ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা : উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ে বিপাকে এয়ারলাইনসগুলো

নাগরিক ডেস্ক
১৬ এপ্রিল, ২০২৪, 3:08 PM

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা : উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ে বিপাকে এয়ারলাইনসগুলো
দুবাই : ইসরায়েলে চালানো ইরানের পাল্টা হামলার পর বিশ্বে উড়োজাহাজ চলাচলের সূচি বিঘ্নিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ অস্থিরতার প্রভাবে গতকাল বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। স্থগিত করা হয় অনেক ফ্লাইট। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফ্লাইটের রুটও পরিবর্তন করে ফেলা হয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সূচিতে আরো দুদিন এমন শিডিউল বিপর্যয়ের জোর আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েল, জর্ডান, ইরাক ও লেবানন গত রোববার (১৪ এপ্রিল ) তাদের আকাশসীমা পুনরায় খুলে দেয়। এর পরও এয়ারলাইনসগুলোর পক্ষে ১৫ এপ্রিলও ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় ঠেকানো যায়নি।
জার্মান এয়ারলাইনস লুফথানসা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইসরায়েলের তেলআবিব, ইরাকের ইরবিল ও জর্ডানের আম্মানের সঙ্গে ফ্লাইট স্থগিত রাখে। লেবাননের বৈরুত ও ইরানের রাজধানী তেহরানের সঙ্গে এয়ারলাইনসটির ফ্লাইট স্থগিত থাকবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকাশসীমা ও বিমানবন্দরের সূচি পর্যবেক্ষণ করে ‘অপসগ্রুপ’। এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জি বলেন, ‘২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর ফ্লাইটসূচিতে এটিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের ঘটনা।’ বর্তমান পরিস্থিতি আরো দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের পর এত অল্প সময়ের ব্যবধানে এতগুলো আকাশসীমা বন্ধের ঘটনা ঘটেনি।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী গত দুদিনে অন্তত এক ডজন এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইট বাতিল বা রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে। ফ্লাইট শিডিউল নিয়ে বিপাকে পড়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে লুফথানসা, অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও ভারতের এয়ার ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচলের রুট সংকুচিত হয়ে আসে। বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের আকাশসীমা দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মার্ক জি জানান, ইরানের আকাশপথ ইউরোপ ও এশিয়ায় ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এ পথে চলাচলকারী উড়োজাহাজগুলো এখন দুটি বিকল্প রুট ব্যবহার করছে। এর একটি হলো তুরস্ক হয়ে। আরেকটি মিসর ও সৌদি আরব হয়ে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ব্রেন্ডন সবি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সর্বশেষ অস্থিরতার প্রভাবে যাত্রীর সংখ্যা কমবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের মধ্যেও আকাশপথে যাত্রীসংখ্যা সন্তোষজনক রয়েছে। চলমান ভূরাজনৈতিক ও যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হলে কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত তা ঘটেনি।’
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এয়ারলাইনস কেএলএম জানিয়েছে, আজকের দিনটি পর্যন্ত তেলআবিবের সঙ্গে এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানটির সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রোববারই তেলআবিবমুখী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক এয়ারলাইনস ‘ইজিলেট’। অন্যদিকে ফিনল্যান্ডভিত্তিক এয়ারলাইনস ফিনএয়ার জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কোনো উড়োজাহাজ ইরানের আকাশসীমা ব্যবহার করবে না।
নাগরিক ডেস্ক
১৬ এপ্রিল, ২০২৪, 3:08 PM

দুবাই : ইসরায়েলে চালানো ইরানের পাল্টা হামলার পর বিশ্বে উড়োজাহাজ চলাচলের সূচি বিঘ্নিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ অস্থিরতার প্রভাবে গতকাল বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। স্থগিত করা হয় অনেক ফ্লাইট। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফ্লাইটের রুটও পরিবর্তন করে ফেলা হয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সূচিতে আরো দুদিন এমন শিডিউল বিপর্যয়ের জোর আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েল, জর্ডান, ইরাক ও লেবানন গত রোববার (১৪ এপ্রিল ) তাদের আকাশসীমা পুনরায় খুলে দেয়। এর পরও এয়ারলাইনসগুলোর পক্ষে ১৫ এপ্রিলও ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় ঠেকানো যায়নি।
জার্মান এয়ারলাইনস লুফথানসা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইসরায়েলের তেলআবিব, ইরাকের ইরবিল ও জর্ডানের আম্মানের সঙ্গে ফ্লাইট স্থগিত রাখে। লেবাননের বৈরুত ও ইরানের রাজধানী তেহরানের সঙ্গে এয়ারলাইনসটির ফ্লাইট স্থগিত থাকবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকাশসীমা ও বিমানবন্দরের সূচি পর্যবেক্ষণ করে ‘অপসগ্রুপ’। এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জি বলেন, ‘২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর ফ্লাইটসূচিতে এটিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের ঘটনা।’ বর্তমান পরিস্থিতি আরো দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের পর এত অল্প সময়ের ব্যবধানে এতগুলো আকাশসীমা বন্ধের ঘটনা ঘটেনি।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী গত দুদিনে অন্তত এক ডজন এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইট বাতিল বা রুট পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে। ফ্লাইট শিডিউল নিয়ে বিপাকে পড়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে লুফথানসা, অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও ভারতের এয়ার ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচলের রুট সংকুচিত হয়ে আসে। বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের আকাশসীমা দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মার্ক জি জানান, ইরানের আকাশপথ ইউরোপ ও এশিয়ায় ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এ পথে চলাচলকারী উড়োজাহাজগুলো এখন দুটি বিকল্প রুট ব্যবহার করছে। এর একটি হলো তুরস্ক হয়ে। আরেকটি মিসর ও সৌদি আরব হয়ে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ব্রেন্ডন সবি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সর্বশেষ অস্থিরতার প্রভাবে যাত্রীর সংখ্যা কমবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের মধ্যেও আকাশপথে যাত্রীসংখ্যা সন্তোষজনক রয়েছে। চলমান ভূরাজনৈতিক ও যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হলে কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত তা ঘটেনি।’
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এয়ারলাইনস কেএলএম জানিয়েছে, আজকের দিনটি পর্যন্ত তেলআবিবের সঙ্গে এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানটির সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রোববারই তেলআবিবমুখী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক এয়ারলাইনস ‘ইজিলেট’। অন্যদিকে ফিনল্যান্ডভিত্তিক এয়ারলাইনস ফিনএয়ার জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কোনো উড়োজাহাজ ইরানের আকাশসীমা ব্যবহার করবে না।