মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদ জাতিসংঘের
নাগরিক প্রতিবেদন
২০ এপ্রিল, ২০২৪, 6:34 PM
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদ জাতিসংঘের
মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা ব্যাপক শোষণ ও অবিচারের মধ্যে রয়েছেন। মালয়েশিয়াকে তাদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে বলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল )জেনেভা থেকে এক বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। ওই বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়েক মাস ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশি শ্রমিকরা খুব খারাপ অবস্থায় আছেন। তারা বলেন, তাদের শোষণ, অবিচার ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ পান না। এমন অবস্থায় ভিসা শেষ করতে বাধ্য হন তারা। ফলে গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার ও নির্বাসনের ঝুঁকিতে পড়েন অভিবাসীরা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্কগুলো তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কারণ এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ রয়েছে। তারা আরও বলেছেন, এই চক্রের সঙ্গে দুই দেশের সরকারের কিছু উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তা জড়িত আছেন। এটি ঠিক নয়, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, মালয়েশিয়াকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্রম অভিবাসনকে পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া অভিবাসী কর্মীদের রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘের নির্দেশিকা নীতির অধীনে চলতে হবে। মালয়েশিয়াকে শোষণের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, সুরক্ষা এবং সহায়তা করতে হবে। ব্যক্তি পাচারের বিরুদ্ধে আইন কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতাকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর আগেও মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নাগরিক প্রতিবেদন
২০ এপ্রিল, ২০২৪, 6:34 PM
মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা ব্যাপক শোষণ ও অবিচারের মধ্যে রয়েছেন। মালয়েশিয়াকে তাদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে বলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল )জেনেভা থেকে এক বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। ওই বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়েক মাস ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশি শ্রমিকরা খুব খারাপ অবস্থায় আছেন। তারা বলেন, তাদের শোষণ, অবিচার ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ পান না। এমন অবস্থায় ভিসা শেষ করতে বাধ্য হন তারা। ফলে গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার ও নির্বাসনের ঝুঁকিতে পড়েন অভিবাসীরা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্কগুলো তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। কারণ এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ রয়েছে। তারা আরও বলেছেন, এই চক্রের সঙ্গে দুই দেশের সরকারের কিছু উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তা জড়িত আছেন। এটি ঠিক নয়, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, মালয়েশিয়াকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্রম অভিবাসনকে পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া অভিবাসী কর্মীদের রক্ষা করার জন্য জাতিসংঘের নির্দেশিকা নীতির অধীনে চলতে হবে। মালয়েশিয়াকে শোষণের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, সুরক্ষা এবং সহায়তা করতে হবে। ব্যক্তি পাচারের বিরুদ্ধে আইন কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতাকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর আগেও মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।