চুরি ঠেকাতে কিশোর রিয়াজকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে ৩ বছর

দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
২৩ এপ্রিল, ২০২৪, 4:57 PM

চুরি ঠেকাতে কিশোর রিয়াজকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে ৩ বছর
চুরি-চামারির সাথে যুক্ত হয়েছে ছেলে। যখন তখন এখানে সেখানে এমনকি এলাকার বাইরেও চলে যায় চুরি করতে। বারবার পুলিশে দিয়েও কোন ফল না পাওয়ায় অন্ধকার ঘওে ১৫ বছর বয়সী কিশোর রিয়াজের গলায় শেকল পরিয়ে বড় একটা তালার সাথে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। তালার অন্য প্রাপ্ত রয়েছে ওই ঘরের চৌকির সাথে পেচছানো। কোন ভাবে যেন শেকল খুলে বা চৌকি ভেঙে বাইরে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা। গত ৩বছর ধরে এভাবেই শেকলে বন্দি রয়েছে কিশোর রিয়াজ। মাঝে মাঝে বাবা বা মায়ের সাথে বাইরে যেতে পারলেও শেকলেই বাঁধা থাকে সে। ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে বাবা লিটন হোসেন আর মা নার্গিস খাতুনের সাথে বসবাস করছে কিশোর রিয়াজ।
রিয়াজের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৭ বছর আগে শহরের আরাপপুর এলাকায় থাকা অবস্থায় কিছু বখাটে ছেলেদের পাল্লায় পড়ে চুরি শুরু কওে রিয়াজ। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই চুরি করে সে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরসহ আশপাশের জেলাতে গিয়েও চুরি করে। চুরি অনেকটা নেশার মত তার কাছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ কিশোর রিয়াজকে বাড়িতে দিয়ে গেলেও তার চুরি বন্ধ হয়নি। নানা স্থান থেকে অভিযোগ পেয়ে অতিষ্ট হয়ে গত ৩ বছর শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন তাকে। তারপরও সুযোগ পেলেই পালিয়ে যায় রিয়াজ।
রিয়াজের বাবা লিটন হোসেন জানালেন, রিয়াজ সুযোগ পেলেই চুরি করে। যেখানেই যায় সেখান থেকেই চুরি করে। আমরা উপায় না পেয়ে বেঁধে রেখেছি। কতবার পুলিশ এসে বাড়িতে দিয়ে গেছে। কত ডাক্তার দেখিয়েছি কোন সমাধান হচ্ছে না। তার মা নার্গিস খাতুন বলেন, আমার ২ সন্তানের বড় রিয়াজ, বোনটি ছোট। এভাবে বছরের পর বছর ওকে শেকলে বেঁধে রাখতে অ খুব খারাপ লাগলেও তারা নিরুপায়। আমরা চাই ও পড়াশোনা করুক আর অন্য ছেলেদের মত খেলা করুক, ঘুরে বেড়াক।
মা নার্গিস খাতুন জানালেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের বলছেন, মানসিক কোন সমস্যার কারণে রিয়াজ এমন কাজ বারবার করছে। তাই নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল মতিন তাদের জানিয়েছেন- কয়েকটি কারণে শিশু রিয়াজ একই কাজ বারবার করছে। পরিবারে যদি এমন কেউ চুরির সাথে জড়িত থাকলে এেেমনটি হতে পারে, আবার ওর মানসিক বিকাশের কারণেই এটা হতে পারে। ওকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মোটিভেশন দিলে হয়ত এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল মতিন তাদের জানিয়েছেন।
দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
২৩ এপ্রিল, ২০২৪, 4:57 PM

চুরি-চামারির সাথে যুক্ত হয়েছে ছেলে। যখন তখন এখানে সেখানে এমনকি এলাকার বাইরেও চলে যায় চুরি করতে। বারবার পুলিশে দিয়েও কোন ফল না পাওয়ায় অন্ধকার ঘওে ১৫ বছর বয়সী কিশোর রিয়াজের গলায় শেকল পরিয়ে বড় একটা তালার সাথে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। তালার অন্য প্রাপ্ত রয়েছে ওই ঘরের চৌকির সাথে পেচছানো। কোন ভাবে যেন শেকল খুলে বা চৌকি ভেঙে বাইরে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা। গত ৩বছর ধরে এভাবেই শেকলে বন্দি রয়েছে কিশোর রিয়াজ। মাঝে মাঝে বাবা বা মায়ের সাথে বাইরে যেতে পারলেও শেকলেই বাঁধা থাকে সে। ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে বাবা লিটন হোসেন আর মা নার্গিস খাতুনের সাথে বসবাস করছে কিশোর রিয়াজ।
রিয়াজের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৭ বছর আগে শহরের আরাপপুর এলাকায় থাকা অবস্থায় কিছু বখাটে ছেলেদের পাল্লায় পড়ে চুরি শুরু কওে রিয়াজ। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই চুরি করে সে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরসহ আশপাশের জেলাতে গিয়েও চুরি করে। চুরি অনেকটা নেশার মত তার কাছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ কিশোর রিয়াজকে বাড়িতে দিয়ে গেলেও তার চুরি বন্ধ হয়নি। নানা স্থান থেকে অভিযোগ পেয়ে অতিষ্ট হয়ে গত ৩ বছর শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন তাকে। তারপরও সুযোগ পেলেই পালিয়ে যায় রিয়াজ।
রিয়াজের বাবা লিটন হোসেন জানালেন, রিয়াজ সুযোগ পেলেই চুরি করে। যেখানেই যায় সেখান থেকেই চুরি করে। আমরা উপায় না পেয়ে বেঁধে রেখেছি। কতবার পুলিশ এসে বাড়িতে দিয়ে গেছে। কত ডাক্তার দেখিয়েছি কোন সমাধান হচ্ছে না। তার মা নার্গিস খাতুন বলেন, আমার ২ সন্তানের বড় রিয়াজ, বোনটি ছোট। এভাবে বছরের পর বছর ওকে শেকলে বেঁধে রাখতে অ খুব খারাপ লাগলেও তারা নিরুপায়। আমরা চাই ও পড়াশোনা করুক আর অন্য ছেলেদের মত খেলা করুক, ঘুরে বেড়াক।
মা নার্গিস খাতুন জানালেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের বলছেন, মানসিক কোন সমস্যার কারণে রিয়াজ এমন কাজ বারবার করছে। তাই নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল মতিন তাদের জানিয়েছেন- কয়েকটি কারণে শিশু রিয়াজ একই কাজ বারবার করছে। পরিবারে যদি এমন কেউ চুরির সাথে জড়িত থাকলে এেেমনটি হতে পারে, আবার ওর মানসিক বিকাশের কারণেই এটা হতে পারে। ওকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মোটিভেশন দিলে হয়ত এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল মতিন তাদের জানিয়েছেন।