মধ্যপ্রাচ্যে ক্রিপ্টো আয়ে শীর্ষে সৌদি আরব

#
news image

রিয়াদ  :  আগের বছরের টালমাটাল পরিস্থিতির তুলনায় ২০২৩ সালে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার দেখেছে বৈশ্বিক ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখেছেন সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরাও। ৩৫ কোটি ডলারের বেশি আয় করে তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন।  চেইন্যালাইসিস বিশ্লেষক সংস্থাটির তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক ক্রিপ্টোর বাজারে বিনিয়োগকারীদের মোট অর্জন ছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

২০২৩ সালে ক্রিপ্টোর বাজারে মোট লেনদেন ছিল ১৫ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালের চেয়ে কম। তবে ২০২২ সালের আনুমানিক ১২ হাজার ৭১০ কোটি ডলার ক্ষতির চেয়ে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার হয়েছে গত বছর। এ বছর বেশির ভাগ দেশের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীরাও ইতিবাচক অবস্থানে ছিলেন। তারা আয় করেছেন ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) অঞ্চলে এটি দ্বিতীয় অবস্থান। শীর্ষ থাকা সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের আয় ছিল ৩৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চেইন্যালাইসিসের করা তালিকায় বৈশ্বিক শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকায় সৌদি আরব ও ইউএই ছাড়া অন্য কোনো জিসিসি দেশ স্থান পায়নি। চেইন্যালাইসিসের বিশ্লেষণ বলছে, ইউএইর বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের তুলনায় গড়ে পাঁচ গুণ বেশি আয় করেছেন। তাদের পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে শীর্ষে ছিল বিটকয়েন, যা দেশটির বিনিয়োগকারীদের মোট আয়ের ৭০ শতাংশের উৎস। এছাড়া দ্বিতীয় পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সি ছিল ইথারিয়াম, যা দেশটির বিনিয়োগকারীদের আয়ের ২৪ শতাংশ। ৩ শতাংশ আয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে এক্সআরপি।

চেইন্যালাইসিসের গবেষণা পরিচালক কিম গ্রাউয়ার বলেন, ‘বিটকয়েন ও ইথারিয়ামের জনপ্রিয়তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক পরিপক্বতার মাত্রা নির্দেশ করে। এটা স্পষ্ট হলো যে তারা স্থির ও কর্মক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে এমন সুপ্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল মুদ্রাকে বেছে নিয়েছে।’

চেইন্যালাইলিসের বিশ্লেষণে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ শীর্ষ ৫০-এ স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ষষ্ঠ, বিশতম, পঁচিশতম ও ঊনপঞ্চাশতম। প্রতি ক্রিপ্টোতে এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ২ দশমিক শূন্য ৭ ডলার।

এ বিষয়ে কিম গ্রাউয়ার জানান, এ দেশগুলোয় ডিজিটাল সম্পদের প্রতি শক্তিশালী আকর্ষণ রয়েছে। এখানে ক্রিপ্টো সুবিধাযুক্ত আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের বৃহত্তর সম্ভাবনা রয়েছে। একই ধরনের আগ্রহ সরকারি পর্যায়ে ইউএই প্রদর্শন করেছে।

চলতি বছরের ক্রিপ্টো বাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগের বছরের পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত হিসেবে নেয়া উচিত নয়। তার পরও চলতি বছরে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে উৎসাহজনক পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালের ইতিবাচক প্রবণতার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। যদি এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০২১ সালের মতো প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।’

নাগরিক আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ মার্চ, ২০২৪,  4:08 PM

news image

রিয়াদ  :  আগের বছরের টালমাটাল পরিস্থিতির তুলনায় ২০২৩ সালে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার দেখেছে বৈশ্বিক ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখেছেন সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরাও। ৩৫ কোটি ডলারের বেশি আয় করে তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন।  চেইন্যালাইসিস বিশ্লেষক সংস্থাটির তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক ক্রিপ্টোর বাজারে বিনিয়োগকারীদের মোট অর্জন ছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

২০২৩ সালে ক্রিপ্টোর বাজারে মোট লেনদেন ছিল ১৫ হাজার ৯৭০ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালের চেয়ে কম। তবে ২০২২ সালের আনুমানিক ১২ হাজার ৭১০ কোটি ডলার ক্ষতির চেয়ে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার হয়েছে গত বছর। এ বছর বেশির ভাগ দেশের মতোই সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীরাও ইতিবাচক অবস্থানে ছিলেন। তারা আয় করেছেন ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) অঞ্চলে এটি দ্বিতীয় অবস্থান। শীর্ষ থাকা সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের আয় ছিল ৩৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চেইন্যালাইসিসের করা তালিকায় বৈশ্বিক শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকায় সৌদি আরব ও ইউএই ছাড়া অন্য কোনো জিসিসি দেশ স্থান পায়নি। চেইন্যালাইসিসের বিশ্লেষণ বলছে, ইউএইর বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের তুলনায় গড়ে পাঁচ গুণ বেশি আয় করেছেন। তাদের পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে শীর্ষে ছিল বিটকয়েন, যা দেশটির বিনিয়োগকারীদের মোট আয়ের ৭০ শতাংশের উৎস। এছাড়া দ্বিতীয় পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সি ছিল ইথারিয়াম, যা দেশটির বিনিয়োগকারীদের আয়ের ২৪ শতাংশ। ৩ শতাংশ আয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে এক্সআরপি।

চেইন্যালাইসিসের গবেষণা পরিচালক কিম গ্রাউয়ার বলেন, ‘বিটকয়েন ও ইথারিয়ামের জনপ্রিয়তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক পরিপক্বতার মাত্রা নির্দেশ করে। এটা স্পষ্ট হলো যে তারা স্থির ও কর্মক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে এমন সুপ্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল মুদ্রাকে বেছে নিয়েছে।’

চেইন্যালাইলিসের বিশ্লেষণে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ শীর্ষ ৫০-এ স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ষষ্ঠ, বিশতম, পঁচিশতম ও ঊনপঞ্চাশতম। প্রতি ক্রিপ্টোতে এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ২ দশমিক শূন্য ৭ ডলার।

এ বিষয়ে কিম গ্রাউয়ার জানান, এ দেশগুলোয় ডিজিটাল সম্পদের প্রতি শক্তিশালী আকর্ষণ রয়েছে। এখানে ক্রিপ্টো সুবিধাযুক্ত আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের বৃহত্তর সম্ভাবনা রয়েছে। একই ধরনের আগ্রহ সরকারি পর্যায়ে ইউএই প্রদর্শন করেছে।

চলতি বছরের ক্রিপ্টো বাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগের বছরের পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত হিসেবে নেয়া উচিত নয়। তার পরও চলতি বছরে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে উৎসাহজনক পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালের ইতিবাচক প্রবণতার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। যদি এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০২১ সালের মতো প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।’