গাছ কাটতে একাট্টা বন বিভাগ ও জেলা পরিষদ

নাগরিক প্রতিবেদক, যশোর
০৭ মে, ২০২৪, 11:15 AM

গাছ কাটতে একাট্টা বন বিভাগ ও জেলা পরিষদ
যশোরের ৪টি সড়কের দুই সহস্রাধিক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। সামাজিক বনায়নের এই গাছ কর্তনের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিও আহ্বান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, গাছগুলো সামাজিক বনায়নের। নির্দিষ্ট আবর্তকাল উত্তীর্ণ হলে এই গাছগুলো কেটে নতুন করে বনায়ন করা হয়। নিয়ম মেনেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাছ কাটার তফসিল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। সম্প্রতি বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম স্বাক্ষরিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে দুটি অপরিচিত পত্রিকায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ বাগান ও অন্যান্য উৎসের বনজদ্রব্য বিক্রির লক্ষ্যে নির্ধারিত শর্তানুসারে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর থেকে আন্দুলিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের ২৪৩টি, চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া-সাড়াপোল হয়ে তেঁতুলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারে ৯৭৯টি, কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা বাজার থেকে পাচারই বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারে ৫০২টি ও বাঘারপাড়া উপজেলার ধোয়াখোলা বাজার থেকে তালবাড়িয়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের ৩১০টি বর্ষীয়ান গাছ বিক্রি করা হবে। এসব গাছের মধ্যে রেইনট্রি, বকাইন, মেহগনি, সেগুন, বাবলাসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে। এদিকে বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক ও সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান এক বিবৃতিতে পরিবেশ ও গাছবিধ্বংসীদের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
অপরদিকে, পরিবেশ সুরক্ষায় ঢাকাসহ সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে এ রিট পিটিশন দায়ের করে। সংগঠনটির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রিটটি দায়ের করেন। রিট পিটিশনে গাছ কেটে ফেলা বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
নাগরিক প্রতিবেদক, যশোর
০৭ মে, ২০২৪, 11:15 AM

যশোরের ৪টি সড়কের দুই সহস্রাধিক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। সামাজিক বনায়নের এই গাছ কর্তনের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিও আহ্বান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, গাছগুলো সামাজিক বনায়নের। নির্দিষ্ট আবর্তকাল উত্তীর্ণ হলে এই গাছগুলো কেটে নতুন করে বনায়ন করা হয়। নিয়ম মেনেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাছ কাটার তফসিল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। সম্প্রতি বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম স্বাক্ষরিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে দুটি অপরিচিত পত্রিকায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ বাগান ও অন্যান্য উৎসের বনজদ্রব্য বিক্রির লক্ষ্যে নির্ধারিত শর্তানুসারে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর থেকে আন্দুলিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের ২৪৩টি, চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া-সাড়াপোল হয়ে তেঁতুলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারে ৯৭৯টি, কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা বাজার থেকে পাচারই বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারে ৫০২টি ও বাঘারপাড়া উপজেলার ধোয়াখোলা বাজার থেকে তালবাড়িয়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের ৩১০টি বর্ষীয়ান গাছ বিক্রি করা হবে। এসব গাছের মধ্যে রেইনট্রি, বকাইন, মেহগনি, সেগুন, বাবলাসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে। এদিকে বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক ও সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান এক বিবৃতিতে পরিবেশ ও গাছবিধ্বংসীদের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
অপরদিকে, পরিবেশ সুরক্ষায় ঢাকাসহ সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে এ রিট পিটিশন দায়ের করে। সংগঠনটির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রিটটি দায়ের করেন। রিট পিটিশনে গাছ কেটে ফেলা বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।