বিমানের খাবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ
নাগরিক প্রতিবেদন
০৩ মে, ২০২৪, 4:36 PM
বিমানের খাবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেনু কার্ডের ছবির সঙ্গে খাবারের মিল পাওয়া যায়নি বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে যাওয়ার ফ্লাইটেই মেনু অনুযায়ী পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে পাওয়া গেছে 'ভিন্ন খাবার'। এদিকে, এমন ঘটনায় বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের মহাব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ব্যাংককের ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানে পরিবেশিত মেনু কার্ডের ছবির সঙ্গে খাবারের মিল না থাকার বিষয়টি নজরে আসে তার। পরে তিনি এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ভিভিআইপি মেনু অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ অনুযায়ী 'ফ্রাইড চিলি উইথ স্টাফিং' পরিবেশন করা হলে মেনু কার্ডে প্রদর্শিত খাবারের ছবির সাথে বাস্তবে মিল পাওয়া যায় না। এতে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পছন্দ অনুযায়ী 'চিকেন মর্টাডেলা স্যান্ডউইচ অন ব্রাউন ব্রেড' পরিবেশন করা হলে মেনু কার্ডে প্রদর্শিত খাবারের ছবির সাথে বাস্তবে মিল পাওয়া যায় না। এতে তিনিও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, খাবার প্রস্তুতকালে আপনি সঠিকভাবে তদারকি বা মনিটরিং করেননি, তাই উল্লিখিত খাবার দুটি মেনু অনুযায়ী সঠিক রেসিপি অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয়, ভিভিআইপি-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইটের খাবার প্রস্তুতকালে আপনি কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, আপনি একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার কর্তব্য পালনে অবহেলা ও গাফিলতির কারণে প্রধানমন্ত্রী ও উনার ছোট বোন শেখ রেহানার নিকট বিএফসিসি তথা বিমানের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপনার এ ধরনের কার্যকলাপ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গৃহীত ও অনুসৃত বাংলাদেশ বিমান কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা অনুযায়ী, কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব, উপর্যুক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে আপনার লিখিত জবাব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জমাদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাগরিক প্রতিবেদন
০৩ মে, ২০২৪, 4:36 PM
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেনু কার্ডের ছবির সঙ্গে খাবারের মিল পাওয়া যায়নি বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে যাওয়ার ফ্লাইটেই মেনু অনুযায়ী পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে পাওয়া গেছে 'ভিন্ন খাবার'। এদিকে, এমন ঘটনায় বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের মহাব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ব্যাংককের ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানে পরিবেশিত মেনু কার্ডের ছবির সঙ্গে খাবারের মিল না থাকার বিষয়টি নজরে আসে তার। পরে তিনি এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ভিভিআইপি মেনু অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ অনুযায়ী 'ফ্রাইড চিলি উইথ স্টাফিং' পরিবেশন করা হলে মেনু কার্ডে প্রদর্শিত খাবারের ছবির সাথে বাস্তবে মিল পাওয়া যায় না। এতে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পছন্দ অনুযায়ী 'চিকেন মর্টাডেলা স্যান্ডউইচ অন ব্রাউন ব্রেড' পরিবেশন করা হলে মেনু কার্ডে প্রদর্শিত খাবারের ছবির সাথে বাস্তবে মিল পাওয়া যায় না। এতে তিনিও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, খাবার প্রস্তুতকালে আপনি সঠিকভাবে তদারকি বা মনিটরিং করেননি, তাই উল্লিখিত খাবার দুটি মেনু অনুযায়ী সঠিক রেসিপি অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয়, ভিভিআইপি-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইটের খাবার প্রস্তুতকালে আপনি কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, আপনি একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার কর্তব্য পালনে অবহেলা ও গাফিলতির কারণে প্রধানমন্ত্রী ও উনার ছোট বোন শেখ রেহানার নিকট বিএফসিসি তথা বিমানের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপনার এ ধরনের কার্যকলাপ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গৃহীত ও অনুসৃত বাংলাদেশ বিমান কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা অনুযায়ী, কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব, উপর্যুক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে আপনার লিখিত জবাব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জমাদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।