আকাশপথে কার্বন নিঃসরণে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ব্রিটিশ এভিয়েশন

#
news image

লন্ডন   :   বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ অধিক কার্বন নিঃসরণ। এর জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দায়ী করেন জলবায়ুসংশ্লিষ্টরা। যার সত্যতা মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়ও। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইনসগুলো থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ দ্রুত প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে এসেছে। দেশটির উড়োজাহাজ থেকে নির্গত কার্বন দূষণ চলতি বছর রেকর্ড তৈরির পথে রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (টিঅ্যান্ডই) গ্রুপের বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্বন রিপোর্টিং ও ফ্লাইট ডাটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। সেখানকার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইনসগুলো আগের চেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে। মূলত কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধির ফলে দেশটির জেট জিরো কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্য ২০১৯ সালের কার্বন নিঃসরণ স্তরকে অতিক্রম না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। টিঅ্যান্ডইর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে রায়ানএয়ার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করেছে। এছাড়া ইজিজেটের কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং জেটটুডটকমের কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দূষণকারী এয়ারলাইনস হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তবে এর কার্বন নিঃসরণ এখনো ২০১৯ সালের স্তরের ১৮ শতাংশ কম রয়েছে।

২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৪০ হাজার। যার ফলে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়েছে, এটি ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৯ শতাংশ। টিঅ্যান্ডইর দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছর দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটগুলোর কার্বন নির্গমন ২০২২ সালের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি ছিল। চলতি বছর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, রায়ানএয়ার ও ইজিজেট ৭ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ নিঃসরণ অব্যাহত রেখেছে। যদিও নতুন উড়োজাহাজ যাত্রীপ্রতি কম জ্বালানি ব্যবহার করে, তবে ট্রাফিক বৃদ্ধির মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দূষণ বাড়ছে।

টিঅ্যান্ডই সতর্ক করেছে, ২০৫০ সালের আগে জেট জিরোর রোডম্যাপ বন্ধ হওয়ারও ঝুঁকি রয়ে গেছে। ইমিশন ট্রেডিং স্কিম (ইটিএস), যা জলবায়ু দূষণ হ্রাস করার জন্য একটি বাজারভিত্তিক পদ্ধতি; এর সীমাবদ্ধতার কারণে এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কীভাবে কর আরোপ করা হবে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের ইমিশন ট্রেডিং স্কিম শুধু যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইস ফ্লাইটের ক্ষেত্রে কভারেজ দিয়ে থাকে। দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটের চার্জ এড়িয়ে যায়, যখন ছোট ফ্লাইট প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণে অর্থ প্রদান করে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তার দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট নেটওয়ার্কের কারণে উচ্চ কার্বন নিঃসরণ করা সত্ত্বেও ইমিশন ট্রেডিং স্কিমের অধীনে ইজিজেট বা রায়ানএয়ারের চেয়ে কম অর্থ দেয়।

নাগরিক প্রতিবেদন

২১ এপ্রিল, ২০২৪,  4:59 PM

news image

লন্ডন   :   বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ অধিক কার্বন নিঃসরণ। এর জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দায়ী করেন জলবায়ুসংশ্লিষ্টরা। যার সত্যতা মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়ও। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইনসগুলো থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ দ্রুত প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে এসেছে। দেশটির উড়োজাহাজ থেকে নির্গত কার্বন দূষণ চলতি বছর রেকর্ড তৈরির পথে রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (টিঅ্যান্ডই) গ্রুপের বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্বন রিপোর্টিং ও ফ্লাইট ডাটার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। সেখানকার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইনসগুলো আগের চেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে। মূলত কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধির ফলে দেশটির জেট জিরো কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্য ২০১৯ সালের কার্বন নিঃসরণ স্তরকে অতিক্রম না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। টিঅ্যান্ডইর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে রায়ানএয়ার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করেছে। এছাড়া ইজিজেটের কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং জেটটুডটকমের কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দূষণকারী এয়ারলাইনস হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তবে এর কার্বন নিঃসরণ এখনো ২০১৯ সালের স্তরের ১৮ শতাংশ কম রয়েছে।

২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৪০ হাজার। যার ফলে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়েছে, এটি ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৯ শতাংশ। টিঅ্যান্ডইর দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছর দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটগুলোর কার্বন নির্গমন ২০২২ সালের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি ছিল। চলতি বছর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, রায়ানএয়ার ও ইজিজেট ৭ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ নিঃসরণ অব্যাহত রেখেছে। যদিও নতুন উড়োজাহাজ যাত্রীপ্রতি কম জ্বালানি ব্যবহার করে, তবে ট্রাফিক বৃদ্ধির মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দূষণ বাড়ছে।

টিঅ্যান্ডই সতর্ক করেছে, ২০৫০ সালের আগে জেট জিরোর রোডম্যাপ বন্ধ হওয়ারও ঝুঁকি রয়ে গেছে। ইমিশন ট্রেডিং স্কিম (ইটিএস), যা জলবায়ু দূষণ হ্রাস করার জন্য একটি বাজারভিত্তিক পদ্ধতি; এর সীমাবদ্ধতার কারণে এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কীভাবে কর আরোপ করা হবে তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের ইমিশন ট্রেডিং স্কিম শুধু যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইস ফ্লাইটের ক্ষেত্রে কভারেজ দিয়ে থাকে। দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটের চার্জ এড়িয়ে যায়, যখন ছোট ফ্লাইট প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণে অর্থ প্রদান করে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তার দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট নেটওয়ার্কের কারণে উচ্চ কার্বন নিঃসরণ করা সত্ত্বেও ইমিশন ট্রেডিং স্কিমের অধীনে ইজিজেট বা রায়ানএয়ারের চেয়ে কম অর্থ দেয়।