মহিপুর-আলীপুর জেলে পল্লীতে চলছে হাহাকার

#
news image

গভীর বঙ্গোপসাগরে ইলিশের আকাল, ফলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। কেনাবেচা নেই কুয়াকাটা, আলীপুর, মহিপুর মৎস্য আড়তে। সমুদ্র থেকে দু’একটি ট্রলার অল্প কিছু মাছ নিয়ে তীরে ফিরলেও বেশির ভাগ ট্রলার আসছে শূন্য হাতে। এ অবস্থায় উপকূলের জেলে পল্লী ও পরিবারে চলছে হাহাকার। ঋণের বোঝায় দিশাহারা কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩০-৩৫ হাজার জেলে পরিবার। মৎস্য আড়তগুলোতে আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই। ফলে জেলে শ্রমিকরা বেকার দিন পার করছেন।

জেলে রহিম হাওলাদার বলেন, ‘এনজিও থেকে বৌ নিয়েছে লোন, এদিকে সাগরে পরে না মাছ- কি করে কিস্তির টাকা দিমু। হেই চিন্তায় পাগল।’ ট্রলার মালিক মনির হাওলাদার বলেন, এক একবার ট্রলার সাগরে গেলে খরচ হয় দেড়-দুই লাখ টাকা। মাছ পায় ১৫-২০ হাজার টাকার। তা দিয়ে জেলেদের দিবো? নাকি দোকানের বকেয়া দিবো? নাকি নতুন করে আবার বাজার দিয়ে সাগরে পাঠাবো? আমরা এখন হতাশার মধ্যে আছি। মহিপুর আল্লাহ ভরসা আড়ত মালিক মো. লুনা আকন বলেন, অনেক আড়তদার ও ট্রলার মালিক পথে বসে  গেছে। এখন আমরা আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছি। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, এভাবে আর কিছুদিন মাছ না পড়লে আমাদের সকল আড়তে তালা মারতে হবে। এখন আল্লাহই একমাত্র ভরসা।

নাগরিক প্রতিবেদক,পটুয়াখালী

১২ মে, ২০২৪,  2:05 PM

news image

গভীর বঙ্গোপসাগরে ইলিশের আকাল, ফলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। কেনাবেচা নেই কুয়াকাটা, আলীপুর, মহিপুর মৎস্য আড়তে। সমুদ্র থেকে দু’একটি ট্রলার অল্প কিছু মাছ নিয়ে তীরে ফিরলেও বেশির ভাগ ট্রলার আসছে শূন্য হাতে। এ অবস্থায় উপকূলের জেলে পল্লী ও পরিবারে চলছে হাহাকার। ঋণের বোঝায় দিশাহারা কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩০-৩৫ হাজার জেলে পরিবার। মৎস্য আড়তগুলোতে আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই। ফলে জেলে শ্রমিকরা বেকার দিন পার করছেন।

জেলে রহিম হাওলাদার বলেন, ‘এনজিও থেকে বৌ নিয়েছে লোন, এদিকে সাগরে পরে না মাছ- কি করে কিস্তির টাকা দিমু। হেই চিন্তায় পাগল।’ ট্রলার মালিক মনির হাওলাদার বলেন, এক একবার ট্রলার সাগরে গেলে খরচ হয় দেড়-দুই লাখ টাকা। মাছ পায় ১৫-২০ হাজার টাকার। তা দিয়ে জেলেদের দিবো? নাকি দোকানের বকেয়া দিবো? নাকি নতুন করে আবার বাজার দিয়ে সাগরে পাঠাবো? আমরা এখন হতাশার মধ্যে আছি। মহিপুর আল্লাহ ভরসা আড়ত মালিক মো. লুনা আকন বলেন, অনেক আড়তদার ও ট্রলার মালিক পথে বসে  গেছে। এখন আমরা আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছি। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, এভাবে আর কিছুদিন মাছ না পড়লে আমাদের সকল আড়তে তালা মারতে হবে। এখন আল্লাহই একমাত্র ভরসা।