ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ - জাহাজ ও বন্দরে হুতির হামলা

#
news image

লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। এই হামলায় ইসরায়েলের একজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইসরায়েলি জাহাজ ও বন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, হামলায় নিহত ওই বেসামরিক পেশায় একজন ট্রাকচালক। তিনি সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় হিজবুল্লাহর হামলায় নিহত হন তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তবে অন্য যেকোনো হামলার তুলনায় এটি ইসরায়েলের গভীরে আঘাত আনে। তারা ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই তাদের ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সবচেয়ে ভেতরে হামলা। ইসরায়েলি জাহাজ ও বন্দরে হুতির হামলা গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানোসামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৬ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও। অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরাও। এরপর থেকে নিয়মিত লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। গতকাল বৃহস্পতিবার হুতি জানায়, তারা এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের একটি জাহাজের ওপর সফল হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, অধিকৃত ভূখণ্ডের দক্ষিণে অবস্থিত এইলাত বন্দরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, এমএসসি ডারউইন নামে ইসরায়েলের একটি জাহাজের ওপর যে হামলা হয়েছে তাতে উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র ও কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে সফলতার সাথে অভিযানের লক্ষ্য অর্জন করা গেছে। এ ছাড়া এইলাত বন্দর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানান জেনারেল সারি। এর একদিন আগে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী লোহিত সাগর এবং ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি এবং ইসরায়েলের একটি জাহাজের ওপর হামলা চালায়।

নাগরিক আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ এপ্রিল, ২০২৪,  5:34 PM

news image

লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। এই হামলায় ইসরায়েলের একজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইসরায়েলি জাহাজ ও বন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, হামলায় নিহত ওই বেসামরিক পেশায় একজন ট্রাকচালক। তিনি সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় হিজবুল্লাহর হামলায় নিহত হন তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তবে অন্য যেকোনো হামলার তুলনায় এটি ইসরায়েলের গভীরে আঘাত আনে। তারা ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই তাদের ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সবচেয়ে ভেতরে হামলা। ইসরায়েলি জাহাজ ও বন্দরে হুতির হামলা গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানোসামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৬ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও। অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরাও। এরপর থেকে নিয়মিত লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। গতকাল বৃহস্পতিবার হুতি জানায়, তারা এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের একটি জাহাজের ওপর সফল হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, অধিকৃত ভূখণ্ডের দক্ষিণে অবস্থিত এইলাত বন্দরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, এমএসসি ডারউইন নামে ইসরায়েলের একটি জাহাজের ওপর যে হামলা হয়েছে তাতে উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র ও কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে সফলতার সাথে অভিযানের লক্ষ্য অর্জন করা গেছে। এ ছাড়া এইলাত বন্দর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানান জেনারেল সারি। এর একদিন আগে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী লোহিত সাগর এবং ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি এবং ইসরায়েলের একটি জাহাজের ওপর হামলা চালায়।