বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি, হুমকির মুখে বাঁধসহ রক্ষা প্রকল্প

নাগরিক প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম
১৩ মে, ২০২৪, 1:53 PM

বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি, হুমকির মুখে বাঁধসহ রক্ষা প্রকল্প
গত বছরের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে আবারো কাঁচকোল এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে আবারো দেখা দিয়েছে ধস। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে রয়েছে চিলমারি উপজেলার কাঁচকোল এলাকার ওয়াপদা বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ শহর রক্ষা বাঁধ। সময়মতো ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষতির মুখে পড়ছে চিলমারী, দাবি এলাকাবাসীর। এদিকে, কোনো অনিয়ম হয়নি এবং ভাঙন ও ধস রোধে সবসময় তৈরি রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, দাবি কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয় কয়েক বছর আগ থেকেই। সরকারের উদ্যোগে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় স্বস্তি ফিরে পায় চিলমারীবাসী। কিন্তু প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয়ায় কাটছে না আতঙ্ক। গত বছরের বর্ষার সময় হঠাৎ-ই কাঁচকোল ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় দেখা দেয় ধস, হুমকির মুখে পড়ে পুরো এলাকাসহ প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ও রক্ষা প্রকল্প। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেষ্টা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত বর্ষা মৌসুমে রক্ষা হলেও আতঙ্ক রয়েছে।
চলতি বছরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ফকিরেরহাট এলাকায় ধস দেখা দিলে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে কাঁচকোল এলাকায় ধসের স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করা হলেও চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় কাঁচকোল টি বাঁধ থেকে কাঁচকোল বাজার দক্ষিণ ওয়ারী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রয়েছে হুমকির মুখে। ধসের কারণে অর্ধশতাধিক গ্রামসহ উপজেলা সদরবাসীর মাঝে দেখা দেয়া আতঙ্ক এখনো কাটেনি। হুমকির মুখেই কাঁচকোল বাজার, কেডি ওয়ারী, বড়ভিটা, উত্তরওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁচকোল ছকিনা দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক তৈরি, ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজে অনিয়ম করায় বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয় দাবি করে এলাকাবাসী জানান, গত বছর ধস দেখা দিয়েছিল। সামান্য কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে বর্ষা মৌসুম শেষ করেছে। কিন্তু নতুন করে ব্লক ফেলানো বা মেরামত না করায় ভাঙন আতঙ্ক কাটেনি মানুষের মাঝে। তারা আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক নজরদারির অভাবে এবং দুর্নীতির কারণে আজ আমরা বিপদে।
রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কাঁচকোল বাঁধ এলাকার নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প হুমকির মুখে তা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে ইনশাআল্লাহ। পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম নেই। এ ছাড়াও জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের জন্য দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে, আশা করি সমস্যা হবে না।
নাগরিক প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম
১৩ মে, ২০২৪, 1:53 PM

গত বছরের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে আবারো কাঁচকোল এলাকায় দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে আবারো দেখা দিয়েছে ধস। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে রয়েছে চিলমারি উপজেলার কাঁচকোল এলাকার ওয়াপদা বাঁধ, ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ শহর রক্ষা বাঁধ। সময়মতো ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষতির মুখে পড়ছে চিলমারী, দাবি এলাকাবাসীর। এদিকে, কোনো অনিয়ম হয়নি এবং ভাঙন ও ধস রোধে সবসময় তৈরি রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, দাবি কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু হয় কয়েক বছর আগ থেকেই। সরকারের উদ্যোগে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় স্বস্তি ফিরে পায় চিলমারীবাসী। কিন্তু প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয়ায় কাটছে না আতঙ্ক। গত বছরের বর্ষার সময় হঠাৎ-ই কাঁচকোল ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় দেখা দেয় ধস, হুমকির মুখে পড়ে পুরো এলাকাসহ প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ও রক্ষা প্রকল্প। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেষ্টা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত বর্ষা মৌসুমে রক্ষা হলেও আতঙ্ক রয়েছে।
চলতি বছরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ফকিরেরহাট এলাকায় ধস দেখা দিলে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে কাঁচকোল এলাকায় ধসের স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করা হলেও চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় কাঁচকোল টি বাঁধ থেকে কাঁচকোল বাজার দক্ষিণ ওয়ারী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্প রয়েছে হুমকির মুখে। ধসের কারণে অর্ধশতাধিক গ্রামসহ উপজেলা সদরবাসীর মাঝে দেখা দেয়া আতঙ্ক এখনো কাটেনি। হুমকির মুখেই কাঁচকোল বাজার, কেডি ওয়ারী, বড়ভিটা, উত্তরওয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁচকোল ছকিনা দাখিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক তৈরি, ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজে অনিয়ম করায় বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয় দাবি করে এলাকাবাসী জানান, গত বছর ধস দেখা দিয়েছিল। সামান্য কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে বর্ষা মৌসুম শেষ করেছে। কিন্তু নতুন করে ব্লক ফেলানো বা মেরামত না করায় ভাঙন আতঙ্ক কাটেনি মানুষের মাঝে। তারা আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক নজরদারির অভাবে এবং দুর্নীতির কারণে আজ আমরা বিপদে।
রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কাঁচকোল বাঁধ এলাকার নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্প হুমকির মুখে তা স্বীকার করে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে ইনশাআল্লাহ। পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম নেই। এ ছাড়াও জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের জন্য দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে, আশা করি সমস্যা হবে না।