শেষ মুহূর্তে পোশাকের বাজার চাঙ্গা

#
news image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর খুব বেশি দেরি নেই। রাজধানীর বড় বড় বিপণি-বিতান ও নামি-দামি ব্র্যান্ডের শোরুমেও শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। বেচাকেনায় পিছিয়ে নেই ফুটপাতের ভাসমান দোকানিরাও। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মধ্যরাতেও চলছে সমান তালে বেচাকেনা। সব বয়সী মানুষজনই দোকানে-দোকানে ঘুরে পছন্দের জামাকাপড় কেনার চেষ্টা করছেন। ক্রেতার এমন উপস্থিতিতে খুশি বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, অনেক বছর পর এমন ক্রেতার সমাগম ঘটেছে।

‘দেইখ্যা লন, বাইছা লন’- হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে দোকানগুলো। চাঁদরাত পর্যন্ত এমন আমেজ থাকাবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন জানান, রোজার প্রথম সপ্তাহের তুলনায় এখন কয়েকগুণ ভিড় বেড়েছে; বিক্রিও বেড়েছে। গত কয়েক বছরের চেয়ে অবশ্যই এবার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে।

নিউমার্কেটের মতো আশপাশের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটগুলোতেও ঈদের বাণিজ্যের হাওয়া লেগেছে। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মনজুর আহমেদ বলেন, দীর্ঘ সময় পর ঈদে ব্যবসার চাকা ঘুরছে। এখন ঈদ বাণিজ্যের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ পাশের দেশে চলে যাই উল্লেখ করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, অতীতেও বিদেশে ঈদের কেনাকাটার প্রবণতা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটার পরিমাণ বাড়ছে।  এটা থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের বাজারেও বিদেশি পণ্য বিক্রি বেড়েছে। মূলত দেশের পণ্যের চেয়ে দামে কম হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের এসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারলে পণ্যের বৈচিত্র্য ও দাম আরও কমে আসত।

উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য হয়ে থাকে ঈদুল ফিতরে। এবার ঈদ কেন্দ্র করে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এর মধ্যে পোশাক উপহার বাবদ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাগরিক প্রতিবেদন

০৬ এপ্রিল, ২০২৪,  12:48 PM

news image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর খুব বেশি দেরি নেই। রাজধানীর বড় বড় বিপণি-বিতান ও নামি-দামি ব্র্যান্ডের শোরুমেও শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। বেচাকেনায় পিছিয়ে নেই ফুটপাতের ভাসমান দোকানিরাও। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মধ্যরাতেও চলছে সমান তালে বেচাকেনা। সব বয়সী মানুষজনই দোকানে-দোকানে ঘুরে পছন্দের জামাকাপড় কেনার চেষ্টা করছেন। ক্রেতার এমন উপস্থিতিতে খুশি বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, অনেক বছর পর এমন ক্রেতার সমাগম ঘটেছে।

‘দেইখ্যা লন, বাইছা লন’- হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে দোকানগুলো। চাঁদরাত পর্যন্ত এমন আমেজ থাকাবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন জানান, রোজার প্রথম সপ্তাহের তুলনায় এখন কয়েকগুণ ভিড় বেড়েছে; বিক্রিও বেড়েছে। গত কয়েক বছরের চেয়ে অবশ্যই এবার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে।

নিউমার্কেটের মতো আশপাশের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটগুলোতেও ঈদের বাণিজ্যের হাওয়া লেগেছে। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মনজুর আহমেদ বলেন, দীর্ঘ সময় পর ঈদে ব্যবসার চাকা ঘুরছে। এখন ঈদ বাণিজ্যের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষ পাশের দেশে চলে যাই উল্লেখ করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, অতীতেও বিদেশে ঈদের কেনাকাটার প্রবণতা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটার পরিমাণ বাড়ছে।  এটা থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের বাজারেও বিদেশি পণ্য বিক্রি বেড়েছে। মূলত দেশের পণ্যের চেয়ে দামে কম হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের এসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারলে পণ্যের বৈচিত্র্য ও দাম আরও কমে আসত।

উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির মধ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য হয়ে থাকে ঈদুল ফিতরে। এবার ঈদ কেন্দ্র করে এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এর মধ্যে পোশাক উপহার বাবদ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।