ হয়েছে উজানঠিয়া খালে। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম উৎস এই খাল। বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করে জেলেরা এই খালের পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ঘাটে খালাস করে। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। এ অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এর রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

অথচ আজ দখলে, দূষণে নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এই খাল। পূর্ব বাঁশখালীর আটটি পাহাড়ি ছড়ার পানি নামে এই খাল দিয়ে। তা দ্রুত না সরলে অল্প বৃষ্টিতেই দেখা দেয় বন্যা। এছাড়া স্লুইসগেটগুলো বন্ধ করে মাছ শিকারে জাল বসানোসহ নানারকম জবরদখলের কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের দু’পাশের বেড়িবাঁধও ভেঙে গেছে। জলের স্বাভাবিক সীমা গিয়ে ঠেকেছে বাঁধের নিম্ন সীমানায়। খালের পুরোটা জুড়ে উভয় পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।

জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সাগর ও নদীর সঙ্গে যুক্ত এই খালের এই দশার কারণে জেলেরাও পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। স্থানীয়রা জানান, এই খালের অধিকাংশ এলাকা অবৈধ দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রামের সঙ্গে নৌপরিবহনও ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে, এ অঞ্চলের লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতি জেলায় একটি করে ঐতিহ্যবাহী খাল সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে বাঁশখালীর জলকদরও রয়েছে। এর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য তালিকা করা হয়েছে।

এছাড়া খালের দু’পাড়ের ভাঙন রোধ ও নদী রক্ষার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।