চোখের পানিতে পোশাক শ্রমিকের ঈদ

#
news image

 ঈদের আগে দেশের শিল্প কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়ার পরিস্থিতি এখনও সন্তোষজনক নয়। ছুটির আগে কর্মদিবস রয়েছে আর মাত্র একটি, আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)। অথচ সোমবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কারখানাতেই মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়নি। বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি এমন কারখানা সবচেয়ে বেশি বিজিএমইএর সদস্য। বেতন-বোনাস না দেওয়ায় সোমবারও ধামরাই, সাভার, গাজীপুর নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ শিল্প পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিল্প কারখানায় ঈদে বেতন-বোনাস পরিস্থিতির একটি তালিকা প্রকাশ করে শিল্প পুলিশ। শিল্প পুলিশের ৮টি ইউনিটের অধীনে যেসব কারখানা রয়েছে তার আলোকেই এ তালিকা তৈরি করা হয়। এতে দেখা যায়, শিল্প পুলিশের আট ইউনিটের অধীনে সব ধরনের মোট কারখানা রয়েছে ৯ হাজার ৪৬৯টি। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬২০টিতে, বাকি রয়েছে ৪ হাজার ৮৪৯টিতে।

 এ অনুযায়ী, বেতন পরিশোধের হার ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং বেতন না দেওয়ার হার ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ। এ ছাড়া ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৭০৩টি কারখানায়, বোনাস বাকি রয়েছে ১ হাজার ৭৬৬টি কারখানায়। বোনাস দেওয়ার হার ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং না দেওয়ার হার ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ফলে ঈদের আগে আর মাত্র একটি কর্ম দিবস থাকায় শ্রমিকদের মনে শঙ্কা জেগেছে, ঈদের আগে হয়তো আর জুটছে না বেতন-বোনাস। এ অশঙ্কায় চোখে পানি ঝরছে অনেক শ্রমিকের।

 শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে শিল্প মালিকদের সংগঠনভিত্তিক সদস্য কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া পরিস্থিতির চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত। এতে দখো যায়, শিল্প পুলিশের ৮ ইউনিটের অধীনে বিজিএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে মোট ১ হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৬৪১টিতে, এখনো বেতন বাকি রয়েছে ৯২০টি কারখানায়। অর্থাৎ বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানায় মার্চ মাসের বেতন না দেওয়ার হার ৫৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

বিকেএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৬২৬টি। এর মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ১৯১টিতে, বাকি রয়েছে ৪৩৫টিতে। এ ছাড়া বোনাস দেওয়া হয়েছে ৪৮২টিতে, বাকি রয়েছে ১৪৪টিতে। আর বিটিএমইএর সদস্যভুক্ত ৩৪৭টি কারখানার মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ১৭৭টিতে, বাকি রয়েছে ১৭০টিতে। বিটিএমইএর কারখানাগুলোর মধ্যে বোনাস দেওয়া হয়েছে ৩২১টিতে, বাকি রয়েছে ২৬টিতে।

 এদিকে বেপজার অধীনে থাকা শিল্প কারখানাতেও এখনও বেতন-বোনাস বাকি রয়েছে। বেপাজার মোট ৪২৩টি কারখানার মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৩৪৭টিতে, বাকি রয়েছে ৭৬টিতে। এ ছাড়া বোনাস দেওয়া হয়েছে ৪১৪টিতে, বাকি রয়েছে ৯টিতে।

শিল্প পুলিশের আওতায় থাকা মোট ৯২টি পাটকলের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৭৪টিতে, বাকি রয়েছে ১৮টিতে। বোনাস দেওয়া হয়েছে ৮২টিতে, বাকি রয়েছে ১০টিতে। এদিকে শিল্প কারখানায় ছুটি দেওয়া নিয়েও জটিলতা রয়েছে।

 শিল্প পুলিশের অধীনে থাকা মোট ৯ হাজার ৪৬৯টি কারখানার মধ্যে সোমবার ছুটি দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৮৪টিতে এবং এদিন পর্যন্ত ছুটি হওয়া মোট কারখানার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮১টি। ঈদের মধ্যেও ছুটি দেওয়া হবে না এমন কারখানার সংখ্যা ১১৬টি। এ ছাড়া বন্ধ কারখানার সংখ্যা ৬৩১টি এবং আংশিক খোলা রাখা কারখানার সংখ্যা ৭১টি।

 সার্বিক বিষয় সম্পর্কে শিল্প পুলিশের ইউনিট-২, গাজীপুর অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ সরোয়ার আলম সময়ের আলোকে বলেন, আমরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলাম, তেমটি এখনও হয়নি। অর্থাৎ আমরা চেয়েছিলাম ৮ এপ্রিলের মধ্যেই অধিকাংশ শিল্প কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানসহ ছুটি দেওয়া হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। বাস্তবে এখনও প্রায় অর্ধেক শিল্প কারখানাতেই বেতন-বোনাস বাকি। ঈদের আগে কর্ম দিবস রয়েছে আর মাত্র একটি, মঙ্গলবার। এর মধ্যে বেতন না হলে তো সংকট দেখা দেবে। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

অবশ্য বিজিএমইএর তরফ থেকে বলা হয়েছে, শতভাগ গার্মেন্টস কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়ে গেছে এবং কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজধানীর উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, শ্রমিকদের শতভাগ বেতন-বোনাস দিয়ে ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।

 দিনভর অপেক্ষার পর অর্ধেক বেতন পেলেন ওডিসির পোশাক শ্রমিকরা ধামরাই প্রতিনিধি  জানান, কথা ছিল ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পাবেন। এরমধ্যে কিছুই না দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় কর্তৃপক্ষ সময় চেয়ে নেয় চার দিন। সোমবার বেতন-বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও দিনভর কারখানার কাছে বসে থেকে বিকালের দিকে অর্ধেক বেতন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঢাকার ধামরাইয়ের ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের। এর আগে, সকালের দিকেই শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের আশায় কারখানায় আসেন। আশপাশে অবস্থান নেন।

 শ্রমিকরা সকালের দিকে জানান, ঈদ চলে এলেও ২ হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিকের মার্চের বেতন ও ঈদ বোনাস দিচ্ছিল না ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেড। শ্রমিকদের অভিযোগ, এ বছরের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার আন্দোলন করে বকেয়া বেতন আদায় করতে হয়েছে। এবার তারা আন্দোলন করেছেন মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাসের দাবিতে।

 আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, এ বছরের জানুয়ারি ও আগের বছরে ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক বেতন বকেয়া থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। ওই সময় কারখানাটি ১৩ দিন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। পরে একই মাসে দুই দফায় পুরো বকেয়া বেতন পরিশোধ করে।

 বেতন-ভাতা না পেলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ ডিআইজির সময়মতো বেতন-ভাতা না পেলে বিশৃঙ্খলা না করে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া। সোমবার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি।

 শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া শিল্প শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সে প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর বা বিক্ষোভ না করে পুলিশের সহায়তা নিন। পুলিশ শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করবে।

নাগরিক প্রতিবেদন

০৯ এপ্রিল, ২০২৪,  11:14 AM

news image

 ঈদের আগে দেশের শিল্প কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়ার পরিস্থিতি এখনও সন্তোষজনক নয়। ছুটির আগে কর্মদিবস রয়েছে আর মাত্র একটি, আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)। অথচ সোমবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কারখানাতেই মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়নি। বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি এমন কারখানা সবচেয়ে বেশি বিজিএমইএর সদস্য। বেতন-বোনাস না দেওয়ায় সোমবারও ধামরাই, সাভার, গাজীপুর নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ শিল্প পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিল্প কারখানায় ঈদে বেতন-বোনাস পরিস্থিতির একটি তালিকা প্রকাশ করে শিল্প পুলিশ। শিল্প পুলিশের ৮টি ইউনিটের অধীনে যেসব কারখানা রয়েছে তার আলোকেই এ তালিকা তৈরি করা হয়। এতে দেখা যায়, শিল্প পুলিশের আট ইউনিটের অধীনে সব ধরনের মোট কারখানা রয়েছে ৯ হাজার ৪৬৯টি। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬২০টিতে, বাকি রয়েছে ৪ হাজার ৮৪৯টিতে।

 এ অনুযায়ী, বেতন পরিশোধের হার ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং বেতন না দেওয়ার হার ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ। এ ছাড়া ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৭০৩টি কারখানায়, বোনাস বাকি রয়েছে ১ হাজার ৭৬৬টি কারখানায়। বোনাস দেওয়ার হার ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং না দেওয়ার হার ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ফলে ঈদের আগে আর মাত্র একটি কর্ম দিবস থাকায় শ্রমিকদের মনে শঙ্কা জেগেছে, ঈদের আগে হয়তো আর জুটছে না বেতন-বোনাস। এ অশঙ্কায় চোখে পানি ঝরছে অনেক শ্রমিকের।

 শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে শিল্প মালিকদের সংগঠনভিত্তিক সদস্য কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া পরিস্থিতির চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত। এতে দখো যায়, শিল্প পুলিশের ৮ ইউনিটের অধীনে বিজিএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে মোট ১ হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৬৪১টিতে, এখনো বেতন বাকি রয়েছে ৯২০টি কারখানায়। অর্থাৎ বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানায় মার্চ মাসের বেতন না দেওয়ার হার ৫৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

বিকেএমইএর সদস্য কারখানা রয়েছে ৬২৬টি। এর মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ১৯১টিতে, বাকি রয়েছে ৪৩৫টিতে। এ ছাড়া বোনাস দেওয়া হয়েছে ৪৮২টিতে, বাকি রয়েছে ১৪৪টিতে। আর বিটিএমইএর সদস্যভুক্ত ৩৪৭টি কারখানার মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ১৭৭টিতে, বাকি রয়েছে ১৭০টিতে। বিটিএমইএর কারখানাগুলোর মধ্যে বোনাস দেওয়া হয়েছে ৩২১টিতে, বাকি রয়েছে ২৬টিতে।

 এদিকে বেপজার অধীনে থাকা শিল্প কারখানাতেও এখনও বেতন-বোনাস বাকি রয়েছে। বেপাজার মোট ৪২৩টি কারখানার মধ্যে মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৩৪৭টিতে, বাকি রয়েছে ৭৬টিতে। এ ছাড়া বোনাস দেওয়া হয়েছে ৪১৪টিতে, বাকি রয়েছে ৯টিতে।

শিল্প পুলিশের আওতায় থাকা মোট ৯২টি পাটকলের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে ৭৪টিতে, বাকি রয়েছে ১৮টিতে। বোনাস দেওয়া হয়েছে ৮২টিতে, বাকি রয়েছে ১০টিতে। এদিকে শিল্প কারখানায় ছুটি দেওয়া নিয়েও জটিলতা রয়েছে।

 শিল্প পুলিশের অধীনে থাকা মোট ৯ হাজার ৪৬৯টি কারখানার মধ্যে সোমবার ছুটি দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৮৪টিতে এবং এদিন পর্যন্ত ছুটি হওয়া মোট কারখানার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮১টি। ঈদের মধ্যেও ছুটি দেওয়া হবে না এমন কারখানার সংখ্যা ১১৬টি। এ ছাড়া বন্ধ কারখানার সংখ্যা ৬৩১টি এবং আংশিক খোলা রাখা কারখানার সংখ্যা ৭১টি।

 সার্বিক বিষয় সম্পর্কে শিল্প পুলিশের ইউনিট-২, গাজীপুর অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ সরোয়ার আলম সময়ের আলোকে বলেন, আমরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলাম, তেমটি এখনও হয়নি। অর্থাৎ আমরা চেয়েছিলাম ৮ এপ্রিলের মধ্যেই অধিকাংশ শিল্প কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানসহ ছুটি দেওয়া হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। বাস্তবে এখনও প্রায় অর্ধেক শিল্প কারখানাতেই বেতন-বোনাস বাকি। ঈদের আগে কর্ম দিবস রয়েছে আর মাত্র একটি, মঙ্গলবার। এর মধ্যে বেতন না হলে তো সংকট দেখা দেবে। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

অবশ্য বিজিএমইএর তরফ থেকে বলা হয়েছে, শতভাগ গার্মেন্টস কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়ে গেছে এবং কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজধানীর উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, শ্রমিকদের শতভাগ বেতন-বোনাস দিয়ে ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।

 দিনভর অপেক্ষার পর অর্ধেক বেতন পেলেন ওডিসির পোশাক শ্রমিকরা ধামরাই প্রতিনিধি  জানান, কথা ছিল ঈদের আগেই বেতন-বোনাস পাবেন। এরমধ্যে কিছুই না দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় কর্তৃপক্ষ সময় চেয়ে নেয় চার দিন। সোমবার বেতন-বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও দিনভর কারখানার কাছে বসে থেকে বিকালের দিকে অর্ধেক বেতন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঢাকার ধামরাইয়ের ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের। এর আগে, সকালের দিকেই শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের আশায় কারখানায় আসেন। আশপাশে অবস্থান নেন।

 শ্রমিকরা সকালের দিকে জানান, ঈদ চলে এলেও ২ হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিকের মার্চের বেতন ও ঈদ বোনাস দিচ্ছিল না ওডিসি ক্রাফট প্রাইভেট লিমিটেড। শ্রমিকদের অভিযোগ, এ বছরের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার আন্দোলন করে বকেয়া বেতন আদায় করতে হয়েছে। এবার তারা আন্দোলন করেছেন মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাসের দাবিতে।

 আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, এ বছরের জানুয়ারি ও আগের বছরে ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক বেতন বকেয়া থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। ওই সময় কারখানাটি ১৩ দিন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। পরে একই মাসে দুই দফায় পুরো বকেয়া বেতন পরিশোধ করে।

 বেতন-ভাতা না পেলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ ডিআইজির সময়মতো বেতন-ভাতা না পেলে বিশৃঙ্খলা না করে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া। সোমবার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি।

 শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া শিল্প শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সে প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর বা বিক্ষোভ না করে পুলিশের সহায়তা নিন। পুলিশ শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করবে।