সুগার মিলের আগুন পুরোপুরি নেভেনি, পুড়ে গেছে ১ লাখ টন চিনি

#
news image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামের আগুন প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুদামের ভেতরে থাকা ওই এক লাখ চিনির স্তুপে আগুন জ¦লছিলো। অবশ্য পাশের স্টোরেজে থাকা কয়েক লাখ টন পরিশোধিত চিনি ঝুঁকির বাইরে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।  কোনো স্থাপনায় আগুন লাগার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে আসার অর্থ হচ্ছে সেটি আর ছড়াচ্ছে না। এরপর স্থাপনার ভেতর-বাইরে তল্লাশি চালিয়ে কোথাও আগুন না পেলে পুরোপুরি নির্বাপনের ঘোষণা দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে।

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার বলেন, এ কারখানায় আমদানি করা কাঁচা চিনি পরিশোধন করা হয়। চার লাখ মেট্রিক টন ক্যাপাসিটি আছে। ইউনিট-ওয়ান এর গুদামে আগুন লেগেছে। সেখানে ব্রাজিল থেকে আনা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। রমজানের জন্য চিনিগুলো আমদানি করা হয়েছিল। আগুন যাতে মূল কারখানা এবং ফিনিশড সুগার যেখানে রাখা হয়, সেখানে ছড়িয়ে না পড়ে সেই চেষ্টা করছি। সেখানে আগুন লাগলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হবে না।

বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে এস আলম গ্রুপের সুগার মিলে আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে আগ্রাবাদ, লামারবাজার, চন্দনপুরা, কালুরঘাট, কর্ণফুলী স্টেশনের ১৮টি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনী। কাজ করে কোস্টগার্ডের ফায়ার ইউনিট। 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা জানিয়েছেন, সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন আছে।

নাগরিক ডেস্ক

০৫ মার্চ, ২০২৪,  2:28 AM

news image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামের আগুন প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুদামের ভেতরে থাকা ওই এক লাখ চিনির স্তুপে আগুন জ¦লছিলো। অবশ্য পাশের স্টোরেজে থাকা কয়েক লাখ টন পরিশোধিত চিনি ঝুঁকির বাইরে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।  কোনো স্থাপনায় আগুন লাগার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে আসার অর্থ হচ্ছে সেটি আর ছড়াচ্ছে না। এরপর স্থাপনার ভেতর-বাইরে তল্লাশি চালিয়ে কোথাও আগুন না পেলে পুরোপুরি নির্বাপনের ঘোষণা দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে।

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার বলেন, এ কারখানায় আমদানি করা কাঁচা চিনি পরিশোধন করা হয়। চার লাখ মেট্রিক টন ক্যাপাসিটি আছে। ইউনিট-ওয়ান এর গুদামে আগুন লেগেছে। সেখানে ব্রাজিল থেকে আনা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। রমজানের জন্য চিনিগুলো আমদানি করা হয়েছিল। আগুন যাতে মূল কারখানা এবং ফিনিশড সুগার যেখানে রাখা হয়, সেখানে ছড়িয়ে না পড়ে সেই চেষ্টা করছি। সেখানে আগুন লাগলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হবে না।

বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে এস আলম গ্রুপের সুগার মিলে আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে আগ্রাবাদ, লামারবাজার, চন্দনপুরা, কালুরঘাট, কর্ণফুলী স্টেশনের ১৮টি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনী। কাজ করে কোস্টগার্ডের ফায়ার ইউনিট। 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা জানিয়েছেন, সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন আছে।