বাংলাদেশের ইমরান খান প্রযুক্তির বিশ্ব দাপিয়ে বেড়ান

অনলাইন ডেস্ক
২০ অক্টোবর, ২০২২, 1:17 AM

বাংলাদেশের ইমরান খান প্রযুক্তির বিশ্ব দাপিয়ে বেড়ান
ঢাকা কলেজের ছাত্রাবস্থায় ইমরান খান এক সময় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্বব্যাপী ভাত প্রচলনের স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করছিলেন। ওই বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের অনেকেই আজ স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা ইমরান খান কৈশোরে ছিলেন একজন তুখোড় তার্কিক । পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার্থে পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে এবং ২০০০ সালে ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েলস কলেজ অব বিজনেস থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
তিনি বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে বৃহত্তম দুই প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আলিবাবা ও স্ন্যাপ ইনকের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে ইমরান ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক অংশীদার আলেফ হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আলেফ আশা করছে, চলতি বছরে তারা ১০০ কোটি ডলার আয় করবে, যা বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার সমান। নতুন বাজারে প্রবেশ ও অতিরিক্ত অংশীদার যুক্ত করে এবং বহুমুখী সেবা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে এই মাইলফলক অর্জনে সাহায্য করবেন ইমরান খান।
আলেফ মূলতঃ ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, স্ন্যাপচ্যাট, টুইচ ও টিকটকের মতো বৃহৎ ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যস্থতা করে । এসব বিজ্ঞাপনদাতার মধ্যে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড এবং স্টার্টআপ রয়েছে। আলেফ পৃথিবীব্যাপী ৭০টির বেশি বাজারে ডিজিটাল মিডিয়ার সুবিধাগুলো প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দিয়ে থাকে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, ডিজিটাল অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় বাজার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকার সুবাদে এই ইকোসিস্টেমটি তৈরি হয়। ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের ক্রেতাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসার ব্যাপারে কাজ করে চলেছে আলেফের বিভিন্ন দল।
আলেফ হোল্ডিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গ্যাস্টন টারাটুটা বলেন, ‘ইমরান বিপুল পরিমাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। আমাদের যাত্রার পরবর্তী ধাপের জন্য তাঁর উদ্যোক্তা-চিন্তা ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিবিষয়ক অভিজ্ঞতার সমন্বয় সম্পূর্ণ যথাযথ। ২০০৫ সালে মাত্র ৫ হাজার ডলার নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আলেফ। আর এখন আমরা ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাজস্ব নিয়ে বছর শেষ করার পথে। আলেফে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি এবং তা অর্জনে ইমরান মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।’
আলেফ একটি বৃহৎ বৈশ্বিক ডিজিটাল মিডিয়া অংশীদার। এটি পৃথিবীজুড়ে ৭০টির বেশি বাজারে বৃহত্তম ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যুক্ত। ১০০ কোটি ডলারের রাজস্ব পার করতে যাওয়া আলেফ হোল্ডিংকে আরও এগিয়ে নিতে চান ইমরান খান। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে পৃথিবীর বৃহত্তম দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আলিবাবা এবং স্ন্যাপ ইনকেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ইমরান 'ওয়াইল্ডবুক' নামে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ব্রডব্যান্ডের স্টার্টআপের মাধ্যমে কর্মজীবনের শুরুটা করেন। এরপরে তিনি আইএনজি বারিংসে যোগ দেন। এবিএন আমরো আইএনজি কিনে নিলে ফালক্রাম নামে একটি অপর একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন।২০০৪ সালে যান জেপি মরগানে। এরপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ইমরান খানকে। এখানে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই বনে যান জেপির ব্যবস্থাপনা সর্বকনিষ্ঠ পরিচালক । ২০১১ সালে যোগ দেন ক্রেডিট সুইজের ইন্টারনেট ব্যাংকিং শাখায়। গো ড্যাডি, বক্স, গ্রপ অন, উইবোর মতো বড় বড় প্রযুক্তি আইপিওগুলোকে সামলেছেন দক্ষ হাতে। স্বপ্নাতুর ইমরান খান স্বপ্নকে যেভাবে সত্যি করে তুলছেন তা বাংলাদেশের ও বিশ্বের অনেক তরুনকেই অনুপ্রানিত করবে।
অনলাইন ডেস্ক
২০ অক্টোবর, ২০২২, 1:17 AM

ঢাকা কলেজের ছাত্রাবস্থায় ইমরান খান এক সময় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্বব্যাপী ভাত প্রচলনের স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করছিলেন। ওই বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের অনেকেই আজ স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা ইমরান খান কৈশোরে ছিলেন একজন তুখোড় তার্কিক । পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার্থে পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে এবং ২০০০ সালে ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েলস কলেজ অব বিজনেস থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
তিনি বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে বৃহত্তম দুই প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আলিবাবা ও স্ন্যাপ ইনকের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে ইমরান ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক অংশীদার আলেফ হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আলেফ আশা করছে, চলতি বছরে তারা ১০০ কোটি ডলার আয় করবে, যা বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার সমান। নতুন বাজারে প্রবেশ ও অতিরিক্ত অংশীদার যুক্ত করে এবং বহুমুখী সেবা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে এই মাইলফলক অর্জনে সাহায্য করবেন ইমরান খান।
আলেফ মূলতঃ ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, স্ন্যাপচ্যাট, টুইচ ও টিকটকের মতো বৃহৎ ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যস্থতা করে । এসব বিজ্ঞাপনদাতার মধ্যে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড এবং স্টার্টআপ রয়েছে। আলেফ পৃথিবীব্যাপী ৭০টির বেশি বাজারে ডিজিটাল মিডিয়ার সুবিধাগুলো প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দিয়ে থাকে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, ডিজিটাল অভিজ্ঞতা ও স্থানীয় বাজার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকার সুবাদে এই ইকোসিস্টেমটি তৈরি হয়। ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের ক্রেতাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসার ব্যাপারে কাজ করে চলেছে আলেফের বিভিন্ন দল।
আলেফ হোল্ডিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গ্যাস্টন টারাটুটা বলেন, ‘ইমরান বিপুল পরিমাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। আমাদের যাত্রার পরবর্তী ধাপের জন্য তাঁর উদ্যোক্তা-চিন্তা ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিবিষয়ক অভিজ্ঞতার সমন্বয় সম্পূর্ণ যথাযথ। ২০০৫ সালে মাত্র ৫ হাজার ডলার নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আলেফ। আর এখন আমরা ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রাজস্ব নিয়ে বছর শেষ করার পথে। আলেফে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি এবং তা অর্জনে ইমরান মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।’
আলেফ একটি বৃহৎ বৈশ্বিক ডিজিটাল মিডিয়া অংশীদার। এটি পৃথিবীজুড়ে ৭০টির বেশি বাজারে বৃহত্তম ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যুক্ত। ১০০ কোটি ডলারের রাজস্ব পার করতে যাওয়া আলেফ হোল্ডিংকে আরও এগিয়ে নিতে চান ইমরান খান। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে পৃথিবীর বৃহত্তম দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আলিবাবা এবং স্ন্যাপ ইনকেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ইমরান 'ওয়াইল্ডবুক' নামে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ব্রডব্যান্ডের স্টার্টআপের মাধ্যমে কর্মজীবনের শুরুটা করেন। এরপরে তিনি আইএনজি বারিংসে যোগ দেন। এবিএন আমরো আইএনজি কিনে নিলে ফালক্রাম নামে একটি অপর একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন।২০০৪ সালে যান জেপি মরগানে। এরপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ইমরান খানকে। এখানে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই বনে যান জেপির ব্যবস্থাপনা সর্বকনিষ্ঠ পরিচালক । ২০১১ সালে যোগ দেন ক্রেডিট সুইজের ইন্টারনেট ব্যাংকিং শাখায়। গো ড্যাডি, বক্স, গ্রপ অন, উইবোর মতো বড় বড় প্রযুক্তি আইপিওগুলোকে সামলেছেন দক্ষ হাতে। স্বপ্নাতুর ইমরান খান স্বপ্নকে যেভাবে সত্যি করে তুলছেন তা বাংলাদেশের ও বিশ্বের অনেক তরুনকেই অনুপ্রানিত করবে।