গুগলের এআই এবার সাহিত্য চর্চায়!

অনলাইন ডেস্ক
০৪ নভেম্বর, ২০২২, 1:00 AM

গুগলের এআই এবার সাহিত্য চর্চায়!
গুগলের প্রোটোটাইপ এআই ‘ওয়ার্ডক্র্যাফট’ সম্প্রতি গদ্য লেখা শুরু করেছে। তবে গুগল বলছে, সাহিত্য চর্চা নয়, কল্পকাহিনী লিখতে সহযোগিতা করাই এই এআই নির্মাণের মূল লক্ষ্য।
গুগলকে ওয়ার্ড রাইটিং এডিটর বা লেখা সম্পাদনার মডেল ‘ওয়ার্ডক্র্যাফট’ নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন এক ডজনের বেশি প্রশংসিত লেখক।
বুধবার নিউ ইয়র্কে আয়োজিত ‘গুগল এআই’ আয়োজনে নতুন এই পরীক্ষামূলক এআইয়ের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। অ্যান্ড্রয়েড নির্মাতার ‘ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশন (লামডা)’ ব্যবহার করে ওয়ার্ডক্র্যাফট বানিয়েছেন লেখকরা। আর এআইয়ের কার্যক্ষমতা বিচার করা হচ্ছে এর লেখা ছোট গল্পের সাহিত্যগুণ বিবেচনায় নিয়ে।
গত বছর প্রযুক্তি বাজারে উন্মোচন করা ‘লামডা’ নিয়ে গুগলের দাবি, মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেওয়ার সক্ষমতা আছে এই ‘ডায়ালগ ইঞ্জিনের’।
প্রযুক্তি সাইট সিনেট বলছে, কল্পকাহিনী লেখার ক্ষেত্রে ওই ‘ইঞ্জিনের’ সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রকল্প হচ্ছে ওয়ার্ডক্র্যাফট। ‘ওয়ার্ডটিউন’ বা ‘গ্রামারলি’র মতো বাজারে বিদ্যমান টুলগুলোর সঙ্গে এর মূল পার্থক্য– এআইয়ের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ফিকশন বা কল্পকাহিনী লিখতে সাহায্য করা।
তবে ওয়ার্ডক্র্যাফটের মাধ্যমে লেখা গল্পের সাহিত্যগুণ নিয়ে বিতর্কের সুযোগও আছে। কল্পকাহিনী লেখক ইউজিনিয়া ট্রাইয়াটাফাইলু নির্দেশনার ভিত্তিতে ওয়ার্ডক্র্যাফটের লেখা গল্প ‘ওয়ার্ম-মাদার্স’-এর একটি অংশ বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “আকাশের সবগুলো পাখিই ছিল কৃমি মায়েদের শিকার – ক্ষুধা পেলেই খুশিমনে পাখিগুলোকে ওরা আঙ্গুরের মতো আস্ত গিলে খেত। কারণ, কৃমি মায়েদের বলার মতো কোনো দাঁত ছিল না, কোনো চোখও ছিল না। ওদের ডিমের মতো মাথার ওপরে ছিল কেবল মাড়ি সর্বস্ব মুখ আর একটা ছোট কালো শিং।”
‘গুগল এআই’ আয়োজনে ‘গুগল রিসার্চ’-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ডগলাস এক বলছেন, তার বিশ্বাস, ‘মানুষের সৃজনশীলতা প্রকাশের প্রক্রিয়া পাল্টে দেবে’ ওয়ার্ডক্র্যাফট।
‘গদ্য রচনার’ কাজটি একেবারেই ‘সহজ নয়’ এবং লামডার একক চেষ্টা থেকে আসা ফলাফল কোনো পুরস্কারের যোগ্য কিছুও নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক
০৪ নভেম্বর, ২০২২, 1:00 AM

গুগলের প্রোটোটাইপ এআই ‘ওয়ার্ডক্র্যাফট’ সম্প্রতি গদ্য লেখা শুরু করেছে। তবে গুগল বলছে, সাহিত্য চর্চা নয়, কল্পকাহিনী লিখতে সহযোগিতা করাই এই এআই নির্মাণের মূল লক্ষ্য।
গুগলকে ওয়ার্ড রাইটিং এডিটর বা লেখা সম্পাদনার মডেল ‘ওয়ার্ডক্র্যাফট’ নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন এক ডজনের বেশি প্রশংসিত লেখক।
বুধবার নিউ ইয়র্কে আয়োজিত ‘গুগল এআই’ আয়োজনে নতুন এই পরীক্ষামূলক এআইয়ের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। অ্যান্ড্রয়েড নির্মাতার ‘ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশন (লামডা)’ ব্যবহার করে ওয়ার্ডক্র্যাফট বানিয়েছেন লেখকরা। আর এআইয়ের কার্যক্ষমতা বিচার করা হচ্ছে এর লেখা ছোট গল্পের সাহিত্যগুণ বিবেচনায় নিয়ে।
গত বছর প্রযুক্তি বাজারে উন্মোচন করা ‘লামডা’ নিয়ে গুগলের দাবি, মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেওয়ার সক্ষমতা আছে এই ‘ডায়ালগ ইঞ্জিনের’।
প্রযুক্তি সাইট সিনেট বলছে, কল্পকাহিনী লেখার ক্ষেত্রে ওই ‘ইঞ্জিনের’ সক্ষমতা যাচাইয়ের প্রকল্প হচ্ছে ওয়ার্ডক্র্যাফট। ‘ওয়ার্ডটিউন’ বা ‘গ্রামারলি’র মতো বাজারে বিদ্যমান টুলগুলোর সঙ্গে এর মূল পার্থক্য– এআইয়ের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ফিকশন বা কল্পকাহিনী লিখতে সাহায্য করা।
তবে ওয়ার্ডক্র্যাফটের মাধ্যমে লেখা গল্পের সাহিত্যগুণ নিয়ে বিতর্কের সুযোগও আছে। কল্পকাহিনী লেখক ইউজিনিয়া ট্রাইয়াটাফাইলু নির্দেশনার ভিত্তিতে ওয়ার্ডক্র্যাফটের লেখা গল্প ‘ওয়ার্ম-মাদার্স’-এর একটি অংশ বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “আকাশের সবগুলো পাখিই ছিল কৃমি মায়েদের শিকার – ক্ষুধা পেলেই খুশিমনে পাখিগুলোকে ওরা আঙ্গুরের মতো আস্ত গিলে খেত। কারণ, কৃমি মায়েদের বলার মতো কোনো দাঁত ছিল না, কোনো চোখও ছিল না। ওদের ডিমের মতো মাথার ওপরে ছিল কেবল মাড়ি সর্বস্ব মুখ আর একটা ছোট কালো শিং।”
‘গুগল এআই’ আয়োজনে ‘গুগল রিসার্চ’-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ডগলাস এক বলছেন, তার বিশ্বাস, ‘মানুষের সৃজনশীলতা প্রকাশের প্রক্রিয়া পাল্টে দেবে’ ওয়ার্ডক্র্যাফট।
‘গদ্য রচনার’ কাজটি একেবারেই ‘সহজ নয়’ এবং লামডার একক চেষ্টা থেকে আসা ফলাফল কোনো পুরস্কারের যোগ্য কিছুও নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।