বাড়ছে গরম, চাহিদার সাথে বাড়বে লোডশেডিং

#
news image

চৈত্রের শেষ থেকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। কয়েকটি বিভাগের উপর দিয়ে বইছে মৃদু তাপ প্রবাহ এবং এটা আরো ৫দিন অব্যাহত থাকতে পারে। প্রচন্ড গরমে মানুষের প্রানওষ্ঠাগত। গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। ইদ ও নববর্ষের জন্য টানা ৬ দিন ছুটি থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমা অতিক্রম করেনি। চাহিদা কম থাকায় উৎপাদনও কম করতে হয়েছে। তারপরও দেশের গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হয়েছে বলে জানা গেছে। গরম বাড়তে থাকায় এবং চলতি সপ্তাহে কলকারখানা ও অফিস আদালত খোলার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে।

বিশেষ করে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে লোডশেডিং বাড়বে। ইদের আগের সপ্তাতে ২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

আবহাওয়া অধিদফতর প্রতিদিনই তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজও (১৫ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় সোমাবার সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সারাদেশে গড়ে তাপমাত্রা ছিলো প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ১ সপ্তাহের পিডিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১১ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিলো সর্বোচ্চ ৩ শ মেগাওয়াটের মতো। গত ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সর্বোচ্চ উৎপাদিত হয়েছে ১১ হাজার ৯৪৮ মেগাওয়া। আর সর্বনিম্ন সরবরাহ হয়েছে ৮ হাজার ৮৮৫ মেগাওয়াট। ১৪ এপ্রিল সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন সরবরাহ করা হয়েছে ১ হাজার মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয়েছে রাত ১০ টায় ১২৮২৩ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয় ২২৫ মেগাওয়াট।

সোমবার অফিস খোলার দিনের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয় ১৪ হাজার মেগাওয়াট আর উৎপাদন ধরা হয় ১৫ হাজার ৫৪৩ মেগাওয়াট। দুপুর ১২টায় ডে পিক টাইমে চাহিদা ছিলো ১২হাজার ৩শ মেগাওয়াট আর উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ১১ মেগাওয়াট। লোশেডিং ছিলো ২৭৫ মেগাওয়াট।

অপরদিকে ৫ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন সরবরাহ করা হয় ১১ হাজার ৮৮১ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ সরবরাহর করা হয় রাত ৯ টায় ১৩ হাজার ৫৭২ মেগাওয়াট। এ দিন রাত ১২ টায় সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয় ১৯৮২ মেগাওয়াট।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা,খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরো ৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্র অপরিবর্তিত থাকতে পারে, আবার কোথাও কোথাও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অফিস আদালত খুললেও এখনো ইদের আমেজ কাটেনি। তাই গরম বাড়লেও কলকারখানা চালু না হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমা ছাড়ায় নি। চলতি সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহে সব চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে যাবে। এই চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং বাড়বে। চাহিদা সামাল দিতে না পারলে গত বছরের চেয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

পিডিবি বলছে, গ্রীস্মে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। এবার সম্ভাব্য চাহিদা ১৭হাজার ৫শ মেগাওয়াট ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ি পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ হোসাইন  বলেন, গরম বেড়েছে, বিভিন্ন জেলায় তাপ প্রবাহ হচ্ছে। প্রতিবছর এই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। সে হিসেবেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি, সমস্যা হবে না। চাহিদা অনেক বাড়লে কিছুটা ঘাটতি হতে পারে।

নাগরিক প্রতিবেদন

১৬ এপ্রিল, ২০২৪,  3:11 PM

news image

চৈত্রের শেষ থেকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। কয়েকটি বিভাগের উপর দিয়ে বইছে মৃদু তাপ প্রবাহ এবং এটা আরো ৫দিন অব্যাহত থাকতে পারে। প্রচন্ড গরমে মানুষের প্রানওষ্ঠাগত। গরমে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। ইদ ও নববর্ষের জন্য টানা ৬ দিন ছুটি থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমা অতিক্রম করেনি। চাহিদা কম থাকায় উৎপাদনও কম করতে হয়েছে। তারপরও দেশের গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হয়েছে বলে জানা গেছে। গরম বাড়তে থাকায় এবং চলতি সপ্তাহে কলকারখানা ও অফিস আদালত খোলার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে।

বিশেষ করে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে লোডশেডিং বাড়বে। ইদের আগের সপ্তাতে ২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

আবহাওয়া অধিদফতর প্রতিদিনই তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজও (১৫ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় সোমাবার সর্বোচ্চ ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সারাদেশে গড়ে তাপমাত্রা ছিলো প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ১ সপ্তাহের পিডিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১১ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। লোডশেডিং ছিলো সর্বোচ্চ ৩ শ মেগাওয়াটের মতো। গত ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সর্বোচ্চ উৎপাদিত হয়েছে ১১ হাজার ৯৪৮ মেগাওয়া। আর সর্বনিম্ন সরবরাহ হয়েছে ৮ হাজার ৮৮৫ মেগাওয়াট। ১৪ এপ্রিল সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন সরবরাহ করা হয়েছে ১ হাজার মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয়েছে রাত ১০ টায় ১২৮২৩ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয় ২২৫ মেগাওয়াট।

সোমবার অফিস খোলার দিনের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয় ১৪ হাজার মেগাওয়াট আর উৎপাদন ধরা হয় ১৫ হাজার ৫৪৩ মেগাওয়াট। দুপুর ১২টায় ডে পিক টাইমে চাহিদা ছিলো ১২হাজার ৩শ মেগাওয়াট আর উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ১১ মেগাওয়াট। লোশেডিং ছিলো ২৭৫ মেগাওয়াট।

অপরদিকে ৫ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন সরবরাহ করা হয় ১১ হাজার ৮৮১ মেগাওয়াট আর সর্বোচ্চ সরবরাহর করা হয় রাত ৯ টায় ১৩ হাজার ৫৭২ মেগাওয়াট। এ দিন রাত ১২ টায় সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয় ১৯৮২ মেগাওয়াট।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা,খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরো ৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্র অপরিবর্তিত থাকতে পারে, আবার কোথাও কোথাও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অফিস আদালত খুললেও এখনো ইদের আমেজ কাটেনি। তাই গরম বাড়লেও কলকারখানা চালু না হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমা ছাড়ায় নি। চলতি সপ্তাহে না হলেও আগামী সপ্তাহে সব চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে যাবে। এই চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং বাড়বে। চাহিদা সামাল দিতে না পারলে গত বছরের চেয়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

পিডিবি বলছে, গ্রীস্মে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। এবার সম্ভাব্য চাহিদা ১৭হাজার ৫শ মেগাওয়াট ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ি পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ হোসাইন  বলেন, গরম বেড়েছে, বিভিন্ন জেলায় তাপ প্রবাহ হচ্ছে। প্রতিবছর এই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। সে হিসেবেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি, সমস্যা হবে না। চাহিদা অনেক বাড়লে কিছুটা ঘাটতি হতে পারে।