আকাশপথেও যাত্রীর চাপ, ফ্লাইট বাড়িয়েছে এয়ারলাইনসগুলো

#
news image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেল, সড়ক ও নৌপথের পাশাপাশি আকাশপথেও তৈরি হয়েছে যাত্রীর চাপ। বাড়তি এ চাপ সামাল দিতে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ঈদের সময় অভ্যন্তরীণ রুটে বড় উড়োজাহাজও পরিচালনা করবে সংস্থাটি। এয়ার অ্যাস্ট্রার মতো বেসরকারি আকাশ পরিবহন সংস্থাও ঈদ উপলক্ষে ফ্লাইট বাড়িয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরই মধ্যে ঈদের আগে ও পরের ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা বাড়ায় টিকিটের দামও বেড়েছে। বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত নয়টি (যাওয়া-আসা মিলিয়ে ১৮টি) ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইনসটি। অতিরিক্ত এ ফ্লাইটগুলো ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর ও বরিশাল রুটে পরিচালিত হবে। এছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে বৃহদাকার উড়োজাহাজ।

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে দুটি অতিরিক্ত ফ্লাইট সংযোজন করেছে এয়ার অ্যাস্ট্রা। সব মিলিয়ে বর্তমানে এয়ারলাইনসটির প্রতিদিন চলাচল করা ফ্লাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০-এ। বেসরকারি এ আকাশ পরিবহন সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন) শাকিব হাসান শুভ বলেন, ‘‌ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা সৈয়দপুর রুটে দুটি ফ্লাইট যুক্ত করেছি। ঈদের আগে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর মূল কারণ ঈদের সময়ে যাত্রীর চাহিদা। ঈদের পরেও ফ্লাইট দুটি ওই রুটে চলাচল করবে, যতদিন না আমরা এ সূচি পরিবর্তন করছি। অন্য রুটে এখন পর্যন্ত আমরা নতুন ফ্লাইট সংযোজন করিনি। কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন চারটি, সিলেটে তিনটি ও চট্টগ্রামে চারটি ফ্লাইট চলাচল করছে।’

টিকিট বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‌সাধারণত ঈদের আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোয় কোনো আসন ফাঁকা থাকে না। কিন্তু ঢাকায় ফেরার পথে অনেক আসন ফাঁকা থাকে। উল্টো ঘটনা ঘটে ঈদের পর। সব মিলিয়ে ঈদের আগে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট ৮০ শতাংশের মতো বিক্রি হয়ে গেছে। একইভাবে ঈদের পর ঢাকামুখী ফ্লাইটগুলোরও সিংহভাগ টিকিট আমরা এরই মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছি।’

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করবে বলে তথ্য দিয়েছে নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। ঈদের আগের চার-পাঁচদিন ও পরের চার-পাঁচদিনে বিপুলসংখ্যক মানুষের এ যাতায়াত দেশের পরিবহন খাতে চাপ তৈরি করবে। এরই মধ্যে ঈদের আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে রেলওয়ে ঢাকা থেকে ঈদের আগের সাতদিনে মাত্র আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। ফলে ঈদের সময় যাতায়াতে বেশির ভাগ মানুষকে নির্ভর করতে হবে সড়কপথের ওপর। আবার যারা ঝক্কিঝামেলা এড়াতে চায় তাদের পছন্দ আকাশপথ। তাই এ সময় উড়োজাহাজের টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

বেসরকারি আকাশ পরিবহন সংস্থা নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ঈদের আগের চার-পাঁচদিন ও ঈদের পরের চার-পাঁচদিনের ফ্লাইটগুলোর ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ‌আমরা অবশ্য ঈদ উপলক্ষে ফ্লাইট বাড়াচ্ছি না। এখন প্রতিদিন ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করছি। এ বহর দিয়েই ঈদযাত্রীদের সেবা দেয়া হবে।’

নাগরিক প্রতিবেদন

০৪ এপ্রিল, ২০২৪,  12:10 PM

news image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেল, সড়ক ও নৌপথের পাশাপাশি আকাশপথেও তৈরি হয়েছে যাত্রীর চাপ। বাড়তি এ চাপ সামাল দিতে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ঈদের সময় অভ্যন্তরীণ রুটে বড় উড়োজাহাজও পরিচালনা করবে সংস্থাটি। এয়ার অ্যাস্ট্রার মতো বেসরকারি আকাশ পরিবহন সংস্থাও ঈদ উপলক্ষে ফ্লাইট বাড়িয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরই মধ্যে ঈদের আগে ও পরের ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা বাড়ায় টিকিটের দামও বেড়েছে। বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত নয়টি (যাওয়া-আসা মিলিয়ে ১৮টি) ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইনসটি। অতিরিক্ত এ ফ্লাইটগুলো ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর ও বরিশাল রুটে পরিচালিত হবে। এছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে বৃহদাকার উড়োজাহাজ।

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে দুটি অতিরিক্ত ফ্লাইট সংযোজন করেছে এয়ার অ্যাস্ট্রা। সব মিলিয়ে বর্তমানে এয়ারলাইনসটির প্রতিদিন চলাচল করা ফ্লাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০-এ। বেসরকারি এ আকাশ পরিবহন সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন) শাকিব হাসান শুভ বলেন, ‘‌ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা সৈয়দপুর রুটে দুটি ফ্লাইট যুক্ত করেছি। ঈদের আগে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর মূল কারণ ঈদের সময়ে যাত্রীর চাহিদা। ঈদের পরেও ফ্লাইট দুটি ওই রুটে চলাচল করবে, যতদিন না আমরা এ সূচি পরিবর্তন করছি। অন্য রুটে এখন পর্যন্ত আমরা নতুন ফ্লাইট সংযোজন করিনি। কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন চারটি, সিলেটে তিনটি ও চট্টগ্রামে চারটি ফ্লাইট চলাচল করছে।’

টিকিট বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‌সাধারণত ঈদের আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোয় কোনো আসন ফাঁকা থাকে না। কিন্তু ঢাকায় ফেরার পথে অনেক আসন ফাঁকা থাকে। উল্টো ঘটনা ঘটে ঈদের পর। সব মিলিয়ে ঈদের আগে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট ৮০ শতাংশের মতো বিক্রি হয়ে গেছে। একইভাবে ঈদের পর ঢাকামুখী ফ্লাইটগুলোরও সিংহভাগ টিকিট আমরা এরই মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছি।’

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করবে বলে তথ্য দিয়েছে নাগরিক সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। ঈদের আগের চার-পাঁচদিন ও পরের চার-পাঁচদিনে বিপুলসংখ্যক মানুষের এ যাতায়াত দেশের পরিবহন খাতে চাপ তৈরি করবে। এরই মধ্যে ঈদের আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে রেলওয়ে ঢাকা থেকে ঈদের আগের সাতদিনে মাত্র আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। ফলে ঈদের সময় যাতায়াতে বেশির ভাগ মানুষকে নির্ভর করতে হবে সড়কপথের ওপর। আবার যারা ঝক্কিঝামেলা এড়াতে চায় তাদের পছন্দ আকাশপথ। তাই এ সময় উড়োজাহাজের টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

বেসরকারি আকাশ পরিবহন সংস্থা নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ঈদের আগের চার-পাঁচদিন ও ঈদের পরের চার-পাঁচদিনের ফ্লাইটগুলোর ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ‌আমরা অবশ্য ঈদ উপলক্ষে ফ্লাইট বাড়াচ্ছি না। এখন প্রতিদিন ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করছি। এ বহর দিয়েই ঈদযাত্রীদের সেবা দেয়া হবে।’