গাছ লাগানো জরুরি, তাপমাত্রা কমাতে পরিকল্পনা চিফ হিট অফিসারের

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
২১ এপ্রিল, ২০২৪, 6:49 PM
গাছ লাগানো জরুরি, তাপমাত্রা কমাতে পরিকল্পনা চিফ হিট অফিসারের
দেশে গরম নিয়ে আপাতত স্বস্তির খবর নেই। এপ্রিল জুড়েই তাপমাত্রার আধিক্য থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ভ্যাপসা গরম আরও তীব্র হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে আগামী অন্তত তিন দিন গরম বেশি অনুভূত হবে। একইভাবে অন্য এলাকার মতই অস্বস্তি বাড়ছে ঢাকা শহরেও। গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ছে।
ঢাকায় কেন এত তাপমাত্রা বাড়ছে এবং রাজধানী শহরও তাপপ্রবাহের কবলে পড়ছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বুশরা আফরিন। গত বছরই বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’-এর দায়িত্ব পেয়েছেন। তারপরেই কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন তিনি। রোববার সাংবাদিকদের বুশরা বলেন, এমনিতেই ঢাকায় বাস করেন প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষ। তার ওপর গ্রাম থেকে মানুষ আসছেন ঢাকায়। অন্য কোনও উপায় না পেয়ে তারা বিভিন্ন বস্তিতে থাকছেন।
একদিকে বাড়ছে মানুষ। সেই সঙ্গে ঢাকা পরিণত হচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গলে। সেই সঙ্গে ঢাকায় কমছে সবুজ। বুশরা বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে নানা রকম সমস্যার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রাও। তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় বুশরা জানান, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালানো হচ্ছে। ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আছে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরবাসীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হিট অফিসার। বুশরা বলেন, তীব্র দাবদাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি। আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি, তাহলে অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
নাগরিক অনলাইন ডেস্ক
২১ এপ্রিল, ২০২৪, 6:49 PM
দেশে গরম নিয়ে আপাতত স্বস্তির খবর নেই। এপ্রিল জুড়েই তাপমাত্রার আধিক্য থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ভ্যাপসা গরম আরও তীব্র হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে আগামী অন্তত তিন দিন গরম বেশি অনুভূত হবে। একইভাবে অন্য এলাকার মতই অস্বস্তি বাড়ছে ঢাকা শহরেও। গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ছে।
ঢাকায় কেন এত তাপমাত্রা বাড়ছে এবং রাজধানী শহরও তাপপ্রবাহের কবলে পড়ছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বুশরা আফরিন। গত বছরই বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’-এর দায়িত্ব পেয়েছেন। তারপরেই কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন তিনি। রোববার সাংবাদিকদের বুশরা বলেন, এমনিতেই ঢাকায় বাস করেন প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষ। তার ওপর গ্রাম থেকে মানুষ আসছেন ঢাকায়। অন্য কোনও উপায় না পেয়ে তারা বিভিন্ন বস্তিতে থাকছেন।
একদিকে বাড়ছে মানুষ। সেই সঙ্গে ঢাকা পরিণত হচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গলে। সেই সঙ্গে ঢাকায় কমছে সবুজ। বুশরা বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে নানা রকম সমস্যার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রাও। তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় বুশরা জানান, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালানো হচ্ছে। ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আছে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরবাসীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হিট অফিসার। বুশরা বলেন, তীব্র দাবদাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি। আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি, তাহলে অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।