চট্টগ্রামে বখাটে মতিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকায়বাসী
এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম
০৮ এপ্রিল, ২০২৪, 9:34 PM
চট্টগ্রামে বখাটে মতিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকায়বাসী
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদণ্ডী ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে গতিরোধ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করে বখাটে মতিন। রাতের বেলায় ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগও রয়েছে মতিনের বিরুদ্ধে। তার অত্যাচারে মান সম্মানের ভয়ে মুখ না খুললেও নীরবে কয়েকটি পরিবার বাড়ি ছেড়ে শহরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
জানা গেছে, শুধু রাস্তা ঘাটে নয় রাতের বেলায় ঘরে এসেও নারীদের উত্যক্ত করে এ মতিন। ঘরের বাইরে শুকোতে দেওয়া নারীদের কাপড় চোপড় নিয়ে যায়। তার ভয়ে মুখ না খোলায় দিনদিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে বখাটে মতিন। আবদুল মতিন (৩০) বোয়ালখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমদণ্ডী অলি মিয়াজি বাড়ির আবদুল করিমের ছেলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কলেক শিক্ষার্থী জানান, মতিনের অত্যাচারে গ্রামের কয়েকটি পরিবার শহরে বসবাস করছেন। গ্রামে থাকা পরিবারগুলো মুখ বুঝে এসব সহ্য করছেন মান সম্মানের ভয়ে। অনেকে পুরুষ নিকটাত্মীয়দের বাড়ি এনে রেখেছেন নিরাপত্তার স্বার্থে।
মতিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতে যখন তখন বাড়িতে ঢুকে পড়ে ঘরের মেয়েদের উত্যক্ত করে। এলাকার মা-বোনদের বাইরে শুকাতে দেওয়া কাপড় চোপড় নিয়ে গিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। দোকান থেকে জিনিসপত্র নিয়ে টাকা দেয় না। চা-নাস্তা খেয়ে বিল দেয় না। টাকা ধার নিলে তাও ফেরত দেয়। কথায় কথায় মানুষজন মারধর করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এসব নিত্য দিনের ঘটনা। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় গতিরোধ বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলে।
এসবই যেন মাদকাসক্ত মতিনের নেশা এবং পেশা। এছাড়া এক বয়স্ক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল মতিন এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, বখাটে মতিনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে বোয়ালখালী থানায় দায়ের হয়েছিলো দুইটি মামলা। এছাড়া ২০২২ সালের ২১ মার্চ পৌর সদর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরও দমেনি মতিন। দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আছহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিং বা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির সুযোগ নেই। মতিনের বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এসব অপরাধ নির্মূলে পুলিশ সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে।
এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম
০৮ এপ্রিল, ২০২৪, 9:34 PM
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদণ্ডী ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে গতিরোধ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করে বখাটে মতিন। রাতের বেলায় ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগও রয়েছে মতিনের বিরুদ্ধে। তার অত্যাচারে মান সম্মানের ভয়ে মুখ না খুললেও নীরবে কয়েকটি পরিবার বাড়ি ছেড়ে শহরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
জানা গেছে, শুধু রাস্তা ঘাটে নয় রাতের বেলায় ঘরে এসেও নারীদের উত্যক্ত করে এ মতিন। ঘরের বাইরে শুকোতে দেওয়া নারীদের কাপড় চোপড় নিয়ে যায়। তার ভয়ে মুখ না খোলায় দিনদিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে বখাটে মতিন। আবদুল মতিন (৩০) বোয়ালখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমদণ্ডী অলি মিয়াজি বাড়ির আবদুল করিমের ছেলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কলেক শিক্ষার্থী জানান, মতিনের অত্যাচারে গ্রামের কয়েকটি পরিবার শহরে বসবাস করছেন। গ্রামে থাকা পরিবারগুলো মুখ বুঝে এসব সহ্য করছেন মান সম্মানের ভয়ে। অনেকে পুরুষ নিকটাত্মীয়দের বাড়ি এনে রেখেছেন নিরাপত্তার স্বার্থে।
মতিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতে যখন তখন বাড়িতে ঢুকে পড়ে ঘরের মেয়েদের উত্যক্ত করে। এলাকার মা-বোনদের বাইরে শুকাতে দেওয়া কাপড় চোপড় নিয়ে গিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। দোকান থেকে জিনিসপত্র নিয়ে টাকা দেয় না। চা-নাস্তা খেয়ে বিল দেয় না। টাকা ধার নিলে তাও ফেরত দেয়। কথায় কথায় মানুষজন মারধর করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এসব নিত্য দিনের ঘটনা। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় গতিরোধ বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলে।
এসবই যেন মাদকাসক্ত মতিনের নেশা এবং পেশা। এছাড়া এক বয়স্ক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল মতিন এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, বখাটে মতিনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে বোয়ালখালী থানায় দায়ের হয়েছিলো দুইটি মামলা। এছাড়া ২০২২ সালের ২১ মার্চ পৌর সদর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরও দমেনি মতিন। দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আছহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিং বা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির সুযোগ নেই। মতিনের বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এসব অপরাধ নির্মূলে পুলিশ সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে।