ভেস্তে গেল দুই মার্কিন এয়ারলাইনসের একীভূতকরণ
নাগরিক ডেস্ক
০৮ মার্চ, ২০২৪, 9:36 AM
ভেস্তে গেল দুই মার্কিন এয়ারলাইনসের একীভূতকরণ
আদালতের বাধার কারণে ভেস্তে গেল মার্কিন উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা জেটব্লু এয়ারওয়েজ ও স্পিরিট এয়ারলাইনসের একীভূতকরণ চুক্তি। ফেডারেল বিচারকদের মতে, ৩৮০ কোটি ডলারে এ চুক্তি সম্পন্ন হলে স্পিরিটের নিম্ন ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সম্প্রতি জেটব্লু জানায়, দুই কোম্পানিই এ চুক্তির ওপর আস্থা রেখেছিল। কিন্তু আদালত এর বিপরীতে রায় দিয়েছেন। এ কারণে ২৪ জুলাই সময়সীমার আগে চুক্তির প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের সম্ভাবনা কমে এসেছে। জেটব্লু এয়ারওয়েজের নতুন সিইও জোয়ানা গেরাঘটির মতে, একীভূতকরণ পরিকল্পনাটি যথেষ্ট সাহসী ছিল। এটি জেটব্লুকে আরো গতিশীল করত। কিন্তু আদালতের রায় ও বিচার বিভাগের অব্যাহত বিরোধিতার কারণে শিগগিরই একীভূতকরণের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
অন্যদিকে পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্পিরিট এয়ারলাইনসের সিইও টেড ক্রিস্টি। তার পরও করোনা মহামারীর শুরু থেকে লাভের অংক থেকে দূরে সরে যাওয়া কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। এ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় শর্ত হিসেবে স্পিরিট এয়ারওয়েজ ৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাবে। একীভূতকরণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গত বছর মার্কিন বিচার বিভাগ মামলা করে। তাদের মতে, জেটব্লু ও স্পিরিটের একীভূতকরণ উড়োজাহাজ পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেবে। এতে ভাড়া বেড়ে যাবে, বিশেষত কম ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল ভ্রমণকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
গত জানুয়ারিতে বোস্টনের একজন বিচারক অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চুক্তিটি অবরুদ্ধ করে দেন। এরপর চলতি সপ্তাহে চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় এয়ারলাইনস দুটি। সাম্প্রতিক সময়ে একীভূতকরণ পরিকল্পনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জো বাইডেনের প্রশাসন। ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে এর আগে বেশ কয়েকটি শিল্পে একত্রীকরণে অনাস্থা জানিয়েছে বিচার বিভাগ। নিউইয়র্ক ও বোস্টনের ফ্লাইটে জেটব্লু ও আমেরিকান এয়ারলাইনসের অংশীদারত্বের চেষ্টাকেও আটকে দেয়া হয়।
জেটব্লুর কাছে বিক্রি না হওয়ায় স্পিরিটকে অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলে দিতে হবে। কারণে ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে পরিষেবা স্থগিতের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের চাপে রয়েছে কোম্পানিটি। ২০২৩ সালে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার লোকসান দেয় স্পিরিট। ২০২০ সালের শুরু থেকে লোকসান করেছে ১৯০ কোটি ডলার। জানুয়ারিতে জেপিমরগানের একজন বিশ্লেষক বলেছিলেন, শিগগিরই স্পিরিট এয়ারওয়েজের লাভজনক হওয়ার কার্যকর কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ভালো নেই জেটব্লুও। ২০২০ সাল থেকে লোকসানের পরিমাণ ২২০ কোটি ডলার। তবে স্পিরিটের তুলনায় জেটব্লুর আয় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। বিনিয়োগের বাজারেও প্রতিষ্ঠানটি ভালো অবস্থায় রয়েছে।
নাগরিক ডেস্ক
০৮ মার্চ, ২০২৪, 9:36 AM
আদালতের বাধার কারণে ভেস্তে গেল মার্কিন উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা জেটব্লু এয়ারওয়েজ ও স্পিরিট এয়ারলাইনসের একীভূতকরণ চুক্তি। ফেডারেল বিচারকদের মতে, ৩৮০ কোটি ডলারে এ চুক্তি সম্পন্ন হলে স্পিরিটের নিম্ন ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সম্প্রতি জেটব্লু জানায়, দুই কোম্পানিই এ চুক্তির ওপর আস্থা রেখেছিল। কিন্তু আদালত এর বিপরীতে রায় দিয়েছেন। এ কারণে ২৪ জুলাই সময়সীমার আগে চুক্তির প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের সম্ভাবনা কমে এসেছে। জেটব্লু এয়ারওয়েজের নতুন সিইও জোয়ানা গেরাঘটির মতে, একীভূতকরণ পরিকল্পনাটি যথেষ্ট সাহসী ছিল। এটি জেটব্লুকে আরো গতিশীল করত। কিন্তু আদালতের রায় ও বিচার বিভাগের অব্যাহত বিরোধিতার কারণে শিগগিরই একীভূতকরণের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
অন্যদিকে পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্পিরিট এয়ারলাইনসের সিইও টেড ক্রিস্টি। তার পরও করোনা মহামারীর শুরু থেকে লাভের অংক থেকে দূরে সরে যাওয়া কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। এ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় শর্ত হিসেবে স্পিরিট এয়ারওয়েজ ৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাবে। একীভূতকরণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গত বছর মার্কিন বিচার বিভাগ মামলা করে। তাদের মতে, জেটব্লু ও স্পিরিটের একীভূতকরণ উড়োজাহাজ পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেবে। এতে ভাড়া বেড়ে যাবে, বিশেষত কম ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল ভ্রমণকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
গত জানুয়ারিতে বোস্টনের একজন বিচারক অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চুক্তিটি অবরুদ্ধ করে দেন। এরপর চলতি সপ্তাহে চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় এয়ারলাইনস দুটি। সাম্প্রতিক সময়ে একীভূতকরণ পরিকল্পনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জো বাইডেনের প্রশাসন। ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে এর আগে বেশ কয়েকটি শিল্পে একত্রীকরণে অনাস্থা জানিয়েছে বিচার বিভাগ। নিউইয়র্ক ও বোস্টনের ফ্লাইটে জেটব্লু ও আমেরিকান এয়ারলাইনসের অংশীদারত্বের চেষ্টাকেও আটকে দেয়া হয়।
জেটব্লুর কাছে বিক্রি না হওয়ায় স্পিরিটকে অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলে দিতে হবে। কারণে ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে পরিষেবা স্থগিতের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের চাপে রয়েছে কোম্পানিটি। ২০২৩ সালে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার লোকসান দেয় স্পিরিট। ২০২০ সালের শুরু থেকে লোকসান করেছে ১৯০ কোটি ডলার। জানুয়ারিতে জেপিমরগানের একজন বিশ্লেষক বলেছিলেন, শিগগিরই স্পিরিট এয়ারওয়েজের লাভজনক হওয়ার কার্যকর কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ভালো নেই জেটব্লুও। ২০২০ সাল থেকে লোকসানের পরিমাণ ২২০ কোটি ডলার। তবে স্পিরিটের তুলনায় জেটব্লুর আয় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। বিনিয়োগের বাজারেও প্রতিষ্ঠানটি ভালো অবস্থায় রয়েছে।