দুবাইয়ে কর্মীদের জন্য এক প্লাটফর্মে সব পরিষেবা

#
news image

কর্মী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধার্থে একটি ইউনিফাইড ওয়ার্ক বান্ডেল চালু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এর আওতায় সহজ হবে কর্মীদের আবাসন ও কাজের অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়া। একই প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে ভিসা দান ও নবায়নসংক্রান্ত সব পরিষেবা। থাকবে উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা। এতে সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ। পাঁচটি ফেডারেল ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ প্লাটফর্মের জন্য কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে ‘ইনভেস্ট ইন দুবাই’ প্লাটফর্মে এ ওয়ার্ক বান্ডেল সেবা পাওয়া যাবে। এতে দুবাইয়ের ২ লাখ ৭৫ হাজার কোম্পানি যুক্ত থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে ‘ওয়ার্ক ইন ইউএই’সহ অন্যান্য সরকারি ডিজিটাল প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হবে।

সরকারি এক ঘোষণায় বলা হয়, এ ওয়ার্ক বান্ডেলের লক্ষ্য হলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে সহজ ও সক্রিয়ভাবে পরিষেবা দেয়া। প্রথম ধাপটি ‘ইনভেস্ট ইন দুবাই’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে দুবাইতে বাস্তবায়ন হবে। এরপর ধীরে ধীরে অন্য সরকারি ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলো একত্র হয়ে কাজ করবে। এ বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশনবিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ার বলেন, ‘‌আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হওয়ায় প্লাটফর্মটি স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করবে।’ ইউএইর ডিজিটাল রূপান্তর প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে ‘ওয়ার্ক বান্ডেল’। এর লক্ষ্য হলো বেসরকারি খাতের কোম্পানির ব্যবসা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা।

এ উদ্যোগের অন্যতম সুবিধা হলো, একাধিক প্লাটফর্মের বদলে একক প্লাটফর্মের ব্যবহার, যার কারণে আটটি পরিষেবার জন্য আলাদা আলাদা প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে না। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ১৫টি ধাপ ও ১৬টি নথি জমাদান থেকে যথাক্রমে পাঁচটি ধাপ ও পাঁচটি নথিতে কমে আসবে। ৩০ কার্যদিবসের বদলে মাত্র চারদিনেই সব কাজ সম্পন্ন হবে। সব মিলিয়ে বার্ষিক ৬ কোটি ২৫ হাজার কার্যদিবস সাশ্রয় হবে। অর্থাৎ পদ্ধতিগত স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি কমে আসবে সময়ের অপব্যবহার।

সম্প্রতি এ প্লাটফর্মের ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ, কাস্টমস, পোর্ট সিকিউরিটি, দুবাই হেলথ ও এমিরেটাইজেশন বিভাগের পরিচালকরা। সেখানে বলা হয়, এ একীভূতকরণের মাধ্যমে অর্থনীতি, পর্যটন ও ডিজিটাল দুবাইয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের তথ্য আদান-প্রদানে সুবিধা পাওয়া যাবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব অঞ্চল থেকে পরিষেবা পাওয়া যাবে। কোম্পানিগুলো তাদের এমিরেটস আইডি ব্যবহার করে লেনদেনসহ যেকোনো ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারবে।

এ বিষয়ে দুবাইয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আহমেদ আল মারি জানান, ঘোষণাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরকে প্রতিফলিত করে। এতে বিদেশী সংস্থাগুলো আকৃষ্ট হবে। ইউএই সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ও দক্ষ কর্মী আকৃষ্ট করতে একাধিক নীতি সংস্কার করেছে। বিশেষ করে সহজ ভিসা পদ্ধতি ও করবান্ধব নীতি দেশটিকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য করে তুলেছে। 

নাগরিক ডেস্ক

০৮ মার্চ, ২০২৪,  9:39 AM

news image

কর্মী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধার্থে একটি ইউনিফাইড ওয়ার্ক বান্ডেল চালু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এর আওতায় সহজ হবে কর্মীদের আবাসন ও কাজের অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়া। একই প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে ভিসা দান ও নবায়নসংক্রান্ত সব পরিষেবা। থাকবে উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা। এতে সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ। পাঁচটি ফেডারেল ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ প্লাটফর্মের জন্য কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে ‘ইনভেস্ট ইন দুবাই’ প্লাটফর্মে এ ওয়ার্ক বান্ডেল সেবা পাওয়া যাবে। এতে দুবাইয়ের ২ লাখ ৭৫ হাজার কোম্পানি যুক্ত থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে ‘ওয়ার্ক ইন ইউএই’সহ অন্যান্য সরকারি ডিজিটাল প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হবে।

সরকারি এক ঘোষণায় বলা হয়, এ ওয়ার্ক বান্ডেলের লক্ষ্য হলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে সহজ ও সক্রিয়ভাবে পরিষেবা দেয়া। প্রথম ধাপটি ‘ইনভেস্ট ইন দুবাই’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে দুবাইতে বাস্তবায়ন হবে। এরপর ধীরে ধীরে অন্য সরকারি ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলো একত্র হয়ে কাজ করবে। এ বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশনবিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ার বলেন, ‘‌আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হওয়ায় প্লাটফর্মটি স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করবে।’ ইউএইর ডিজিটাল রূপান্তর প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে ‘ওয়ার্ক বান্ডেল’। এর লক্ষ্য হলো বেসরকারি খাতের কোম্পানির ব্যবসা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা।

এ উদ্যোগের অন্যতম সুবিধা হলো, একাধিক প্লাটফর্মের বদলে একক প্লাটফর্মের ব্যবহার, যার কারণে আটটি পরিষেবার জন্য আলাদা আলাদা প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে না। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ১৫টি ধাপ ও ১৬টি নথি জমাদান থেকে যথাক্রমে পাঁচটি ধাপ ও পাঁচটি নথিতে কমে আসবে। ৩০ কার্যদিবসের বদলে মাত্র চারদিনেই সব কাজ সম্পন্ন হবে। সব মিলিয়ে বার্ষিক ৬ কোটি ২৫ হাজার কার্যদিবস সাশ্রয় হবে। অর্থাৎ পদ্ধতিগত স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি কমে আসবে সময়ের অপব্যবহার।

সম্প্রতি এ প্লাটফর্মের ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ, কাস্টমস, পোর্ট সিকিউরিটি, দুবাই হেলথ ও এমিরেটাইজেশন বিভাগের পরিচালকরা। সেখানে বলা হয়, এ একীভূতকরণের মাধ্যমে অর্থনীতি, পর্যটন ও ডিজিটাল দুবাইয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের তথ্য আদান-প্রদানে সুবিধা পাওয়া যাবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব অঞ্চল থেকে পরিষেবা পাওয়া যাবে। কোম্পানিগুলো তাদের এমিরেটস আইডি ব্যবহার করে লেনদেনসহ যেকোনো ডিজিটাল সুবিধা নিতে পারবে।

এ বিষয়ে দুবাইয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আহমেদ আল মারি জানান, ঘোষণাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরকে প্রতিফলিত করে। এতে বিদেশী সংস্থাগুলো আকৃষ্ট হবে। ইউএই সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ ও দক্ষ কর্মী আকৃষ্ট করতে একাধিক নীতি সংস্কার করেছে। বিশেষ করে সহজ ভিসা পদ্ধতি ও করবান্ধব নীতি দেশটিকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য করে তুলেছে।