মরক্কোর সৈকতে এক লাখ বছর আগের পদচিহ্ন

#
news image

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় প্রায় এক লাখ বছর আগের মানুষের পদচিহ্ন দেখতে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। সেখানকার লারাচে উপকূলে মানুষের ৮০টির বেশি পদচিহ্ন পাওয়া গেছে। বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচার–এ গত জানুয়ারিতে এ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।  সূত্র: হেরেসপেরেস

এই গবেষণার নেতৃত্বে দিয়েছিল ফ্রান্সের বোঁতানিয়া সুঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। আর গবেষক দলে ছিলেন মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কারের ঘটনা। 

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, ওই পদচিহ্নগুলো পাঁচজন হোমোসেপিয়েন্সের। তাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। মরক্কোর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান লিক্সাস লারাচের কিউরেটর আনাস সেদরাতি বলেন, সম্ভবত এই দলটি সমুদ্রসৈকতে খাদ্যের সন্ধান করছিল। সম্ভবত তারা জেলে অথবা সমুদ্র উপকূল থেকে শামুক-ঝিনুকের মতো বিভিন্ন জিনিসের সংগ্রাহক ছিলেন।

নেচার এর নিবন্ধে বলা হয়, বিশ্বে এ পর্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত সবচেয়ে প্রাচীন মানব অস্তিত্ব চিহ্নের মধ্যে মরক্কোর উপকূলের এই পদচিহ্ন অন্যতম এবং এটি উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীনতম মানবচিহ্ন। গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জুলাইতে এক অনুসন্ধানকালে তারা এই পদচিহ্নগুলো দেখতে পান। একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে তারা সেখানকার উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাথরের উৎস ও ধরণ নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালে উত্তর-পশ্চিম মরক্কোয় তিন লাখ বছর আগের কিছু হোমোসেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই আবিষ্কার পৃথিবীতে তত দিন পর্যন্ত জেনে আসা মানব অস্তিত্বের ইতিহাসকে আরও ১ লাখ বছর পেছনের দিকে নিয়ে যায়। 

নাগরিক অনলাইন ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪,  7:29 PM

news image

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় প্রায় এক লাখ বছর আগের মানুষের পদচিহ্ন দেখতে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। সেখানকার লারাচে উপকূলে মানুষের ৮০টির বেশি পদচিহ্ন পাওয়া গেছে। বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচার–এ গত জানুয়ারিতে এ নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।  সূত্র: হেরেসপেরেস

এই গবেষণার নেতৃত্বে দিয়েছিল ফ্রান্সের বোঁতানিয়া সুঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। আর গবেষক দলে ছিলেন মরক্কো, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকায় এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কারের ঘটনা। 

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, ওই পদচিহ্নগুলো পাঁচজন হোমোসেপিয়েন্সের। তাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। মরক্কোর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান লিক্সাস লারাচের কিউরেটর আনাস সেদরাতি বলেন, সম্ভবত এই দলটি সমুদ্রসৈকতে খাদ্যের সন্ধান করছিল। সম্ভবত তারা জেলে অথবা সমুদ্র উপকূল থেকে শামুক-ঝিনুকের মতো বিভিন্ন জিনিসের সংগ্রাহক ছিলেন।

নেচার এর নিবন্ধে বলা হয়, বিশ্বে এ পর্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত সবচেয়ে প্রাচীন মানব অস্তিত্ব চিহ্নের মধ্যে মরক্কোর উপকূলের এই পদচিহ্ন অন্যতম এবং এটি উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীনতম মানবচিহ্ন। গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জুলাইতে এক অনুসন্ধানকালে তারা এই পদচিহ্নগুলো দেখতে পান। একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে তারা সেখানকার উপকূলজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাথরের উৎস ও ধরণ নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালে উত্তর-পশ্চিম মরক্কোয় তিন লাখ বছর আগের কিছু হোমোসেপিয়েন্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই আবিষ্কার পৃথিবীতে তত দিন পর্যন্ত জেনে আসা মানব অস্তিত্বের ইতিহাসকে আরও ১ লাখ বছর পেছনের দিকে নিয়ে যায়।